আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ১০:২২

রসাতলে বন্দর উপজেলা আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ০৪ জুন, ২০২৪ | ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর আওয়ামীলীগে পরিবর্তনের হাওয়া জোরেসোরে বইছে। দলকে রক্ষার জন্য দলের নিবেদিত যারা তারা একাট্টা হয়ে দলে নেতৃত্ব পরির্বতনের জন্য মাঠে নেমেছে। দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত নেতা কর্মীরা এবার আশার আলো দেখছেন বলে জানা গেছে। নেতাকর্মীরা বলেন দীর্ঘ ২০/২২ বছর যাবত নেতার একগুয়েমীতে দলের কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বন্দরে আওয়ামীলীগ রসাতলে চলে গেছে। বন্দরে আওয়ামীলীগকে রক্ষা করতে হলে দলে নেতৃত্বের পরির্বতন আনা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। দলের একাধিক নেতা বলেন, দলের শীর্ষ পদ দখল করে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ একছত্র ভাবে দলকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। আর দলের সুযোগ সুবিধা একা ভোগ করে দলীয় কর্মীদের দুরে সরিয়ে দিয়েছেন। যার কারণে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলাসহ দলের কর্মীরা তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। দলের নিবেদিত নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দর আওয়ামীলীগের যে অবস্থা তাতে আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। বন্দরে নেতার একক অহমিকা আর সেচ্ছাচারিতার করনে আজ বন্দরে আওয়ামীলীগের দিক থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার প্রমাণ বিগত নির্বাচনগুলিতে দেখা যায়। সম্প্রতি বন্দর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মাত্র ১৩ হাজার ভোট পায়। তাহলে কি বন্দরে মাত্র আওয়ামীলীগের ১৩ হাজার লোক আছে। তা হলে নেতারা এতদিন কি করলেন। কেন তারা সাধারণ মানুষের পাশে থাকলেন না। শুধু তাই নয় বন্দর উপজেলায় আওয়মীলীগের বিশাল ঘাটি হলো ধামগড় ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে নৌকা ফের করে। তাহলে বুঝতে হবে বন্দরে আওয়ামীলীগের কি দুরবস্থা। আর এজন্য দায়ি নেতারা। যারা দলের নেতৃত্বে দিয়েছেন তারা দলকে সংগঠিত করতে পারেননি। তারা শুধু নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত ছিলেন। আর এতে করে নেতারা নিজেরা যেমন কর্মীদের ও সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন তেমন বন্দরে আওয়ামীলীগকে ডুবিয়ে একেবারে রসাতলে নিয়ে গেছেন। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে নেতারা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের যেভাবে হুমকিসহ নানা ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সাধারণ মানুষ ভালভাবে নেয়নি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নেতা রয়েছে। তারা কি করলেন। তাদের কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ ফের করে। শুধু পদ পদবী পেয়ে ঘরে বসে থাকলে দল কখনো চাঙ্গা হবে না। দলের কর্মীদের নিয়ে কাজ করলে দল চাঙ্গা থাকবে। তাই নেতৃত্বে অভাবে বন্দরে দলের আজ বেহাল দশা। এ থেকে উত্তরনের একমাত্র পথ হলো নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা। এজন্য সেই অযোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন করে শক্তিশালী কমিটি গঠনের মাধ্যমে দলকে রক্ষা করতে হবে। আমরা নারায়ণগঞ্জে দলের অভিভাবক হিসাবে এমপি শামীম ওসমানকে মানি। তিনি দলকে রক্ষা করতে বন্দরের দিকে একটু খেয়াল করতে হবে। তার নেতৃত্বে বন্দরে নতুন কমিটি গঠন করে বন্দরে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য আমরা এমপি শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা