আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:১৪

রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন রশিদ

ডান্ডিবার্তা | ২৯ মে, ২০২৪ | ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ। সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি। তাকে আর নেতাকর্মীরা পায়নি। এছাড়া মেয়াদ থাকা সত্বেও তিনি উপজেলা পরিষদে যাচ্ছেন না। নির্বাচনের আগে অনেক বড় বড় বুলি আওড়ালেও এখন আর তাকে দেখা যাচ্ছে না। তিনি রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন এমন মন্তব্য আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকর্মীর। নির্বাচনের সময় যারা তার পক্ষে মাঠে ছিলেন তারাও এখন তার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে একা হয়ে পড়ছেন এম এ রশিদ। সেই সাথে নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার তার গ্রহনযোগ্যতাও কমেছে এমপি ও প্রশাসনের কাছে। বন্দরের একাধিক নেতা বলেন, এম এ রশিদ পরাজিত হওয়ার পর লজ্জায় মুখ লুকিয়ে রেখেছেন। তিনি এখন আর বাইরে বের হচ্ছেন না। তিনি বর্তমানেও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আছেন কিন্তু নির্বচনে হেরে তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছে না। এদিকে উপজেলা পরিষদের একাধিক কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে জানা যায়, নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান এম এ রশিদ আর পরিষদে আসেনি। এখন তারা নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার অপেক্ষায় আছেন। এদিকে এম এ রশিদ পরাজিত হওয়ায় আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা স্বন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা একটা অযোগ্য নেতার কবল থেকে মুক্ত হতে যাচ্ছি। এম এ রশিদ উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এবার দলিয় পদও হারাবেন। কারণ তিনি ২ যুগের মত সময় এ পদকে কুক্ষিগত করে রেখেন। সৃষ্টি হতে দেয়নি কোন নেতা। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বন্দরে আওয়ামীলীগ ধ্বংস হয়েছে। আওয়ামীলীগ তার নেতৃত্বে কোন সফলতা দেখাতে পারেনি। তিনি শুধু চাটুকারিতা করেই সময় পার করেছেন। বন্দরে বিকশিত হয়নি আওয়ামীলীগের রাজনীতি। তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাবান মনে করতেন। তাই এবার বন্দরবাসী তাকে লালকার্ড দেখিয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে উপড়ে ফেলে দিয়েছেন। কার তার রাজনৈতিক জীবনে কোন উল্লেখযোগ্য সফলতা নেই। যখন আওয়ামীলীগ নারায়ণগঞ্জ থানা থেকে ভাগ হয়ে বন্দর থানা কমিটি গঠন করা হয়েছিল তখন বন্দরের রাজনীতি অনেক চাঙ্গা ছিল। কিন্তু সে সময় থেকে এম এ রশিদ দায়িত্ব নিলেন সে থেকে বন্দরে আওয়ামীলীগ দুর্বল থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। আর বন্দরে আওয়ামীলীগ এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর এর জন্য দায়ি এম এ রশিদ। তার নেতৃত্বের দুরবস্থার শিকার বন্দরের তৃনমূল নেতাকর্মীরা। যে কারনে বন্দরে আওয়ামীলীগের চেয়ে ভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধি বেশী। বন্দরে আওয়ামীলীগ তেমন সফলতা দেখাতে পারবে না। তাই বন্দর আওয়ামীলীগের তৃনমূল এম এ রশিদকে অচিরেই পদ থেকে বহিস্কার করে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে বন্দরে দলকে ঢেলে সাজাতে জেলার শীর্ষ নেতাদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা