আজ সোমবার | ১১ আগস্ট ২০২৫ | ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৬ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৪:২৪

যে কারনে মহানগর বিএনপির অচলাবস্থা

ডান্ডিবার্তা | ২৬ জুন, ২০২৪ | ১১:০২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মগানগর বিএনপি মানেই আলোচনা সমালোচনায় গড়া একটি সাংগঠনিক সংসার। ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করার পর থেকেই সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ৩ ভাগের বিভাজনে রয়েছে। তবে বিভক্তির সব কিছুকে ছাড়িয়ে মহানগর বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থক্যালেঙ্কারীর বোঝাটা যেন দিন দিন বেশ ভারি হতে শুরু করেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি অনেকটাই পরিষ্কার মহানগর বিএনপি মানেই টাকার মেশিন। আর সেই টাকার মেশিনের দায়িত্ব যখন আসে নাসিক সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে অর্থক্যালেঙ্কারীতে অভিযুক্ত এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনের হাতে। এযেন মেঘ না চাইতে মুষলধারে বৃষ্টি। মহানগর বিএনপির গুরুত্বপুর্ন দায়িত্বে থাকা এক নেতার অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, মহানগর বিএনপির কমিটিতে আহবায়ক পদ ভাগিয়ে আনার পর থেকেই খরচাপানির জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করেছেন এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন। কিন্তু সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খানের লাগামহীন ভাষার কাছে বাব বার মুখ থুবড়ে পরেছে তার সব কৌশল। তবে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খানে টিপুকে নিয়েও অর্থ কেলেঙ্কারীর বিষয় স্থানীয় মিডিয়াতে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। বর্তমান সেই অথর্ ক্যালেঙ্কারীর বিষয়ে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকলেও, এ বিষয়ে আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত রয়েছেন বেশ এগিয়ে। নাসিক নির্বাচনের ২ কোটি টাকার অভিযোগের উপর কিছুটা জং ধরলেও দলীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীর কাছ থেকে লুফে নিয়েছেন আড়াই লক্ষ টাকা। যদিও সেখান থেকে তার পকেটে ঢুকেছে মাত্র ১ লক্ষ। শুধু তাই নয় এবারের জাতীয় নির্বাচনের পর্বে দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে তার ভূমিকা রহস্য জনক হলেও নিজের অবস্থান থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে থেকেছেন সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তবে সেই আন্দোল সংগ্রামে ভাটা পরে যখন এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হন। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুনা যায় সেই গ্রেফতার নাটকের মহানায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান নিজেই। এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু  আটক হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে বেশ ভাটা পরে। আর সেই আন্দোলন সংগ্রামের  চাঙ্গা ভাব ফিরিয়ে আনতেই নাকি ২০ লক্ষ টাকা সাখাওয়াত হোসেন খানকে দিয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। কিন্তু ব্যর্থ সাখাওয়াত নিজের পকেট ভারি করার জন্য আন্দোলনের সেই ভাটাকে আর জোয়ারে রুপ না দিয়ে পুরো অর্থই রেখেছেন নিজের পকেটে। যার ফলশ্রæতিতে সাখাওয়াতের সভাপতি হওয়ার স্বপ্নে ছাই পরতে শুরু করেছে। কারন নজরুল ইসলাম আজাদ যখন টাকা দিয়ে ছিলেন তখন তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয় হিসেবে। আর বর্তমান তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক মানে তার হাত দিয়েই মহানগর বিএনপির আগামীর ভবিষ্যত নেতৃত্ব আসবে। তার মানে হলো লোভের কারনেই এ্যাড. সাখাওয়াতের ভবিষ্যত রাজনীতি অনিশ্চয়তার মুখে। যদি আজাদের দেয়া অর্থের ঘটনা সত্যি হয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা