আজ বুধবার | ৭ মে ২০২৫ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ | ৮ জিলকদ ১৪৪৬ | সকাল ৭:০০

অঝোরে কাঁদলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

ডান্ডিবার্তা | ১৪ মে, ২০২৪ | ২:৪১ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বিশ্ব মা দিবসে অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে অঝোরে কাঁদলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী মেহজাবীন। সন্তানদের কৃতিত্বের জন্য দিবসটিতে শোবিজ ও বিভিন্ন অঙ্গনের ১১ রতœগর্ভাকে ‘গরবিনী মা’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। গত রোববার দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কনভেনশন সেন্টারে ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এদিন অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর মা গাজালা চৌধুরীকেও পুরস্কৃত করা হয়। এসময় নিজের মাকে সম্মানিত হতে দেখে অঝোরে কাঁদতে থাকেন মেহজাবীন। এরপর মাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘নিজের কাজের জন্য মাকে সম্মানিত হতে দেখার আনন্দটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমার মনে হয়, প্রত্যেকটা সন্তানই যখন তার মা সম্পর্কে কথা বলতে যায় তখন সবার চোখেই পানি চলে আসে। আজকে আমার যে অবস্থান তার পেছনে আমার মায়ের অবদান অনেক। আমাকে এখানে আসতে সহযোগিতা করতে গিয়ে মা যে কতটা ত্যাগ করেছেন সেটা হয়ত আমি এখানে বলতে পারব না! সেই ত্যাগের কথা বলে তাকে ছোট করতে চাই না এই মঞ্চে। ’ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সময়ের কথা স্মরণ করে মেহজাবীন বলেন, ‘২০০৯ সালের দিকে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা দেখে এতে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছে জাগে আমার। এরপর আমি লুকিয়ে সেখানে অংশগ্রহণ করি এবং মাকে জানাই, আমি এখানে সুযোগ পেয়েছি। এরপর মায়ের কাছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ চাই। তিনি সম্মতি দেন। ট্রেনিংয়ের জন্য চট্টগ্রাম থেকে মা এবং আমার সাড়ে তিন বছরের ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকায় আসি। তখন ঢাকায় সেভাবে থাকার জায়গা ছিল না, আত্মীয় থাকলেও তাদেরকে জানাতে মাকে নিষেধ করি। কারণ যদি প্রতিযোগিতায় যদি হেরে যাই তাহলে সেটা খুবই লজ্জাজনক হবে। এরপর মা আর ছোট ভাইকে নিয়ে হোটেলে উঠি। সেখান থেকে ক্যাম্পিং করতাম আর প্রতিদিন মায়ের বিষণ্ন মুখটা দেখতাম, আমার জন্য মা কতটা কষ্ট করেছেন। ’এই লাক্স তারকা আরও বলেন, ‘আমি যখন সেরা ২৫-এ সিলেক্ট হই তখন ভেবেছিলাম মা খুশি হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরবেন কিন্তু মা তখন শুধু বলেছিলেন, ওহ আচ্ছা, ভালো। সেদিন আমরা আবার ঢাকা থেকে বাসে করে চট্টগ্রাম যাই। সেই সময়ে আমার মা ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে জানালায় মাথা হেলান দিয়ে বাইরে দেখছিলেন। সেই মুহূর্তটা আমাকে এতটা কষ্ট দিয়েছিল যেটা আমি বলে বুঝাতে পারব না। সেই সময় আমি প্রতিজ্ঞা করেছি যে, শুধু এই প্রতিযোগিতাই বিজয়ী নয়, সব কিছুতে সাকসেসফুল হব এবং আমার মায়ের সব কষ্ট দূর করে দেব। ’




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা