
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
এখন আর আগের মতো হরতাল, অবরোধ, সহিংসতা বা বিরোধীপক্ষের হটকারিতাও নেই। তবে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলমান। মাঠ উত্তপ্ত করে অহেতুক সহিংসতা ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার বাস্তবতা অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে এসেছে। নারায়ণগঞ্জে রাজনীতিবিদদের মানসিক পরিবর্তন রাজনীতিকে এমন ইতিবাচক ধারায় ফেরাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সূত্রমতে, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের পূর্বাপর রাজনৈতিক সহিংসতা নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। রাজনীতি যদি মানুষের জন্য হয় তাহলে সে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মানুষ কেন প্রাণ হারাবেন-এমন প্রশ্নই বারবার উঠে এসেছে সর্বত্র। সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতা মেনে নিতে পারেনি সাধারন মানুষ। সে সহিংস রাজনীতির খেসারত দিতে হচ্ছে বিএনপিরকে। ২০২৪-পরবর্তী বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মানুষের সাড়া মেলেনি। এমনকি যৌক্তিক ইস্যুতে কোনো আন্দোলনেও মানুষের সমর্থন বাগাতে পারেনি দলটি। উপরন্ত সহিংসতার কারনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং মামলা-হামলার শিকার হতে হয়েছে। রীতিমতো কর্মীশূন্য হয়ে পড়েছে দলের তৃণমূল। এর বড় ধরনের প্রভাব পড়েতে দেখা গেছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে। বিএনপি আর নির্বাচনে অংশ নিতে আসেনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে বিএনপি তার জোটসঙ্গী জামায়াতকে নিয়ে যে সহিংস রাজনীতির ক্ষেত্র তৈরি করেছিল মানুষ সেটাকে ভালভাবে ন্য়েনি। বিএনপি এ থেকে বড় ধরনের শিক্ষা নিয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে। তারা তাদের বক্তব্যে অনড় থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিই পালন করে চলেছে। এর মধ্যে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে ভাবলেও দলটি নিয়মতান্ত্রিক ও অহিংস আন্দোলনের দিকে যাওয়ায় বিএনপির ভূমিকাকে জেলাবাসী ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তবে নারায়ণগঞ্জ সচেতন সমাজ মনে করেন, মানুষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভালোবাসে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়। বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে যে সহিংস রাজনীতি বেছে নিয়েছিল মানুষ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাছাড়া মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক কোনো সমস্যা ইস্যু করে কোনো আন্দোলন এখনো করছেনা বিএনপি। সব সময় জিয়া পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুকেই তারা প্রাধান্য দিয়েছে। তাই মানুষের তেমন সমর্থন পাচ্ছেনা দলটি। অন্যদিকে জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে বামপন্থী দলগুলো বেশ কয়েকটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংঘটিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও সরকারি বাহিনী তাদের সহিংস পন্থায় দমিয়ে রেখেছে। খুন-গুম, মামলা-হামলার মতো সর্বত্র একটা ভয়ের সংস্কৃতি চালু ছিল অতীতের রাজনীতিতে। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এ পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে মানতে নারাজ। বলছেন, অতীতের জ্বালাও-পোড়াও যেমন স্বাভাবিক রাজনীতি নয় তেমনি বর্তমানে একেবারেই নীরব থাকা-এটাও স্বাভাবিক রাজনীতি নয়। এখন রাজনীতির বিরাজনীতিকরণ চলছে। এটা নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য ভীতিকর। সরকারি দল এবং বিরোধী দল কারো প্রতি মানুষের আগ্রহ নেই। এ ধরনের পরিস্থিতিতে উগ্র রাজনীতির উত্থান ঘটতে পারে। নারায়ণগঞ্জবাসী তাদের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, তবে উগ্র রাজনীতির উত্থান বা রাজনীতির অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কেউই কামনা করেন না। যে কোনো উপায়েই রাজনীতি শান্তির ধারায় ফিরোক সেটিই চান সাধারন মানুষ। রাজনীতির রঙ পুরোটা এখনো বদলায়নি এবং রঙ বদলের কিছু ছিটেফোঁটা লাগছে বলে মনে করেন তারা। রঙ বদলাক আর ছিটেফোঁটাই লাগুক- এটুকু পরিবর্তনের পেছনে নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাসীনদলের উপরই কৃতিত্ব দিচ্ছেন সাধারন মানুষ। জেলাবাসী মনে করেন, বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধীদল বর্তমানে ক্ষমতায় যারা রয়েছেন, তাদের নেতা-কর্মীদের যেহারে নির্যাতন করেছেন! এর প্রতিহিংসাংয় বর্তমান ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দ যদি স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের শান্ত না রাখতেন তাহলে আবারো সেই পুরানো চেহারাই দেখতে পেত নারায়ণগঞ্জবাসী। এজন্য নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বর্তমানে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করছে এর জন্য ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দের ভূমিকা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন বলে সাধারন মানুষ মনে করেন।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯