অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে ডুবছে বিএনপি
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিএনপির রাজনীতি করে আগের মতো জোশ পাচ্ছেন না নেতাকর্মী। কেন্দ্রীয় নেতাদের ইশারায় অদক্ষ ও দুর্বল নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত হয় কমিটি। নিষ্ক্রিয়রা কমিটিতে নাম লিখিয়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীকে করে ফেলেন ‘বোতলবন্দি’। এমন অবমূল্যায়নে দলের অনেকেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ। ১৩ সাংগঠনিক মহানগর কমিটির সবকটিই এখন মেয়াদহীন। ফলে সরকারবিরোধী আন্দোলনে আগেই ফেল মেরেছেন মহানগরের নেতারা। দায়িত্বশীল নেতাদের অকার্যকর ভূমিকা, কর্মীর পাশে না দাঁড়ানো এবং সমন্বয়হীনতায় জাতীয় নির্বাচনের পর দলে বড় ধরনের তালগোল পেকেছে। পাশাপাশি মামলা-হামলা মোকাবিলা করতে করতে একরকম ‘কুপোকাত’ দলটির কর্মীরা। এর মধ্যেই দলটির ঘরোয়া বিবাদ আরও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে গেছে। অভিযোগ আছে, এ দলাদলিতে আশকারা দিচ্ছেন খোদ কেন্দ্রীয় নেতারাই। নেতাকর্মী জানান, কারাবন্দি হওয়ার পর তাদের মামলা পরিচালনা থেকে শুরু করে চিকিৎসা, কারাগারের খরচ– সবকিছু বহন করতে হয়েছে পরিবারকে। এতে ত্যক্ত-বিরক্ত অনেকে রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়েছেন। রাজনীতি করে আর ‘রাজা’ হতে চাইছেন না তারা। অন্যদিকে, বিএনপির অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ সামনে রেখে অনেক হতাশ কর্মী নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেছেন। অনেকে নিজের ব্যক্তিগত আর কর্মজীবনকে প্রাধান্য দিতে শুরু করেছেন। এমন হযবরল পরিস্থিতির মধ্যেও ঘুরে দাঁড়ানোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার চেষ্টা করছে বিএনপি। এই যেমন– গেল রোজার মাসে প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় ইফতার মাহফিল করে সাধারণ নেতাকর্মীকে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করেছে। তবে তাতেও খুব একটা কাজ হয়নি। কোনোভাবেই আগের মতো কর্মসূচি জমাতে পারেনি দলটি। বিগত আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে এখানকার প্রভাবশালী নেতা তৈমূর আলম খন্দকার ও এ টি এম কামালকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। পরে গত জাতীয় নির্বাচনের আগে তৈমূর কথিত কিংস পার্টি ‘তৃণমূল বিএনপির’ মহাসচিবের দায়িত্ব পেয়ে নির্বাচনেও অংশ নেন। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এ দুই নেতাকে নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও তারাই ছিলেন নেতাকর্মীর কাছে পরিচিত মুখ। তাদের জায়গায় সে রকম কোনো নেতা তৈরি করতে পারেনি বিএনপি।