আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:২৩

ফ্রি স্টাইলের রাজনৈতিক দল আ’লীগ!

ডান্ডিবার্তা | ২৩ মে, ২০২৪ | ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ এখন একটি ফ্রি স্টাইল রাজনৈতিক দলে পরিণত হচ্ছে। দলের কেউ কাউকে মানছেন না। দলের সিনিয়র নেতারা যে সমস্ত নির্দেশনাগুলো দিচ্ছেন সেই সমস্ত নির্দেশনাগুলো মাঠে অগ্রাহ্য হচ্ছে। সিনিয়র নেতাদের কথা কেউ আমলে নিচ্ছেন না। অধিকাংশ জেলা এবং থানা কমিটি চলছে ফ্রি স্টাইলে। যে সমস্ত জায়গায় কমিটি নয়, সে সমস্ত স্থানে কমিটিও হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ আরও অগোছালো হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে দলের আত্মীয়স্বজন প্রার্থী হতে পারবেন না- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর এ ধরনের ঘোষণার পর যখন তিনি সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন বা তার ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে পারেননি তখন আওয়ামী লীগের ভেতর চেইন অব কমান্ড সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই মনে করেন, যে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে সেই ঘোষণার কোন ভিত্তি নেই এবং সেই ঘোষণাগুলো অকার্যকর। তাহলে আমরা নেতাদের কথা শুনব কেন। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বীকার করেছেন যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের পর এখন আওয়ামী লীগের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। একমাত্র দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কারও কথাই আওয়ামী লীগের নেতারা বিশ্বাস করতে পারছেন না এবং কারও কথা শুনছেন না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা তাদের এলাকায় এক ধরনের আধিপত্য এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। যারা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন বা স্বতন্ত্রদের বিরোধিতা করেছেন তারা এখন ওই সমস্ত নেতাকর্মীদের নির্মূল করার অভিযানে নেমেছেন। আবার একই ভাবে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছেন, তারা এখন স্বতন্ত্রদের পক্ষের লোকজনের নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন। কিছু কিছু এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সংঘাতপূর্ণ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে মুন্সীগঞ্জ একটি। প্রতিটি এলাকায় বিভক্তি এখন প্রকাশ্য। কথায় কথায় মারামারি, ভাঙচুর হচ্ছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের বিপর্যয় ঘটেছে। টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের পছন্দের প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে হেরেছেন। এরপর গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা ঘটেছে তা অবিশ্বাস্য এবং অকল্পনীয়। বরিশালে আবুল হাসনাত আবদুল্লার অনুসারী দুই জন প্রার্থী নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের পছন্দের প্রার্থী হেরে গেছেন। সেখানে একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে বিজয়ী হয়েছেন। এভাবে বিভিন্ন স্থানে এখন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুদ্ধ করছে এবং মজার ব্যাপার হল যে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা তৃণমূলে যেয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। তৃণমূল এখন নতুনভাবে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে এবং তারা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদেরকে আর পাত্তা দিতে রাজি নয়। সবকিছু মিলিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতর বিশৃঙ্খলা এখন ক্রমশ দৃশ্যমান হয়েছে। এই বিশৃঙ্খলা প্রায় ক্ষেত্রে সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। আর এই সহিংসতাকে যদি এখনই বন্ধ না করা যায় তাহলে সামনের দিনগুলোতে আওয়ামী লীগের জন্য বড় ধরনের সংকট আছে বলে অনেকে মনে করেছেন। আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেছেন, দলের তৃণমূলের কর্মীরা এখন নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত। তারা নেতাদের কথায় কান দিচ্ছেন না। এমপিদের নিজস্ব লোক আর তৃণমূলের লড়াইয়ের কারণে আওয়ামী লীগে এখন কেউই কারও কথা মানছেন না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা