আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৩:৩৩

মামলা উঠাতে বাদীকে প্রানাশের হুমকি

ডান্ডিবার্তা | ১১ জুন, ২০২৪ | ১২:০৮ অপরাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মৃত: সোনা মিয়ার ছেলে নন্দী পাড়া মিশর মার্কেটের থান কাপড় ব্যবসায়ী লম্পট সালাউদ্দিন যুবতী মুক্তিকে নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিয়ে করার চাপ দেওয়ায় মুক্তিকে প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে লম্পট সালাউদ্দিন ও তার পরিবারের সমস্যরা।এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগী আবদুল আওয়াল মুন্সির মেয়ে মুক্তি আক্তার। ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের বলেন সালাউদ্দিনের টাকার কাছে আমি অসহায়, বন্দর থানা, খান মাসুদ বাহিনীসহ সবাইকে টাকা দিয়ে কিনে ফেলেছে সালাউদ্দিন। তিনি বলেন, গত শনিবার রাতে আমার ভাইকে সন্ত্রাসী দিয়ে ধরে নিয়ে আটকিয়ে আমাকে মামলা উঠানোর জন্য হুমকি দিচ্ছে, আমাকে পেলে হত্যা করে নাকি শীতলক্ষা নদীতে বাসিয়ে দিবে, আমি তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আমার দুই টা মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে তাদেরও হত্যার হুমকি দিচ্ছে সালাউদ্দিন।আমি অসহায় আমি এখন কি করবো বুজতে পারছিনা,আমার মেয়ে দুইটাকেও ভয়ে মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি।আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রসাশক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। উল্লেখঃ এ বিষয়ে আগেও বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ভুক্তভোগী যুবতী মুক্তি আক্তার।সাংবাদিকদের কাছে ভুক্তভোগী ওই যুবতী লম্পট সালাউদ্দিন এমন যৌন লালসার শিকারের পৈশাচিক চিত্র তুলে ধরেন। শুধু ভুক্তভোগী যুবতীই নন; নানা প্রলোভনের টোপ ফেলে মুছাপুর ইউনিয়নের আরও ৮-১০ অসহায় যুবতী ও ছাত্রীকে এমন স্বর্বশান্তের চেষ্টা করেন লম্পট সালাউদ্দিন। ভুক্তভোগী যুবতী সাংবাদিকদের নিজেসহ ৮-১০ জন যুবতীর সঙ্গে ওই লম্পট সালাউদ্দিন নানা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার কথপোকথনের রেকর্ড উপস্থাপন করেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভুক্তভোগী যুবতী বলেন, পরিচয়ের পর থেকে লম্পট সালাউদ্দিন যৌন লালশার শিকার হয়ে আমার কষ্টের এই জীবনটা একেবারে তছনছ হয়ে গেছে।যৌন লালসার শিকারের ইতিহাস তুলে ধরে ভুক্তভোগী যুবতী বলেন, লম্পট সালাউদ্দিনের বাড়ির পাশেই (দুই মিনিটের দূরত্ব) আমাদের বাড়ি। সেই সুবাদে আমার পরিবারের সঙ্গে আগে থেকেই লম্পট সালাউদ্দিন একটা সখ্যতা ছিলো। আমাকে সোনাররগাঁ ঘুরতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের বিষয়টি বাড়িতে বললে সে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখার কথা বলে। এমনকি ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ে বিষয়টি প্রথমে পরিবারকে জানাইনি। এভাবেই আমার সঙ্গে জোরপূর্বক তার বিকৃত যৌনাচার চলছিলো। আমি অবাদ যৌনাচারের কারনে গর্ভবতী হয়ে পরলে মুছাপুরের কবির, সালামত ও বাদলের সহযোগিতায় সোনারগাঁয়ের চৌরাস্তার মিতু ক্লিনিকে নিয়ে আমাকে লম্পট সালাউদ্দিন জোর জবরদস্তি (গর্ভপাত) এভরসন করায়। সাংবাদিকদের ভুক্তভোগী যুবতী বলেন, ‘দিনের পর দিন তার ধর্ষণ-অত্যাচার থেকে বাঁচতে আমি একটি গার্মেন্টস্ এ চাকরি করা শুরু করি। কিন্তু সেখানে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। আমার মামাতো বোনের নিটক থেকে ঠিকানা নিয়ে সেখানে এসে আমাকে ফোন দিয়ে দেখা করতে বলে। এমনকি ধর্ষণের ভিডিও ফোন থেকে ডিলিট করে দেয়ার প্রতিশ্রæতিও দেয়। আমি আবারো সরল বিশ^াসে তার সঙ্গে দেখা করি। কিন্তু জানতাম না যে, সে আগে থেকেই কক্সবাজারের যাওয়ার টিকিট কেটে রেখেছিল। আমাদের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি বাসে তুলে নিয়ে আমাকে কক্সবাজার নিয়ে যায়। আমি যখন বুঝতে পারলাম আমাকে ‘বøাকমেইলিং’ করে কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই নিয়ে তার সাথে আমার প্রচ- রাগারাগি হয়। আমি কক্সবাজারের কোনো পথ-ঘাট চিনি না। রাগারাগির এক পর্যায়ে সে বলে, আমার সাথে তিন দিন হোটেলে থাকলে পূর্বের ভিডিও ডিলিট করে দেবো। পাশাপাশি সে আমার সাথে কোনোদিন যৌনাচারে লিপ্ত হবে না বলে ওয়াদা করে। একপর্যায়ে কক্সবাজারের একটি হোটেল তার সঙ্গে থাকতে বাধ্য হই। সেখানে প্রতিদিনই জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বাড়িতে চলে আসার দিনও পূর্ব প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী সে ধর্ষণের ভিডিও ডিলিট করবে না বলে জানায়। পরে তার নিকট থেকে ফোন জোরপূর্বক নিয়ে ধর্ষণের ভিডিও ডিলিট করি। ভেবেছিলাম- তার যৌন লালসা থেকে হয়তো মুক্তি পাবো। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মুছাপুরের এক ছাত্রী বলেন, ‘আমাকেও একইভাবে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করার কথা বলে কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমি রাজি না হওয়ায় সে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।ওই লম্পট সালাউদ্দিন শুধু যুবতীকেই নয়; এলাকার দুইজন বিবাহিত মহিলাকেও একইভাবে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করেছে এবং লম্পট সালাউদ্দিন নিজেই বিবাহিত ওই দুই মহিলার বাচ্চাকে নিজের সন্তান বলেও দাবি করেছে। আমরা গরীব-অসহায় বলে আমাদেরকে এভাবে হেনস্তা করছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। অভিযুক্ত লম্পট সালাউদ্দিন এর নিকট মুঠোফোনে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেই ফোন কেটে দেয়। তারপর অসংখ্যবার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা