
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর আওয়ামীলীগে পরিবর্তনের হাওয়া জোরেসোরে বইছে। দলকে রক্ষার জন্য দলের নিবেদিত যারা তারা একাট্টা হয়ে দলে নেতৃত্ব পরির্বতনের জন্য মাঠে নেমেছে। দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত নেতা কর্মীরা এবার আশার আলো দেখছেন বলে জানা গেছে। নেতাকর্মীরা বলেন দীর্ঘ ২০/২২ বছর যাবত নেতার একগুয়েমীতে দলের কর্মীরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বন্দরে আওয়ামীলীগ রসাতলে চলে গেছে। বন্দরে আওয়ামীলীগকে রক্ষা করতে হলে দলে নেতৃত্বের পরির্বতন আনা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। দলের একাধিক নেতা বলেন, দলের শীর্ষ পদ দখল করে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ একছত্র ভাবে দলকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন। আর দলের সুযোগ সুবিধা একা ভোগ করে দলীয় কর্মীদের দুরে সরিয়ে দিয়েছেন। যার কারণে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলাসহ দলের কর্মীরা তার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন। দলের নিবেদিত নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বন্দর আওয়ামীলীগের যে অবস্থা তাতে আমরা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছিনা। বন্দরে নেতার একক অহমিকা আর সেচ্ছাচারিতার করনে আজ বন্দরে আওয়ামীলীগের দিক থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার প্রমাণ বিগত নির্বাচনগুলিতে দেখা যায়। সম্প্রতি বন্দর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মাত্র ১৩ হাজার ভোট পায়। তাহলে কি বন্দরে মাত্র আওয়ামীলীগের ১৩ হাজার লোক আছে। তা হলে নেতারা এতদিন কি করলেন। কেন তারা সাধারণ মানুষের পাশে থাকলেন না। শুধু তাই নয় বন্দর উপজেলায় আওয়মীলীগের বিশাল ঘাটি হলো ধামগড় ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে নৌকা ফের করে। তাহলে বুঝতে হবে বন্দরে আওয়ামীলীগের কি দুরবস্থা। আর এজন্য দায়ি নেতারা। যারা দলের নেতৃত্বে দিয়েছেন তারা দলকে সংগঠিত করতে পারেননি। তারা শুধু নিজেদের আখের গুছাতে ব্যস্ত ছিলেন। আর এতে করে নেতারা নিজেরা যেমন কর্মীদের ও সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন তেমন বন্দরে আওয়ামীলীগকে ডুবিয়ে একেবারে রসাতলে নিয়ে গেছেন। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচনে নেতারা প্রতিপক্ষ প্রার্থীদের যেভাবে হুমকিসহ নানা ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সাধারণ মানুষ ভালভাবে নেয়নি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের নেতা রয়েছে। তারা কি করলেন। তাদের কেন্দ্রে আওয়ামীলীগ ফের করে। শুধু পদ পদবী পেয়ে ঘরে বসে থাকলে দল কখনো চাঙ্গা হবে না। দলের কর্মীদের নিয়ে কাজ করলে দল চাঙ্গা থাকবে। তাই নেতৃত্বে অভাবে বন্দরে দলের আজ বেহাল দশা। এ থেকে উত্তরনের একমাত্র পথ হলো নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা। এজন্য সেই অযোগ্য নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন করে শক্তিশালী কমিটি গঠনের মাধ্যমে দলকে রক্ষা করতে হবে। আমরা নারায়ণগঞ্জে দলের অভিভাবক হিসাবে এমপি শামীম ওসমানকে মানি। তিনি দলকে রক্ষা করতে বন্দরের দিকে একটু খেয়াল করতে হবে। তার নেতৃত্বে বন্দরে নতুন কমিটি গঠন করে বন্দরে আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে হবে। এ জন্য আমরা এমপি শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
হাবিবুর রহমান বাদল ষোল বছরের স্বৈরশাসনে দেশকে পঙ্গু করে শত দমন পীড়ন আর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দেড় হাজারের বেশী ছাত্র-জনতাকে হত্যার পরও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা তার গতি রক্ষা করতে পারেনি। গত বছরের ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রোষানল থেকে বাঁচার জন্য ছোট বোন রেহানাসহ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আত্মসমর্পণ এতটাই […]
হাবিবুর রহমান বাদল নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার ঘটনা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে। এনিয়ে সাধারণ নাগরিকরা সরব হয়ে উঠেছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা […]
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট: আড়াইহাজার থানায় দায়ের করা উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বাবুল মিয়া হত্যা মামলা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে ২২ আগস্ট হত্যা মামলা করেছেন দুপ্তারা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন। এই […]
প্রকাশক ও সম্পাদক
হাবিবুর রহমান বাদল
০১৯১১০১০৪৯০
hr.badal@yahoo.com
বার্তা ও বাণিজ্যক কার্যালয়
৬. সনাতন পাল লেন
(হোসিয়ারী ক্লাব ভবন, তৃতীয় তলা)
৭৬৪২১২১
dbartanews@gmail.com
রেজি: ডিএ নং-২০৯৯