বিএনপির প্রবীন নেতারা লাপাত্তা!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দলের প্রবীন নেতাদের অসহযোগিতার কারনে বিএনপি নারায়ণগঞ্জে আগাতে পারছেনা। নয়তো নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি ইস্যূ ছিল আন্দোলন করার। চাষায় জিয়ার মূরাল ভাঙ্গা নিয়ে বিএনপি গর্জন দিলেও আর এগোতে পারেনি। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা আর অসহযোগিতাই এর জন্য দায়ি। তবে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি শক্তিশালী হচ্ছে না। শক্তিশালী হলে আন্দোলন সংগ্রাম জোড়ালো হতো। দেখা যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি কয়েক ভাগে বিভক্ত। মহানগর বিএনপি নারায়ণগঞ্জে নামে মাত্র দাঁড়িয়ে আছে। আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দলের গতি ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু কর্মীরা তেমন সারা দিচ্ছে না। এবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপির কমিটিগুলি দুর্বল হওয়ায় এবং দলের চেইন অব কমান্ড না মানায় দলের মধ্যে হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে। তবে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হলে দলে নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে হবে এমন মন্তব্য একাািধক নেতার। অনেকে মনে করেন, দলে শক্ত নেতা না থকলে দলের ভারসাম্য রক্ষা হয় না। নেতা হতে হবে জাদরেল। বসচেয়ে বেশী জরুরী এখন দলের মধ্যে সমতা ফিরিয়ে আনা। আহবায়ক কমিটিগুলি ভেঙ্গে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করে দলকে শক্তিশালী করে রাজপথে অবস্থান করা করা। তা হলেই বিএনপির রাজনীতিতে নারায়ণগঞ্জে প্রাণ ফিরে পাবে। নারায়ণগঞ্জের যে সকল নেতারা এক সময় রাজপথ কাঁপাতেন তারা এখন নিষ্ক্রিয়। অনেকে দলের বাইরে রয়েছেন তাছাড়া ত্যাগী কিছু নেতাকে বহিস্কার করে দলকে দুর্বল থেকে দুর্বল করে রাখা হয়েছে। একাধিক নেতা মনে করেন দলের বৃহত্তম স্বার্থে যারা নারায়ণগঞ্জ কাঁপাতেন তাদের বাদ দেয়া সঠিক হয়নি। তাদের পুনরায় দলে ফিরিয়ে এনে দলকে চাঙ্গা করা দরকার। আর বর্তমানে যেভাবে দল পরিচালিত হচ্ছে তাতে এক সময় নারায়ণগঞ্জে বিএনপির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপির মত বড় দলের কর্মী পেতে সমস্যা হয়ে যাবে। তাই ভয়কে জয় করে যারা দলকে চাঙ্গা করে রেখেছিল তাদের এখন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিএনপির প্রবীন নেতারা লাপাত্তা থাকায় নারায়ণগঞ্জ বিএনপির অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছে।