আজ বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দ্বিগুন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন
নাছির উদ্দিন
আজ বুধবার প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেুপুরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং অফিসার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে নির্বাচনী সরঞ্জাম তুলে দেয়া হয়। এরপরই উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে যান পুলিশ ও আনসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এছাড়া নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ উপজেলায় ৩৫৭টি ভোট কক্ষে ১লক্ষ ১৫হাজার ৫৬৪ জন ভোটার তাদের ভোটদান করবেন। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠ ও সুন্দর করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা প্রস্তত রয়েছে। এ বিষেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব রকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ৭শত আনসার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বে রয়েছে। এছাড়া পুলিশের ৮টি টহল দলসহ বিজিবি ও র্যাব সদস্য স্ট্রাইককিং ফোর্সসহ ১০ জন ম্যাজিট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে কোন প্রার্থী বা তার লোকজন বাঁধা সৃষ্টি করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে। বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৪ জন প্রার্থী এবং মহিলা ভাইস চেয়ারমান পদে লাড়ছেন ২ জন প্রার্থী। অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিন্দুমাত্র কাউকে ছাড় দেবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন এবং জেলা প্রশাসন। উপজেলা জুড়ে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছেন। বন্দর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রিয়াজ আহমেদ বলেন, অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ব্যালট পেপার বাদে সব সরঞ্জাম নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসাররা নিজ নিজ কেন্দ্রে চলে গেছেন। সাথে রয়েছে আনসার, পুলিশ। নিরাপত্তার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, পর্যাপ্তের তুলনায় এবার আমরা অনেক বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি। বলা যায়, প্রায় দ্বিগুণ পরিমানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করেছি, যাতে নির্বাচনে কোন অসুবিধা না হয়। নির্বাচনের দিন র্যাব, পুলিশ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিক নির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী অপরাধসমূহ আমলে নিয়ে দ্রæত ও সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান এম এ রসিদ (দোয়াত কলম), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ), জাতীয় পার্টি নেতা মাকসুদ হোসেন (আনারস) ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান (হেলিকপ্টার) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু (উড়োজাহাজ), মোশাঈদ রহমান মুকিত (তালা), মো. আলমগীর (মাইক) ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল (টিউবওয়েল) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীক নিয়ে মাহমুদা আক্তার আর ফুটবল প্রতীক নিয়ে সালিমা হোসেন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।