শীতল হলো চাচা-ভাতিজি গুরু শিষ্যের মৌন লড়াই

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আজ শনিবার মান ভাঙ্গছে গুরুর। যে গুরু শিষ্যের পাশে ছিল না। যে শিষ্যকে দুরে ঠেলে দিয়েছিল এখন শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সেই শিষ্যকেই কাছে টানছেন গুরু। এছাড়া মহানগর আওয়ামীলীগের কমিটি বির্তকে চাচাকে ভাতিজী দেওভোগে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন সেই ভাতিজি এবার চাচার ডাকে সারা দিয়ে এক মঞ্চে বসছেন। আর এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরসহ দেওভোগবাসীর মধ্যে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এখন কি করবে দেওভোগবাসী। কার কথা মানবে? নারায়ণগঞ্জ মহানর আওয়ামীলীগের কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে নাসিক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী তার চাচা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন। এখন সেই ভাতিজিই অবাঞ্চিত করা চাচার পাশে বসছেন। সাথে থাকছেন রাজনীতির গুরু খ্যাত আনোয়ার হোসেনের পাশে শিষ্য খ্যাত সদর-বন্দর আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান। দ্বাদশ নির্বাচনের সময় গুরু-শিষ্যের মধ্যে দেখা দিয়েছিল মতবেদ। গুরু চেয়েছিলেন, সদর-বন্দর আসনের মনোনয়ন। কিন্তু দল তাকে মনোনয়ন দেননি। এ আসনটি ছেড়ে দেন এমপি সেলিম ওসমানের জন্য। যার জন্য তাদের মধ্যে হয়ে উঠে দুৃরত্ব। নির্বাচনের পর কেউ কাউকে ডাক দেয়নি। কিন্তু নির্বাচনের প্রচারের সময় সেলিম ওসমান গুরু আনোয়ারকে বারবার পাশে পেয়ে চেয়েছিলেন কিন্তু গুরু সারা না দিয়ে অভিমান করে সরে ছিলেন। এবার গুরু যখন শিষ্যকে ডাকলেন তখনই শিষ্য সারা নাদিয়ে পারলেন না। এখন দেওভোগবাসীর মনে প্রশ্ন গুরুর যখন স্বার্থ থাকেনা তখন শিষ্যর পাশে দাঁড়ান না। আর যখন গুরুর স্বার্থ হাসিলের প্রয়োজন পড়ে তখন শিষ্যকে কাছে টানেন। এছাড়া ভাতিজি মেয়র আইভীও চাচাকে দলীয় স্বার্থে অবাঞ্চিত ঘোষনা করলেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে চাচার ডাকে সারা না দিয়ে থাকতে পারলেন না। এখন মানুষের মনে প্রশ্ন যখন শিষ্য কিংবা ভাতিজির প্রয়োজন পড়বে তখন কি গুরু/ চাচা কী সাড়া দেবেন। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেওভোবাসীর মনে। দেওভোগবাসী রয়েছেন দ্বিধাদ্ব›েদ্ব। তারা কোন পথে হাঁটবেন?