আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১২:১৬

রাজনৈতিক সূচকে শূন্যের কোঠায় আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ২৬ মে, ২০২৪ | ১২:৫৭ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রাজনীতির সুচকে বন্দর আওয়ামীলীগ শূন্যের কোঠার নিচে নেমে গেছে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বন্দরের সিনিয়র নেতারা। নারায়ণগঞ্জ থেকে আওয়ামীলীগ ভাগ হয়ে বন্দর থানা কমিটি গঠনের পর একমাত্র এমপি বাগিয়ে নেয়া ছাড়া আর কোন সফলতা নেই বন্দর থানা আওয়ামীলীগের। বন্দর থানা আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতা নাজিম উদ্দিন জানান, হয়তো ৮৪ বা ৮৫ সালে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের কমিটি থেকে ভাগ হয়ে আমরা বন্দর থানা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করি। তখন বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত ফজলুল করিম। সাধারণ সম্পদক ছিলেন আরজু রহমান ভ’ইয়া আর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম আমি নাজিম উদ্দিন। হয়তো ৮৮ সালের দিকে সভাপতি হন আরজু রহমান ভ’ইয়া ও সাধারণ সম্পদক মোবারক হোসেন। আরজু রহমান ভ’ইয়া জেলা কমিটিতে চলে যাওয়ায় বন্দর থানা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন। তখনও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মোবারক হোসেন। তখন বন্দর আওয়ামীলীগ চাঙ্গা ছিল। সে সময় আমরা আওয়ামীলীগের এমপি এস এ আকরামকে নির্বাচিত করি এবং সফলতা ার্জন করি। ২০০৫ সালে যখন এম এ রশিদ সভাপতির দায়িত্ব নিলেন সে থেকে বন্দর থানা আওয়ামীলীগ ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে লাগলো। তখন এম এ রশিদ সভাপতি হলেন আর সাধারণ সম্পাদক হলেন সাগর। বির্তকিত কর্মকান্ডের কারণে সাগরকে বহিস্কার করা হলে বন্দর থানা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয় আবেদ হোসেনকে। নাামে মাত্র চলতে থাকে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের কমিটি। এ কমিটির কোন সফলতা আর চোখে পড়েনি। পরবর্তিতে বন্দরের কদমরসুল অঞ্চল সিটি করপোরেশনের আওতায় চলে যাওয়ার পর থানা কমিটি হয়ে যায় মহানগর আওয়ামীলীগের অধিনে আর বন্দরের ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি। সে কমিটির সভাপতি থেকে যান এম এ রশিদ। পরে সম্মেলন করে নিজের সভাপতির চেয়ার ঠিক রেখে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনে প্রয়াত কাজিম উদ্দিন প্রধান নির্বাচিত হন। সম্প্রতি তিনি ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এতে করে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ আরো দুর্বল হয়ে যায়। এম এ রশিদ দায়িত্ব নেয়ার পর আর আওয়ামীলীগ চাঙ্গা হতে পারেনি। বর্তমানে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক সূচক শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। এম এ রশিদ কর্মী বিচ্ছিন্ন থাকায় বার বার তাকে এর খেসারত দিতে হয়েছে। সে যতবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ততবার পরাজিত হয়েছেন। শুধু একবার ওসমান পরিবারের দয়ায় বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। সে সময় যদি ভোটের ব্যবস্থা হতো তখনও তিনি পরাজিত হতেন। তারপরও তিনি কর্মী বাহিনী গঠন করতে পারেনি। তিনি অহমিকা আর নিজেই বড় নেতা আর কেহ তার উপরে নেই এ মনোভাব দিখিয়ে দলকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। তাই তুনমূল থেকে দাবি উঠেছে কর্মী বিহীন নেতাকে অচিরেই বাদ দিয়ে দলকে রক্ষার জন্য ত্যাগী কর্মীবান্ধব নেতাদের হাতে দলের দায়িত্ব দিয়ে রক্ষার করার। নয়তো সামনে বন্দরে আওয়ামীলীগ বলার মতো আর কেহ থাকবেনা। অনেকে মনে করেন এম এ রশিদকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে শীর্ষ নেতারা ভুল করেছে। যে ভুলের খেসারত নেকাকর্মীরা দিচ্ছেন। অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে আজ অনেকে দলের কার্যক্রম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। তাই সকলেই এম এ রশিদের বাহিস্কার দাবি করেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা