আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | রাত ১০:০০

তিপান্ন বছরে ১৫ এমপি হত্যার শিকার

ডান্ডিবার্তা | ০৪ জুন, ২০২৪ | ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫৩ বছরে এ পর্যন্ত শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় ১৫ জন সংসদ সদস্য হত্যার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে আনারই হলেন প্রথম যিনি বিদেশের মাটিতে খুনের শিকার হন। খোজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামল ১৯৭২-১৯৭৫ সালে (তিন বছরে) সর্বোচ্চ ৭ জন সংসদ সদস্য হত্যার শিকার হন। এছাড়া সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর বঙ্গবন্ধু সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের শাসনের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে বন্দি অবস্থায় থাকা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী তৎকালীন জাতীয় চার নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রধান হওয়ার পর ১৯৮১ সাল থেকে সর্বশেষ ২০২৪ সাল পর্যন্ত আরও ৪ সংসদ সদস্য খুন হন। এই চার জনের মধ্যে গাজীপুরে ২০০৪ সালে আহসান উল্লাহ মাস্টার ও ২০০৫ সালে শাহ এ এম এস কিবরিয়া হবিগঞ্জে নিহত হন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে। এরপর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের সময় ২০১৬ সালে গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন নিজ বাড়িতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে খুন হন। সবশেষ ভারতের কলকাতায় খুন হলেন আনোয়ারুল আজীম আনার। বঙ্গবন্ধুর আমলে যারা খুন হন আব্দুল গফুর এমপি: সদ্য ভূমিষ্ঠ বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে ৭ জন সংসদ সদস্য হত্যার শিকার হন। এর মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম হত্যার শিকার হন খুলনার ভাষাসৈনিক আবদুল গফুর। খুলনার পাইকগাছা ও আশাশুনি আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এই সদস্যকে ১৯৭২ সালের ৬ জুন গুলি করে হত্যা করা হয়। নুরুল হক হাওলাদার এমপি: ১৯৭৩ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শরীয়তপুরের নড়িয়া আসনের এমপি নুরুল হক। তিনি তৎকালীন ফরিদপুর-১৭ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৩ সালের ৩০ মে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নিজ বাড়ির বৈঠকখানায় আততায়ীর গুলিতে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আবদুল মুকিম এমপি: একই বছর খুন হন ঝালকাঠির এমপি আবদুল মুকিম। তিনি ১৯৭৩ সালে ঝালকাঠি ও নলছিটি থেকে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে সিরাজ শিকদারের সর্বহারা গ্রæপ তাকে গুলি করে হত্যা করে। মোতাহার উদ্দিন আহমেদ মাস্টার এমপি: ১৯৭৪ সালে ভোলার মোতাহার উদ্দিন আহমেদ মাস্টার হত্যার শিকার হন। তিনি ১৯৭০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের ১১৪ নং আসন এবং বাকেরগঞ্জ ৩, বর্তমানে ভোলা ৩, লালমোহন ও চরফ্যাশন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি সন্ত্রাসীরা তাকে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। গাজী ফজলুর রহমান এমপি: ১৯৭৩ সালে তৎকালীন ঢাকা-২২ আসনের নরসিংদীর মনোহরদী এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি ছিলেন গাজী ফজলুর রহমান। তিনি হাতিরদিয়া সাদত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। ১৯৭৪ সালের ১৬ মার্চ বিদ্যালয়ে দায়িত্বপালন অবস্থায় সর্বহারা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। গোলাম কিবরিয়া এমপি: কুষ্টিয়ার গোলাম কিবরিয়া হত্যার শিকার হন ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে। তিনি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা-কুমারখালী থেকে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর সকালে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার সামনে কোরবানির ঈদের জামাত হয়। হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে ঈদের নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন এমপি গোলাম কিবরিয়া। ঠিক নামাজ শুরুর হওয়ার মুহূর্তে জাসদের গণবাহিনীর কর্মীরা তাকে ব্রাশফায়ার করে। এতে গোলাম কিবরিয়াসহ মোহাম্মদ আলী নামের স্থানীয় এক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিহত হন। আবদুল খালেক এমপি: নেত্রকোনা-১ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি এবং নেত্রকোনা মহকুমা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ছিলেন আব্দুল খালেক। নেত্রকোনার মদন-খালিয়াজুরি থেকে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৭৫ সালের ২৩ ফেব্রæয়ারি মুক্তারপুর মাঠে একটি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে রাত ১২টার দিকে বাসায় ফিরছিলেন। কিন্তু বাড়ি না ফিরে তিনি চলে যান চিরতরে না ফেরার দেশে। পথে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু আমলে আরও বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা খুন হন। যারা ১৯৭০ এ আওয়ামী লীগের হয়ে গণপরিষদে নির্বাচিত এমপি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে যারা খুন হন : আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি: গাজীপুর-২ আসন থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন তুমুল জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার। ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকান্ড ঘটায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২২ জনকে মৃত্যুদÐ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত। বিচারিক আদালতে রায়ের পর মামলাটি হাইকোর্টেও শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক পৃথক আপিল আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিরা। এরপর আপিল বিভাগের শুনানির অপেক্ষায় মামলাটি এখনো ঝুলে আছে। শাহ এ এম এস কিবরিয়া এমপি: ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহ আবু মোহাম্মদ শামসুল কিবরিয়া। স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে ফেরার পথে হত্যার শিকার হন তিনি। এ হামলায় কিবরিয়াসহ আরও পাঁচজন নিহত হন। এই হত্যাকাÐের পর ১৯ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো এই মামলার বিচার শেষ হয়নি। মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা চতুর্থ দফায় সরকার গঠনের দ্বিতীয় দফায় ১৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা (মাস্টারপাড়া) গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় নির্বাচিত এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। সেই হত্যাকাÐের দুই বছর ১১ মাসের মাথায় (২০১৯) জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানসহ সাত আসামির সবার ফাঁসির রায় দেন আদালত। আনোয়ারুল আজীম আনার এমপি: চলতি বছর ৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২২ মে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা শিকার হয়েছেন মর্মে তথ্য প্রকাশ করে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইডি)। তবে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তার ‘লাশের’ সন্ধান পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ ও হত্যার রহস্য উন্মোচনে তদন্ত করছে ভারত-বাংলাদেশের গোয়েন্দারা। এদিকে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের (আনার) কলকাতায় খুন হওয়ার পর প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। দেশের ইতিহাসে চলমান সংসদের একজন সদস্যের ভিন দেশে খুন হওয়া এবং মরদেহ খুঁজে না পাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। তবে ঝিনাইদহের টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্যের খুনের ঘটনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আলোচিত হচ্ছে তাঁর বিতর্কিত কর্মকান্ড। ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা এই ঘটনায় বিব্রত আওয়ামী লীগ দলগতভাবে কোনো অবস্থান নিতে পারছে না। তবে আনোয়ারুল আজীম ছাড়াও বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের এমন বিতর্কিত অনেক সদস্য রয়েছেন বলে দলের মধ্যেও আলোচনা আছে। কিন্তু সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য দলে নানা প্রক্রিয়া থাকলেও বিতর্কিত ব্যক্তিরা কীভাবে মনোনয়ন পান, দলটির ভেতরেই এই প্রশ্ন উঠছে। বিতর্কিতদের ব্যাপারে এখনই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ কেউ বলছেন। তবে এসব বিষয় শেষ পর্যন্ত দল কতটা গুরুত্ব দেবে, এই সন্দেহও রয়েছে তাঁদের। গত কয়েক দিনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। কেউ কেউ আনোয়ারুলের খুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অনেকেই বলছেন, তাঁরা বিব্রত। কারণ, সংসদ সদস্যের খুনের চেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সোনা চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগই বেশি আলোচিত হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে এখন পর্যন্ত এই সংসদ সদস্যের খুনের সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত চেয়ে আওয়ামী লীগ কিংবা জাতীয় সংসদ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি দেয়নি। দলটির সূত্র জানায়, এই খুনের ঘটনার পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি কোনো বৈঠক করেনি। ১৪-দলীয় জোটের একটি বৈঠক হলেও সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি। জাতীয় সংসদের অধিবেশন এখন নেই। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির একাধিক বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকেও আনোয়ারুল আজীমের বিষয়টি আলোচনায় আসেনি। দলটির নেতাদের অনেকে বলছেন, আনোয়ারুল আজীম ছাড়াও বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের এমন অনেক সদস্য রয়েছেন, যাঁদের অতীত-বর্তমান কোনোটাই সুখকর নয়। বিশেষ করে ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দুই ডজনের বেশি বিতর্কিত ব্যক্তি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হন। তাঁদের কেউ কেউ পরে বাদ পড়েছেন। কেউ কেউ এখনো রয়ে গেছেন। আর ২০১৮ ও সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে নানা দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা বেশি প্রাধান্য পেয়েছেন। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ করে। সুজনের তথ্যমতে, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ৫৮ শতাংশ প্রার্থী ছিলেন ব্যবসায়ী। সর্বশেষ নির্বাচনে তা দাঁড়িয়েছে ৬৫ শতাংশে। অন্যদিকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৭২ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৮১টি মামলা চলমান ছিল। ১১১ জনের বিরুদ্ধে অতীতে ৩০৬টি মামলা ছিল। সরকারে এসে আওয়ামী লীগের এমপি-নেতাদের মামলা প্রত্যাহার করা হয়। ফলে ২০১৪ সালের নির্বাচনে চলমান মামলা কমে যায়। তবে ১৩০ জনের বিরুদ্ধে ৫৮৩টি পুরোনো মামলা ছিল। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, চিহ্নিত অপরাধীকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয় না। আর কেউ মনোনয়ন পেয়ে অপরাধ করলে কিংবা পরে অপরাধ বের হলে আওয়ামী লীগ বা সরকার কোনো ছাড় দেয় না। আনোয়ারুল আজীমের খুনের ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর গত ২৩ মে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘সে (আনোয়ারুল) কী ছিল, সেটা বড় কথা নয়। তাকে আমরা তৃতীয়বার মনোনয়ন দিয়েছি জনপ্রিয়তা দেখে।’ এমন বক্তব্য নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা