বন্দরে আ’লীগের ভরাডুবি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
অদক্ষতা ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে নিজেকে দুরে রাখার কারণে বন্দরে আওয়ামীলীগের চরম ভরাডুবি হয়ে বলে মনে করেন তৃনমূল নেতাকর্মীরা। মুষ্টিমেয় কিছু লোককে ক্ষমতার সুবিধা দিয়ে নিজের আখের গুছানোর ফলে গতকাল বুধবার এম এ রশিদ আওয়ামীলীগকে ডুবিয়েছেন। যার করনে বন্দর উপজেলায় এবার আওয়ামীলীগ বিভিন্ন ভাবে বাধাগ্রস্থ হবে। দলকে শক্তিশালী না করে নিজের লোকদের আস্কারা দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের অবজ্ঞা করায় তার চরম ভরাডুবি হয়। বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়ে নিজেকে বড় ক্ষমতাধর জাহির করাসহ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন সময় তুচ্ছ তাছিল্য করায় তার খেসারত তাকে আজ দিতে হয়েছে। তিনি যেমন নিজে ডুবেছেন তেমন বন্দরে আওয়ামীলীগকে ডুবিয়েছেন। নিজের ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে আজ তিনি নিজের ক্ষমতা হারারেন। তিনি দীর্ঘ ৫ বছর যাকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করলেন আজ গণতান্ত্রিক ভাবে তার প্রতিদ্ব›িদ্ব হওয়ায় কুৎসা রটানো থেকে শুরু করে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে চলেছেন। আর তিনি এত ক্ষমতা দেখিয়েছেন উপজেলার চেয়ারম্যান পদের চেয়ারে বসে। এ পর্যন্ত তিনি ৩ বার উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে প্রতিবার হেরেছেন। গতবার শুধু ওসমান পরিবারের দয়ায় বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু এইবার তার উপর ওসমান পরিবারের দোয়া কাজে আসেনি। এখন তিনি বুঝেছেন তাকে বন্দরবাসী পছন্দ করেন না। তাকে বন্দরবাসী চান না। এমনকি নেতাকর্মীরাও তাকে পছন্দ করেন না। নয়তো অনেক আওয়ামীলীগার তার পিছন থেকে সরে গিয়ে প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। এটা তার দলীয় ব্যর্থতা বলে মনে করেন তৃনমূল নেতাকর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা বলেন, এম এ রশিদ আওয়ামীলীগের জন্য অভিশাপ। তিনি বন্দরে আওয়ামীলীগকে দুবর্ল থেকে অধিক দুর্বল করে রেখেছেন শুধু তার ক্ষমতাকে জাহির করে রাখার জন্য। বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আর এ সময় আওয়ামীলীগ নেতা নির্বাচনে হেরে যায় এ লজ্ঝা আওয়ামীলীগের। তিনি যেমন ডুবেছেন তেমন বন্দরে আওয়ামীলীগকে ডুবিয়েছেন। তাই তার এখনই আওয়ামীলীগের পদ ছেড়ে দিয়ে অবসরে চলে যাওয়া। তা হলে নতুন নেতৃত্ব এসে দলকে শক্তিশালি করতে পারবে। বন্দরবাসী যেমন এম এ রশিদকে বর্জন করেছে তেমন দলীয় নেতাকর্মীদের উচিত দলীয় স্বার্থে তাকে বর্জন করা। তা হলে বন্দরে আওয়ামীলীগ রক্ষা পাবে এবং ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যাবে।