ঐক্যহীনতায় ভোগছে আ’লীগ-বিএনপি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নানা কারণে বির্পযস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনীতি থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এদিকে দল ক্ষমতায় থাকার পরও রাজপথে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতাদের দেখা যাচ্ছে না। সর্বশেষ, দ্বাদশ নির্বাচনের সময়ে ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ দেখা গেলেও এর পূর্বে এবং পরবর্তী সময়ে ঐক্যবন্ধভাবে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে দেখা যায়নি। তবে, ক্ষমতাসীনদলের বর্তমানে দলীয় স্বার্থে না থাকলেও তাদের ব্যক্তিগত কর্মসূচীতে সময় ব্যয় করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করতে তেমন ভূমিকা না থাকলেও নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে ব্যস্ত রয়েছেন নেতারা। যার ফলে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত রয়েছে। সূত্র বলছে, হামলা-মামলায় জর্জরিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজপথে নেই নারায়ণগঞ্জ বিএনপি। এদিকে দ্বাদশ নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও দলীয় কোন্দল কোনঠাসা জেলা ও মহানগর বিএনপির রাজনীতি। সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময়ে দলীয় কোন্দলের বিষয়টি ভাল চোঁখে দেখছে না রাজনৈতিক বিশ্লেষকমহল। এঅবস্থা চলমান থাকলে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা চ্যালেন্জের মুখে পড়বে বলেও আশংকা করা হচ্ছে। এছাড়া বিএনপির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে অনেক কর্মীও একাধিক মামলার আসামী হয়ে ফেরারী জীবন যাপন করছে। আত্মগোপনে থেকে পুলিশি হয়রানী ও গ্রেফতার থেকে নিজেদের রক্ষা করছে কেউ কেউ। তবে কবে নাগাদ এসব ফেরারী নেতারা নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসতে পারবে এ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। মামলার ঝটিলতা কাটাতে না পারলে বিএনপি-জামাতের নেতাদের প্রকাশে আসা অনেক সময়ের ব্যাপার। তবে যখন বিএনপি রাজপথের বাইরে তখন রাজনৈতিক অঙ্গন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রনে থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি। উল্টো বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামীলীগের নেতাদেরও রাজপথে দেখা যাচ্ছে না। যতটুকু দেখা যাচ্ছে তা শুধুই নেতাদের ব্যক্তিগত কর্মসূচীগুলোতে। সর্বশেষ, দ্বাদশ নির্বাচনের সময়ে সকল নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেখা গেছে। এছাড়া, নেতারা রাজপথে না থাকলেও স্থানীয় সাংসদরা তাদের উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতারা দলের চেয়ে নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন। এছাড়াও নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ শীর্ষ একাধিক নেতা-এমন অভিযোগও রয়েছে। আর জেলা ও মহানগর বিএনপি দ্বাদশ নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার বদলে ঘরের কোন্দল নিরসনেই হিমশিম খাচ্ছে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক মোকাবেলার কোন লক্ষণ নেই বললেই চলে।