আ’লীগ নেতাদের নগ্ন হস্তক্ষেপও ঠেকাতে পারেনি মাকসুদের বিজয়
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া বন্দর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে। নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী এক এমপিসহ ক্ষমতাসীনদলের প্রভাবশালী নেতাদের হস্তক্ষেপও ঠেকাতে পারেনি মাকসুদ হোসেনের বিজয়। এদিকে, মাকসুদের বিপুল ভোটের বিজয়ের মাধ্যমে বন্দরসহ পুরো নারায়ণগঞ্জে আলোচনা চলছে, সাংসদ নির্বাচনে যদি উপজেলা নির্বাচনের মত সুষ্টু ভাবে অনুষ্ঠিত হতো তবে, প্রভাবশালী এমপিদের অনেকের জামানত বাজায়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এমনকি, বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এম রশিদের পক্ষে প্রভাবশালী এক এমপির নগ্ন হস্তক্ষেপ ভালো ভাবে নেননি বন্দরের সাধারন মানুষ। এম এ রশিদের পক্ষে ঐ প্রভাবশালী এমপির হস্তক্ষেপের কারনেই বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন তিনি এমনটাই জেলাবাসীর ধারনা। সূত্রমতে, বন্দর উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ের হাসি হেসেছেন মাকসুদ হোসেন। বন্দর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের এই প্রার্থী রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিশাল জয়ের মাধ্যমে। তার প্রতিদ্ব›দ্বী আলোচিত দুই প্রার্থী তাদের উভয়ের মোট ভোট মিলিয়েও ছুঁতে পারেনি মাকসুদকে। নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদের চেয়েও ১৫ হাজার ৩৫ ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাকসুদ। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরাগভাজন হয়েও মাকসুদের এই ভোটের ফলাফল নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে বন্দর তথা গোটা নারায়ণগঞ্জে। অনেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা রশীদের পরাজয়টাকে একটি অশনি সংকেত হিসাবে নিয়েছে। সূত্রেমতে আরো জানা যায়, স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে সাংসদসহ তাদের আত্বীয়দের নির্বাচন অংশগ্রহন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল কেন্দ্র থেকে। এমনকি এমপিরা কোন প্রার্থীর পক্ষে হস্তক্ষেপ না করার জন্য নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের সকল ধরনের নির্দেশকে অমান্য করে বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদের পক্ষে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেন প্রভাবশালী দুই এমপি। এমনকি প্রভাবশালী ঐ এমপি বর্তমান বিজয়ী প্রার্থী মাকসুদকে পরাজিত করার জন্য সকল ধরনের অপচেষ্টা করে আসছিল। তাছাড়া, যদি এম এ রশিদ পরাজিত হন তবে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বন্দরবাসীকে বঞ্চিত করা হবে বলেও হুমকি ধামকি প্রদান করেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রভাবশালী ঐ এমপির প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ের হাসি হেসেছেন মাকসুদ। এখন দেখার বিষয়, ঐ প্রভাবশালী এমপি বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর আর্শিবাদ নাকি অভিশাপ অবর্তীন হয় এটাই দেখার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৪টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪। মোট ভোট পড়েছে ৬০ হাজার ৩৪০টি, শতাংশের হিসাবে যা ৪৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৪৪১। আর বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৮৯৯টি।