আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১২:১১

ছোট হয়ে আসছে বুড়িগঙ্গা!

ডান্ডিবার্তা | ১২ মে, ২০২৪ | ১২:৫১ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বুড়িগঙ্গার তীরের উভয় পাড়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শতাধিক স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এতে নদী ভরাট ও দূষণ হচ্ছে। এ ছাড়া ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধে এলাকাবাসীকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশী নাজুক অবস্থা ফতুল্লা বাজারের পেছনে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ের চিত্র। দূর থেকে দেখলে হয়তবা মনে হবে এটা কোন ময়লার ভাগাড় কিন্তু বাস্তবে না নয়। এটা হচ্ছে প্রতিদিন ফতুল্লা বাজারে কাচামাল ক্রয়-বিক্রয় শেষে যে ময়লাগুলো অবশিষ্ট থাকে তার পুরোটাই ফেলা হচ্ছে বাজারের পাশেই বুড়িগঙ্গা নদীতে। যার ফলে বুড়িগঙ্গা নদীর পরিবেশটা এতটাই খারাপ পর্যায়ে যাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে ফতুল্লা বাজার মালিক সমিতির সভাপতি কাজি দেলোয়ার হোসেন নিজে যেন ব্যবসায়ীদেও দ্বায়িত্ব প্রদান করেছেন বুড়িগঙ্গা নদীকে দুষিত করতে। সরেজমিনে দেখা যায়, ফতুল্লা বাজারের পিছনের অংশে যে ঘাটলাটি তৈরী হয়েছে তার পাশেই রয়েছে ময়লার স্তুপ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফতুল্লা বাজারের ভেতরে যে পরিমান ময়লা অবশিষ্ট হচ্ছে তা পুরোটাই যাচ্ছে বুড়িগঙ্গার বক্ষে। মাছ বাজারের মাছের ময়লা, গরু জবাইয়ের পর যে ময়লাগুলো জমছে, কাঁচাবাজারের সমস্ত ময়লাগুলোও যাচ্ছে এ নদীতে। বর্তমানে ফতুল্লা বাজারের পাশ দিয়ে বিআইডবিøউএ’র অধীনে ওয়াকওয়ের নির্মান কাজ চলছে। ফতুল্লা বাজারের কসাইগুলো এ নির্মান কাজের উপর দিয়েই তাদের জবাইকৃত পশুর বর্জ্যগুলো সরাসরি নদীতে ফেলে নদীর পানিগুলো দুষনের চরম পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও ফতুল্লা থানার উল্টোপাশে অবস্থিত আজাদ ডাইংয়ের কেমিকেল মিশ্রিত পানিগুলোও সরাসরি বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে বুড়িগঙ্গা নদীর পানিগুলোও যেন সেই ডাইংয়ের পানির রংয়ে পরিচিতি লাভ করেছে। স্থানীয়রা জানান, বাজার এবং ডাইং উভয়ই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখানে সরকারি কোন নিয়ম-কানুন তারা মানেনা। তারা যেটা করছে সেটাই আইনে পরিণত হচ্ছে। দিনের পর দিন বাজারের বর্জ্যগুলো বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে নদীকে দূষিত করে রাখলেও তা যেন কেউ দেখছেনা। সরকার নদী দূষনের জন্য যতই আইন করছেনা কেন তা কর্ণপাত করার সময় নেই বাজার পরিচালনা কমিটির সদস্যদের। পাশাপাশি আজাদ ডাইংয়ের কেমিকেল মিশ্রিত পানি বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরও না দেখার ভান করে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন, এক সময় বাজারের পাশেই এ নদীতে আমরা গোসল করতাম। এখন আর তা করা সম্ভব হচ্ছেনা বাজারের আবর্জনা এবং ডাইংয়ের কেমিকেল মিশ্রিত পানি যেন পুরো নদীকে দূষিত করে ফেলেছে। এখন গোসল করাতো দূরের কথা নদীর সামনে গিয়ে বসলেই দুর্গন্ধে পেটের ভেতরে থাকা নাড়ি-ভুড়িগুলো মোচর দিয়ে উঠে। আমরা চাই অতিদ্রæত এ বুড়িগঙ্গা নদীকে এ দূষণকারীদের কবল থেকে রক্ষা করা হোক। তবে অনেকের দাবী নদী দুষনরোধ কল্পে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিরবতাকেই দায়ী করছেন তারা। ফতুল্লা থেকে পাগলা বাজার পর্যন্ত নদীরপাড়ে যেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে বুড়িগঙ্গা নদীকে মেরে ফেলছে তাহলে দুইটি প্রশাসনকি চোখে টিনের চশমা ব্যবহার করছেন কিনা তা আমাদের বোধগম্য নয়। নদী বাচাঁতে জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নিরবতাকে সন্দেহের চোখে দেখছেন স্থানীয়রা।
ই-১৯ পি-৪ কলাম-১




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা