কালামকে ঠেকাতে ব্যর্থ সুবিধাভোগীরা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্ব›দ্বীতায় আওয়ামী লীগের চার প্রার্থী থাকলেও এমপিসহ স্থানীয় অনেক নেতাই মাহফুজুর রহমান কালামকে ঠেকাতে মাঠে ছিল। ভোটারদের হুমকি কালামকে সমর্থনকারীদের হুমকি ধমিকিতেও কালামের বিজয় ঠেকাতে পারেনি। ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। যারা হুমকি ধমকি দিয়ে ভোটারদের দমাতে চেয়েছেন তাদের সঠিক জবাব দিয়ে ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে। যা নিয়ে সোনারগাঁসহ সারা শহরে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে। ত্যাগী নেতা কালামকে বাদ দিয়ে সুবিধাভোগীরা বির্তকিত নেতা বাবুল ওমর বাবুকে সর্মথন দিয়েছিলেন। তাদের সমর্খন দেয়া নেতার চরম ভরাডুবি হয়েছে। সোনারগাঁ আসনের এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত ও সাবেক সাংসদ সদস্য এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত হোসেন খোকা সাবেক ও বর্তমান দুইজনই আনারস প্রতিকের প্রার্থী বাবুল ওমর বাবুকে সমর্থনের পর পরই আমেজবিহীন হয়ে পরে সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। এদিকে সমর্থনের পরপরই কায়সার হাসনাতের অতন্ত ঘনিষ্ট সহচর সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মোটর সাইকেল প্রতিকের রফিকুল ইসলাম নান্নু ও দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী আলী হায়দার নির্বাচনী মাঠ থেকে অনেকটাই ঝড়ে পরে। যাকে ঘিরে বর্তমানে কায়সারের সমর্থিত প্রার্থী আনারস ও ঘোড়ায় লড়াই হয়। সে লড়াইয়ে ঘোড়া বিজেয়ের মালা পড়েন। কায়সার হাসনাত ও আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের সমর্থনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল বাবুল ওমর। অপর দিকে কাগজে কলমে এই নির্বাচনে বিএনপি না থাকলেও পর্দার অন্তরালে থেকে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির অনেক নেতা নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে সোনারগাঁয়ে সন্ত্রাস, চাদাঁবাজ, জুয়ার আসরের নেতৃত্ব প্রদানকারী হিসেবে পরিচিত বাবুল ওমর বাবু। যিনি সোনারগাঁয়ে বালু নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে সকল অপকর্মের সাথে জড়িয়ে আছেন বলে একাধিক নেতা অভিযোগ করেন। তাছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান থাকাতেই সোনারগাঁবাসী বাবুতে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন। আর এবার যদি সে উপজেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তাহলে পুরো সোনারগাঁ নিজ দখলে নিয়ে অপকর্মের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ার আশঙ্কায় তার দিক থেকে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ সদস্য কায়সার হাসনাতের সমর্থনের পরপরই যেন রক্ত চক্ষু গরম করে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ-ছাত্রলীগ সকলেই নানা জ¦ালাময়ী বক্তব্যে নির্বাচনী পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তুলেছিল। একই সাথে সাবেক সাংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা লিয়াকত হোসেন খোকার প্রকাশ্যে সমর্থনে জাতীয় পার্টির নেতারা ও বাবুকে সমর্থন করে ছিলেন। এছাড়া সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার পুত্র জেলা যুবদলের যুগ্ম আহŸায়ক খায়রুল ইসলাম সজিব আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবুর পক্ষে গোপনে কাজ করেও তাকে জেতাতে পারেনি। তাছাড়া বিগত দিন থেকেই বিভিন্ন বলয়ের মাধ্যমে বিএনপির ভোট ব্যাংক নিজ আওতায় নিয়ে আসতে বিভিন্নভাবে অর্থের খেলায় মেতেছিল বাবু। এছাড়া গত রমজানে ইফতার মাহফিলে অর্থের দাতা আওয়ামী লীগ নেতা বিতর্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবু। আর এই অর্থ নিজ হাতে তুলে নিয়ে হ্যান্ডওভার করেছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের পিএস সেলিম। বর্তমানে এই বাপ-ছেলে বিএনপির ভোট ব্যাংক বিক্রি করে বাবুর থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে বিশাল অর্থ যাকে ঘিরে নির্বাচনে সোনারগাঁয়ে চলেছে অর্থের ছড়াছড়ি। কিন্তু তাতেও ভোট ব্যাংক ভাগাতে পারেনি বাবু। শুধু তাই নয় সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বির্তকিত নেতা সোহাগ রনি প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মেরে তা ফেসবুকে প্রদর্শন করে নির্বাচনী আইনে অপরাধ করেও বাবুকে রক্ষা করতে ও কালামকে ঠেকাতে পারেনি। আর এবার উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ দু’টি বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যা আওয়ামলিীগের জন্য অশনি সংকেত।