মনু’র খুনীরা আজো অধরা

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে দুই সন্ত্রাসী পরিবারে দ্ব›েদ্বর জের হিসাবে একটি পরিবারের পর্যায় ক্রমে সবাইকে খুনের শিকার হতে হয়েছে। গত ৭ জুন পরিবারের সর্বশেষ ভাই মনিরুজ্জামান মনু নৃশংস ভাবে খুন হন। ১৯৯১ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৪ সালে এসে দুই গ্রæপের মধ্যে হত্যাকান্ডের ঘটনা এসে শেষ হয়। বর্তমানে এ অঞ্চলের বাসীন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ১৯৯১ সালের দিকে তাকালে দেখা যায়, কামুর বাবা কামাল উদ্দিনকে ট্রাক চাপা দিয়ে এবং মা ফুলমতিকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে প্রকাশ্যে খুন হন আবুল ও নুরা। এর পর খুন হন বোন নিলুফা। একই সালে বড় বোন রেহানাকে আজো খুঁজে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ গত ৭ জুন খন হন ছোট ভাই মনিরুজ্জামান মনু। নিহত মনুর স্ত্রী সাবিনার দাবি তার স্বামীকে প্রকাশ্যে বাড়ি ঢুকে নৃশংস ভাবে খুন করেছে একই এলাকার সন্ত্রাসীরা মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ১০/১২ জন মিলে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। নিহত মনুর ছেলে মিনহাজ ও ভাগনি মুনমুন জানান, সোনারগাঁয়ের কুতুবপুর মামির জানাজা শেষে গত ৭জুন বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মনিরুজ্জামান মনু বন্দরের নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের মুরাদপুর নিজ বাড়িতে আসে। এসময় একই এলাকার নুরা মিয়ার তিন ছেলে মিঠু, টিটু ও মনিরের নেতৃত্বে ফরহাদ, নুরুল, মামুনসহ ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ঘর থেকে মনুকে বাহির করে প্রথমে মাথায় গুলি ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সে মারা যায়। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)গোলাম মোস্তফা বলেন, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে মনিরুজ্জামান মনুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় প্রতিপক্ষ একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ। এদিকে মনু হত্যার ঘটনায় ১৫জনকে আসামী করে হত্যা মামলা করা হলেও পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এত করে পুলিশের ভ’মিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও র‌্যাব একজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। উপরন্ত হত্যাকারীরা বাদী নিহত মনুর বেঁচে যাওয়া বোনদের প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে এ পরিবারটি আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। প্রকাশ্যে খুন করে আজো খুনীরা অধরা থাকায় এলাকাবাসী পুলিশের ভ’মিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলছেন।