
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের বিভেদ সৃষ্টিকারীদের ভোটাররা ব্যালটে জবাব দিয়েছেন। হুমকি-ধমকিতে ভোটারদের টলাতে পারেনি হুমকিদাতারা। তারা সোনারগাঁ আওয়ামীলীগে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিয়ে প্রকাশ্যে সিলযুক্ত ব্যালট দেখান সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ রনি। পরে ছবিটি নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন তিনি। এনিয়ে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের নেতা সোহাগ রনি প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে ব্যলটে সিল দেয়া ছবি ফেসবুকে আপলোড করায় সমগ্র নারায়ণগঞ্জ জুড়ে তোলপাড় চলছে। খোদ আওয়ামীলীগের স্থানীয় শীর্ষ নেতারা সোহাগ রনির এই আচরণকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ বলে মন্তব্য করে বলেছেন, সোহাগ রনির এই আচরনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের ভাবমূতি ক্ষুন্ন হয়েছে। সেই সাথে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। গত মঙ্গলবার সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সিলযুক্ত ব্যালট প্রকাশ্যে প্রদর্শন ও এর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। সকালে মোগড়াপাড়া এইচ জি জি এস সরকারি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। সোহাগ রনি সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি। জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল হোসেনের আনারস প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে সিলযুক্ত সেই ব্যালট পেপার প্রদর্শন করেন তিনি। পরে সকাল ১০টা ১৭ মিনিটে সেই ব্যালটের ছবি তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সোহাগ রনি বলেন, প্রার্থীকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে প্রকাশ্যে সিল দেওয়া ব্যালট দেখিয়েছেন। সোহাগ রনি আরো বলেন, আইনের বিষয় আমি জানি না। এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও প্রকাশ্যে সিল মেরে ব্যালট প্রদর্শন করেছি। তিনি শুধু নন, আরও অনেকে প্রকাশ্যে সিল দেওয়া ব্যালট প্রদর্শন করেছে। তাদেরও কিছু হয়নি। এদিকে এমপি কায়সার ও সাবেক এম খোকার সমর্থন পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবুল ওমর বাবু। তাকে সমর্থন না করায় তিনি প্রকাশ্যে ঘোষনা দেন, তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার দুই মাসের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরুর বংশ সোনারগাঁ থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দেন। দুই মাসের মধ্যে ‘চৌধুরী বংশ’ উচ্ছেদ করে দিবেন। তার বক্তব্যের একটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপরই জেলাজুড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা শুরু হয়। যার প্রতিফল নির্বাচনে ঘটেছে। সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী না থাকলেও সোনারগাঁ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সমর্থন পেয়েছিলেন বাবুল ওমর। অপরদিকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সাবেক সংসদ সদস্য মোবারক হোসেনের ছেলে এরফান হোসেন দ্বীপসহ আওয়ামী লীগের একাংশের সমর্থন পেয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম। আবু জাফরকে উদ্দেশ্য করে বাবুল ওমর তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘খেলা হবে বিরুর সাথে আমার সাথে। আমি খেলবো একা। আমার নাম বাবু। বইলা দিবা নারায়ণগঞ্জের সিপ্রোসিন ট্যাবলেট বাবু। বাবু বলেন, ‘আমি জিতলে আমার পাঁচ বছর লাগবো না। আমি হেরে ঠিক কইরা ফেলমু এক মাসে। এমনিতেই তো ঠিক কইরা ফেলসিলাম, আল্লাহ জানে বাঁচাইসে। লুঙ্গি রাইখা দিসিলাম। আমি তো তার বাড়ির সামনেই হুমকি দিলাম। বক্তব্যের এক পর্যায়ে বাবুল বলেন, আমি যদি পাশ করি, আর আবদুল্লাহ আল কায়সারের (সংসদ সদস্য) সাথে কাজ করার সুযোগ পাই। তাহলে দুই মাস পরে যদি এই চৌধুরী বংশ আমি উচ্ছেদ না করতে পারি আমি রিজাইন দিব ক্ষমতা থেকে।’ এছাড়াও শম্ভুপুরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের ছেলে রাসেল উদ্দিন। রাসেল উদ্দিন বলেন, এখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজনই বাবু ওমর। আনারসের বাদে দ্বিতীয় কোনো কথা চলব না। চর কিশোরগঞ্জের সম্পুর্ন ভোট আনারসের। অন্য কোনো মার্কায় কোনো ভোট পড়ব। পড়তে পারে দু একজন আছে। ১০ জনের মধ্যে দু’ এককটা দুষ্ট গরু থাকে। তাদের উদ্দেশে বইল্লা দেই, ঘরেই থাকেন। যারা আনারসে ভোট দিতে চান, কেন্দ্রে আইসেন, না দিতে চাইলে ঘরে থাইকেন। আপনাদের ভোটের দরকার নাই। সব ভোট আনারসের। যে কথা নাসির মেম্বার বইল্লা গেছে, সে কথাই শেষ, চর কিশোরগঞ্জের ভোট রিজার্ভ। দ্বিতীয় কোনো কথা, দ্বিতীয় কোনো নেতা এই এলাকায় (চর কিশোরগঞ্জে) জন্মায় নাই, জন্ম হইব না।’ এতসব হুমকি ধমকি দিয়েও বাবুকে জেতাতে পারেনি তারা। তারা পরিকল্পিত ভাবে আওয়ামীলীগকে দুর্বল করার জন্য বিভক্তি সৃষ্টি করেছে। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা বলেন, আমরা কায়সারকে ভোট দিয়ে ভুল করেছি। সে বির্তকিত লোকদের পছন্দ করেন। আর তার জবাব ভোটাররা দিয়েছে। কায়সারের এমন আচরনে আগামীতে তার ভোট কমেছে। এছাড়া সোহাগ রনির মত লোকেরা যতদিন দলে থাকবে দল ততই রসাতলে যাবে। তাদের মত নেতাদের বহিস্কার করা উচিৎ।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯