আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১২:২৪

বেনজীরের ব্যাপারে ছাড় দেবে না সরকার

ডান্ডিবার্তা | ২৭ মে, ২০২৪ | ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বেনজীরের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে সরকার। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বেনজীরের ব্যাপারে কোন রকম ছাড় দেবে না সরকার। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইনের আওতায় যা হয় এবং স্বচ্ছ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন তার সব কিছুই করবে সরকার। উল্লেখ্য, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে একটি জাতীয় দৈনিকে কয়েক পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনগুলোতে বেনজীরের বিপুল সম্পদের কথা উন্মোচিত হয়। এই বিপুল সম্পদ তিনি যে অবৈধভাবে অসাধু উপায়ে করায়ত্ত করেছেন সে সম্পর্কেও বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। ‘বেনজীরের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে ওই ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পর সারা দেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপরই সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং বেনজীরের এই অবাধ সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন যেন এই বিষয়ে তদন্ত করে সে ব্যাপারে নির্দেশনা চান ব্যারিস্টার সুমন। ব্যারিস্টার সুমনের এই আবেদনের প্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট দুর্নীতি দমন কমিশনকে একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেন। দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের বিরুদ্ধে অপরাধগুলোকে তদন্ত করা এবং তদন্ত রিপোর্ট আদালতে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতেই দুর্নীতি দমন কমিশন বেনজীরের অবৈধ অর্থের উৎসের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। এই তদন্তের এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার বেনজীরের স্থাবর সম্পত্তিগুলো ক্রোক করার জন্য আবেদন করে। বিশেষ আদালত সম্পত্তি ক্রোকের আবেদনে সাড়া দেয় এবং সবগুলো স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ৮৪ টি দলিলে বেনজীরের প্রায় ৩৪৫ বিঘা জমির সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলো বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের নামে। এছাড়া বেনজীর, তার স্ত্রী এবং কন্যাদের ৩৩ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। এই প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন এখন এইসব সম্পত্তিগুলো জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি সূত্র বলছে, বিদেশে বেনজীর আহমেদের নামে বেনামে যে সম্পদ রয়েছে, সে সম্পদগুলোর ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে এবং এই সমস্ত সম্পদগুলোর সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান চালাচ্ছে। বেনজীর আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের চাকরি করেছেন। তিনি ডিএমপি কমিশনার, র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং সর্বশেষ পুলিশের আইজিপি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সরকারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং প্রভাবশালী হিসেবে বেনজীর পরিচিত ছিলেন। কিন্তু এই সমস্ত দুর্নীতির তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর সরকার এখন নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। এমনকি বেনজীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। সরকার তার ব্যাপারে একেবারেই নির্মোহ একটি অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয়েছে যে, বেনজীরের দুর্নীতির ব্যাপারে কোন রকম ছাড় দেওয়া হবে না। উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে দুর্নীতির ব্যাপারে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একজন নেতা বলেছেন, বেনজীর যদি দুর্নীতি করেন তার শাস্তি তাকে পেতে হবে। এ ব্যাপারে কোন রকম সহানুভূতি দেখানো হবে না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা