ধামগড় মৌজায় ভ‚মি অধিগ্রহণে জমির ন্যায্য মূল্যের দাবীতে মেয়র ও ডিসির কাছে আবেদন
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলার ধামগড় ও লক্ষণখোলা মৌজায় নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অধীনে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ভ‚মি অধিগ্রহণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে ওয়েষ্ট কটন প্রসেসিং কারখানা মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টার প্রাইজের ১০২ শতাংশ জমির ন্যায্য মূল্যের দাবীতে প্রোপ্রাইটর মোঃ জুয়েল মিয়া ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ভ‚মি অধিগ্রহণ শাখার একটি আবেদন করেন এবং একই দাবীতে একই বছর ১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বরাবর একটি দরখান্ত করেন প্রোপ্রাইটর মোঃ জুয়েল মিয়া। বিগত দিনের দরখাস্তের কোন প্রকার সাড়া না পেয়ে জুয়েল মিয়া গত ৬মাচ আবারো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভীর বরাবর একই দাবীতে একটি দরখাস্ত করেন এবং এর অনুলিপি প্রদান করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হকের নিকট। ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মেসার্স মায়ের দোয়া প্রতিষ্ঠানটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়, এতে প্রতিষ্ঠানের সকল মালামাল পুড়ে যায় এবং ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এরপর থেকে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় দাড় করাতেই জুয়েল মিয়া আর্থিক ভাবে নিঃশ্ব হয়ে যায়। এমতাবস্থায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অধিনে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। উক্ত অধিগ্রহণের মেইন রাস্তার পাশের জমি বিক্রি হচ্ছে ১২-১৩ লক্ষ টাকা। এই অধিগ্রহনে যে সকল জমির মালিক রয়েছেন জুয়েল মিয়া তাদের একজন। জুয়েল মিয়া তার মালিকানা কারখানা মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ স্থাপিত ১০২ শতাংশ জমির ন্যায্য মূল্যের দাবীতে গত ৬মার্চ যে আবেদনটি করেছিলেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো। বরাবর, মাননীয় মেয়র মহোদয়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নারায়ণগঞ্জ। বিষয়ঃ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বন্দর উপজেলার, ধামগড় ও লক্ষণখোলা মৌজায় ভ‚মি অধিগ্রহনে ধামগড় মৌজায় আমার ১০২ শতাংশ জমির ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির আবেদন। জনাব, যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নি¤œ স্বাক্ষরকারী মোঃ জুয়েল মিয়া, পিতা- হাজী মোঃ মনিরুদ্দিন মিয়া, সাং- ১৭৯ নং, উত্তর লক্ষণখোলা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৫ নং ওয়ার্ড, থানা- বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জ বিগত ২০০৯/১০ সাল থেকে বন্দর উপজেলার, মনারবাড়ির মেইন রাস্তার পাশে ধামগড় মৌজায় আর.এস ২২৯১নং দাগে ৪৮ শতাংশ বাড়ি, ২২৯৩ নং দাগে ১৬ শতাংশ বাড়ি, ২২৯৬ নং দাগে ২২ শতাংশ বাড়ি ও ২২৮৮নং দাগে ১৬ শতাংশ বাড়ি একুনে মোট ১০২ শতাংশ বাড়ি ক্রয় করিয়া যমুনা ব্যাংক লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক লিঃ থেকে প্রায় দশ কোটি টাকা লোন নিয়া উক্ত তফসিল বর্ণিত ১০২ শতাংশ জমির উপর আমার ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের নামে ওয়েষ্ট কটন প্রসেসিং কারখানা নির্মাণ করিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিতেছি। গত ২০২১ সালের ১৯অক্টোবর আমার উক্ত কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়, অগ্নিকান্ডে প্রায় ষোল কোটি তেত্রিশ লক্ষ ছেষট্টি হাজার পাঁচশত টাকা ক্ষতি সাধিত হয় এবং ঐ সময় কারখানার ডেকোরেশন, মেশিনারিজ সামগ্রী, শ্রমিক ছাটাই বাবদ ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ দাড়ায় প্রায় ১৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। বর্তমানে আমি ব্যাংক থেকে নেওয়া লোনের টাকাও এখন পর্যন্ত পরিশোধ করিতে পারি নাই। আমার উক্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানটি আপনার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অধিনে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করা হবে সে অধিগ্রহণে আমার উক্ত কারখানাটি পরিয়াছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানিতে পারিলাম যে, উক্ত অধিগ্রহণের আওতায় বাড়ির প্রতি শতাংশ জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লক্ষ বাষট্টি হাজার পাঁচশত টাকা এবং প্রতি শতাংশ জমির বানিজ্যিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র পঁঞ্চাশ হাজার টাকা, বর্তমানে আমার উল্লেখিত তফসিল বর্ণিত জমির পাশের জমি প্রতি শতাংশ নগদে বেঁচা কেনা হচ্ছে ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা। এমতাবস্থায় আমি এমনিতেই ব্যবসায়িক ক্ষতিতে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত, আমার প্রতি নির্দয় না হয়ে আমার তফসিল বর্ণিত উক্ত জমির উপর কারখানা নির্মাণে সকল প্রকার অর্থনৈতিক বিনিয়োগ তদন্ত পূর্বক সুবিবেচনা করে আমার জমির ন্যায্য মূল্য পরিশোধের জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি, এছাড়া আমার প্রতি নির্দয় হলে ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে একেবারে নিঃস্ব হয়ে দেউলিয়া হয়ে যাব। অতএব, জনাব সমীপে আকুল আবেন এই যে, তিনি যেন আমার উল্লেখিত তফসিল বর্ণিত ১০২ শতাংশ জমির ন্যায্য মূল্য প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মর্জি হন।অনুলিপি,মাননীয় জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ।বিনীত নিবেদক-(মোঃ জুয়েল মিয়া) প্রোপ্রাইটরঃ মেসার্স মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ। ধামগড়, বন্দর, নারায়ণগঞ্জ।