আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১:১৬

বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যানকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বয়কট

ডান্ডিবার্তা | ২৫ জুন, ২০২৪ | ৯:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বন্দর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনকে রাজাকারপুত্র হওয়ায় বন্দরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা বয়কট করেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বন্দর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাসির আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ঘোষনা দেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ডেপুটি কমান্ডার কাজী নাসির বলেন, ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে শপথ নিয়েছিলাম, বাংলাদেশকে স্বাধীন করব। আমরা মরণপন যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। বাংলাদেশ স্বাধীন করতে গিয়ে আমাদের মা বোনদের ইজ্জত হারাতে হয়েছে। শহীদ হয়েছে ৩০ লাখ মানুষ। যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশ। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সেই কুখ্যাত রাজাকার ও তাদের দোসরদের আমরা ঘৃণা করি। আমরা তাদের কোন প্রকার ছাড় দিতে পারি না। পারিনা সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের সাথে বেঈমানী করতে। এ জন্য আমরা বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষ থেকে ঘোষনা করছি, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ও রাজকারের সন্তানকে ছাড় দেব না আমরা শক্ত হাতে তা প্রতিহত করব। গত ৮ মে বন্দর উপজেলা নির্বাচনে ১৯৭১ সালে দেশদ্রোহী সেই কুখ্যাত রাজাকার রফিক পুত্র মাকসুদ হোসেন টাকার জোরে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধারা তা কোন প্রকারেই মেনে নিতে পারি না। সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের পিতা কুখ্যাত রাজাকার রফিক স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালিন সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজকে হত্যা করে। শুধু তাই নয় ধামগড় ও মুছাপুরে বিভিন্ন সাধারণ মানুষের বাড়ি ঘরে অগ্নি সংযোগসহ লুটপাট করে। যা সেই সময়ে সে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনসহ নিরীহ লোকদের অকাতরে হত্যা করে। সেই বর্বর ও কুখ্যাত খুনী রাজাকার রফিকের পুত্র মাকসুদকে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে প্রত্যখান করছি। গত ১২ জুন সে উপজেলার দায়িত্ব নেয়ার সময় বন্দর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাকে বয়কট করেছে। বন্দর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আমরা রাজাকার পুত্রের সকল অনুষ্ঠান বয়কট করলাম। আমরা তার দ্রæত অপসারন দাবি করছি। সংবাদিক সম্মেলনে অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মোশারফ হোসেন খান, আ: জাব্বার, আ: আজিজ, কাজী মোবারক, হাজী লিয়াকত আলী, আ: ছালাম, হাজী সফিউদ্দিন, রাহিম সাউদ, হাজী নুরুল আমিন, আ: বাতেন, মোজাফ্ফর হোসেন, আলী আক্কাস, মোহাম্মদ হোসেন, আবুল কালাম ও জালাল উদ্দিন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা