আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:২৪

চুন্নু স্বৈরশাসকের নেতা

ডান্ডিবার্তা | ০৯ মে, ২০২৪ | ১১:১০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
স¤প্রতি এমপি হিসেবে নিজের সম্মানী ও সরকারি বরাদ্দের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তার এমন কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। এর জবাবে মুজিবুল হক চুন্নুকে ‘স্বৈরশাসকের নেতা’ বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার সুমন। তিনি বলেন, চুন্নু স্বৈরশাসকের নেতা। তিনি এর আগে তীব্রভাবে সমালোচনার ‍মুখোমুখি হননি। এজন্যই উনার এত গাত্রদাহ। এমপিরা কত বরাদ্দ পান তা জনগণের জানার অধিকার আছে। আমি সেটা প্রকাশ করেছি। এতে চুন্নু সাহেবের সমস্যা কোথায়? গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন এমন মন্তব্য করেন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ চুন্নু স্পিকারের কাছে বিচার দিয়েছেন। যেহেতু পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি কথা বলেছেন, সেহেতু আমি উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি বিরোধিতা করবেন সরকারি দলের, কিন্তু তিনি বিরোধিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর। কী বিষয়ে করছেন? তার তো আরও খুশি হওয়ার কথা যে, আমরা আমাদের হিসাব দেয়া শুরু করেছি। আমার দুঃখ হয়েছে, তার এলাকার মানুষের জন্য, যাদের কাছ থেকে তিনি এমপি হয়ে সংসদে এসেছেন। ওই এলাকার মানুষের অধিকার নেই তাদের এমপি কত টাকা বরাদ্দ পান, সেটা জানার। তার বক্তব্য ছিল, আমি যেন কোনোভাবেই ফেসবুকে না জানাই, কে কত টাকা বরাদ্দ পাই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলাকাতে শাড়ি বণ্টন করার জন্য দিয়েছিলেন। এটা যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, এটা কী আমি বলবো না? এটা কী আমি লুকিয়ে রাখবো, এটা কী আমি বিক্রি করে দিবো? আমি বুঝতে পারছি না, স্বচ্ছতার মধ্যে সমস্যাটা কোথায়! আমি যদি স্বচ্ছ হতে চাই, যে বরাদ্দ পাই, এটা যদি আমি বলে দিতে চাই, এখানে এমপি হিসেবে কী অপরাধটা আমি করেছি? আমি কিন্তু বার বার বলেছি, এমপি পদ কিন্তু আমার পেশা না। আমি সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার হিসেবে কাজ করি। আমি কথা দিয়েছি, এমপি হিসেবে একটি টাকাও হারাম খাবো না। তাই যে টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দ পাব, সেটা আমি তুলে ধরবো। জাতীয় সংসদে চুন্নুর অবস্থান পরিষ্কার নয় দাবি করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তিনি দাবি করেন বিরোধী দল, কিন্তু থাকেন সরকারি দলের ভেতরে। এখন এসেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের মুখ বন্ধ করতে। সংসদ সদস্য হিসেবে বরাদ্দ পাওয়ার বিষয় আমি ফেসবুকে প্রকাশ করেই যাবো। আমার মনে হয়, তার রাজনীতি করাটাই পেশা। এটা থেকে তিনি সবকিছু নির্বাহ করেন কি না আমার জানা নেই। তার আলাদা কোনো পেশা থাকলে তিনি এটা নিয়ে চিন্তা করতেন না। আবার চুন্নু সাহেব বুদ্ধি করে আরেকটা কাজ করেছেন, বাকি এমপিদের দলে টানার জন্য যে, ৩৪৯ জন এমপির বদনাম হচ্ছে এটি বলে। কী আশ্চর্যের ব্যাপার, একটা মানুষ এমপি হওয়ার পর তার নামে আসা বরাদ্দটা বলবে না? আমি বলে দিব, জানান ব্যারিস্টার সুমন। এর আগে গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার সুমনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। ব্যারিস্টার সুমনের নাম প্রকাশ না করে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ বলেন, আমাদের হাউজের একজন সংসদ সদস্য। নামটা বলতে চাই না, তিনি নতুন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ফেসবুকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আমরা সবাই ভুক্তভোগী। কেবল ‘সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য’ নতুন সংসদ সদস্যের এমন আচরণ উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেন বিরোধী দলীয় এ সংসদ সদস্য। স্পিকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি হলেন এই সংসদের অভিভাবক। আমাদের কোনো সদস্য যদি এমন কোনো কথা বলেন, যে কথায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ ৩৪৯ জন এমপি (সায়েদুল হক সুমন ছাড়া) সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবেৃ তার সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করবার জন্য যদি এ ধরনের কথায় ভুল বার্তা যায়, বিষয়টা আপনি দেখতে পারেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা