তৃনমূলকে মূল্যায়ন করছেনা শীর্ষ নেতারা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দরে প্রথম অগ্নিসন্ত্রাসীদের আটক করেন বাদশা মৃধা, সিফাত ও রবিনরা। অগ্নিসন্ত্রাসীদের আটক করতে পারলে পুরস্কৃত করার ঘোষনাও দিয়েছিলেন ঢাকা গোয়ান্দা শাখার প্রধান। সেই সাথে দলের পক্ষ থেকেও পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই ঘোষণা শুধু ঘোষণাই আছে। বাস্তব চিত্র উল্টো। জীবনের মায়া ত্যাগ করে অগ্নি সন্ত্রাসীদের আটক পূর্বক পুলিশে সোর্পদ করে আরো বিপাকে আছে। উগ্র অগ্নিসন্ত্রাসীরা জেল হাজত থেকে বের হয়ে তাদের উল্টো হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রশাসন ও সরকার দল থেকে যেখানে পুরস্কৃত করার কথা ছিল, সেখানে উগ্রবাদীদের দ্বারা নানাভাবে হুমকির শিকার হচ্ছেন বলে বাদশা মৃধা জানান। ত্যাগীরা অভিমানী হয়, বেঈমান হয় না। ত্যাগী নেতাদের মধ্যে একজন মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক নাসিক ২৩নং ওর্য়াডের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন বাদশা মৃধা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে অগ্নি সন্ত্রাসী আটক করে আলোচনায় বাদশা মৃধা থাকলেও নুন্যতম সম্মান করতেও ভুলে গেছেন ক্ষমতাসীন দল। এখনো সময় আছে সংগঠনকে গতিশীল করতে তৃনমূলকে মূল্যায়ন করার। তৃনমূল বাচলে, বাচবে সংগঠন ও দেশ। সেই ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে ভুলে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক দলের মধ্যে সবচেয়ে শীর্ষ স্থানীয় ও দেশ গঠনে যে দলের সর্ব্বোচ অবদান। আওয়ামী লীগ দেশ গঠনের নায়ক ও সকল আন্দোলন সংগ্রামের স্বাক্ষী। সেই বৃহত্তর সংগঠনের শীর্ষ নেতারা ক্ষমতার প্রলোভনে ও দাপটে অবস্থানে থেকে নিজেদের আখের গুছাচ্ছে। ভুলে যাচ্ছেন দলের রাজনীতির গঠনতন্ত্রের মূল বিষয়গুলো। তৃনমুল বাচলে, বাচবে সংগঠন ও দেশ অথচ শীর্ষ নেতারা মরিয়া নিজেদের নিয়ে। মূল্যায়ন তো দূরের কথা আরো পিছন থেকে ত্যাগীদের লেং মারার জন্য নিখুঁত মাইন্ডে কাজ করে যাচ্ছে তার প্রমানসহ অভিযোগ রয়েছে। তৃনমূল বাচলে, বাচবে দেশ ও সংগঠন। সেই তৃণমূলকে মূল্যায়ন করতে ভুলে গেছে। সেই অবমূল্যায়নের খেশারত স্বরুপ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও সদ্য অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে হারে হারে পেয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বৌদ্ধারা। বন্দরে হরতাল সমর্থনে ছাত্রদলের মশাল মিছিলের সময় আটককৃত ২ জনকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। গত ২৯ নভেম্বর রাতে ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসীরা মশাল মিছিল করে। এ সময় নাসিক ২৩নং ওর্য়াড সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বাদশা মৃধা ও সিফাত, রবিনদের নের্তৃত্বে ৬/৭ জন তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া দিলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ফাহিম (২৮) ও হাসিবুল ইসলাম (৩০)কে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে অকটেন ও এক প্রকারের পাউডার উদ্ধার করেন। ২৯ নভেম্বর রাত পৌনে ৮ টার সময় নাসিক ২৩নং ওর্য়াডের বাগবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই বন্দর থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃতদের ৩০ নভেম্বর দুপুরে বন্দর থানার রুজুকৃত ৩৩(১১)২৩ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গত ৩০ অক্টোবর বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের ফুলহার এলাকায় নাশকতার করার জন্য বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতাল সমর্থনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ ও যাত্রিবাহী গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে বন্দর থানায় মামলা রুজু করে পুলিশ। সূত্র মতে, বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতাল সমর্থনে বাগবাড়ি এলাকায় ঝটিকা মশাল মিছিল করে। বুধবার রাতে মশাল মিছিল করার সময় বাদশা মৃধা ও সিফাত কবিরের নের্তৃত্বে ৬/৭ জন গিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এ সময় বন্দরের রাজবাড়ী এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে ফাহিম ও হাসিবুল ইসলামকে আটক করে। মশাল মিছিল ও ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসীদের আটকের সংবাদে দ্রæত ঘটনাস্থলে যান মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল, মোসাদ্দেক আলী আঙ্গুর, জাকির হোসেনসহ সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। সরকারদলীয় নেতারা উপস্থিত থেকে বন্দর থানা পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক লক্ষনখোলা এলাকার রোমান ও মদনপুর এলাকার আল আমিনের নের্তৃত্বে এ মশাল মিছিলে ৮/১০ জন ছিল বলে আটককৃতরা তাৎক্ষণিকভাবে জানায়। বন্দর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক মোঃ শওকত ও সহকারী উপ পরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা বলেন, রাজনীতির নামে কেউ অগ্নি সন্ত্রাসী করলে সে যেই হোক না কেন কোন প্রকার ছাড় নেই। অন্য এলাকা হতে এসে বাগবাড়িতে কেন মশাল মিছিল করবে। তাদের ধরে থানা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে এর সাথে আর কে কে ছিল তাদের বের করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবে। মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান কমল বলেন, দেশের শান্ত পরিবেশকে কেউ অশান্ত করার চেষ্টা করলে এক বিন্দু পরিমান ছাড় দেয়া হবে না। ওরা চোরের গুপ্ত হামলা/ মিছিলের নামে অগ্নি সন্ত্রাসী করে। ওরা জানে না প্রশাসনের পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতাকর্মীরাও রাজপথে আছে ও থাকবে। কোন অগ্নি সন্ত্রাসী কারো আপন বা আত্মীয় হতে পারে না। তাদের একটাই পরিচয় তারা অগ্নি সন্ত্রাসী। চলমান প্রেক্ষাপটে মদনগঞ্জ -মদনপুর মহাসড়কের বাগবাড়ি এলাকায় গত রোববার ও সোমবার রাতে মশাল মিছিল করে। বাগবাড়ি হাসপাতালের সামনে রোববার রাতে হঠাৎ মশাল মিছিল করে। একই স্ট্যাইলে সোমবার রাতেও মশাল মিছিল ও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। তারপর থেকে পুলিশের পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা একটু সজাগ দৃষ্টি দেয়। যার ফলসূতিতে বুধবার রাতে মশাল মিছিল পূর্বক মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ধাওয়া করে সেচ্ছাসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন বাদশা মৃধা, সিফাত কবিরের নের্তৃত্বে ৬/৭ জন। ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদলের অগ্নি সন্ত্রাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২ জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। সরকারদলীয় নেতাদের দাবী, এলাকার কোন নেতা বা অগ্নি সন্ত্রাসীদের আস্ফালন ছাড়া অন্য এলাকা হতে এসে বাগবাড়িতে মশাল মিছিল ও রাস্তায় আগুন দেয়নি। স্থানীয় ইন্দনদাতাদের বের করার জন্য পুলিশের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন ভাল সংবাদ জানাতে পারেনি।