আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১:১৫
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

বিসিকে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী রাসেল

ডান্ডিবার্তা | ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা রাসেল মাহমুদ। এক সময় জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার বলয় থেকে তৎকালীন জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবের ঘনিষ্ট সহচর হয়ে যান। ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা বনে বিসিকের ঝুট সন্ত্রাসীদের সঙ্গে জড়িয়ে যান রাসেল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকাকালেও বিসিকে ঝুট নিয়ন্ত্রণে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন তিনি। গত ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে রাসেল মাহমুদ আরো বেপরোয়া হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে সাবেক যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন আনু হত্যা মামলায় তাকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। কিন্তু আসামী হয়েও তিনি প্রকাশ্য মাঠে নেমেছেন বিসিক দখলে। সশস্ত্র দলবল নিয়ে ২৯ আগস্ট রাসেল মহড়া দেন বিসিকে। সেদিন সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে ২জন। পরপর দুইটি ঘটনা এখনো রাসেল মাহমুদকে গ্রেপ্তার না হওয়ার নিহত আনুর স্বজন ও বিসিকে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে ২৯ আগষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে রাসেলের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আনু ভাই ও এলাকাবাসী স্মারকলিপি প্রেশ করেছেন। জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই রাসেলের লোকজন বিসিকে পৃথকভাবে মহড়া দিতে শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে রাসেল গ্রæপ একটি কারখানায় গিয়ে ঝুট দাবী করেন। তখন জাহাঙ্গীর গ্রæপ জানতে পেরে দুপুরে বিসিকে এসে রাসেল গ্রæপকে ধাওয়া করেন। এসময় জাহাঙ্গীর গ্রæপের দুজনকে ছুরিকাঘাত করে রাসেল গ্রæপের লোকজন বিসিক ছাড়েন। এতে জাহাঙ্গীর গ্রæপ লোকবল বাড়িয়ে বিসিকে অবস্থান নেয়। এসময় মালিক শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তখন খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কয়েকটি বাহিনী বিসিকে অবস্থান নিলে কৌশলে জাহাঙ্গীর গ্রæপ পালিয়ে যায়। অন্যদিকে মহানগর যুবদলের সাবকে সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী করা হয় ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদকে। মামলা আরো আসামীরা হলেন রাসেলের বাবা গোল মোহাম্মদ, নূর আলম, চাচী রোকসানা আক্তার পুতুল, সারিদ হোসেন, কাজল, জান্নাত আরা জাহান প্রেরণা। এর আগে ২৭ আগষ্ট শহরের মাসদাইরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহের পাশে অবস্থিত একটি বিল্ডিংয়ের লিফটের ফাঁকা অংশ থেকে আনোয়ারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পরিবারের সাত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ রাসেল অতীতে অনেকবার আনোয়ার হোসেন আনুকে মারার চেষ্টা করে যা কোনভাবে সফল হয়নি। রাসেল আমাদের সম্পর্কে ভাতিজা হয়, আমার জেঠাতো ভাইয়ের ছেলে। রাসেলের সাথে তার স্ত্রীর পরকিয়ার সম্পক জানতে পারার পর থেকে আমার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আনু তাকে বাড়িতে আসতে বারণ করে কিন্তু রাসেল বিভিন্ন উপায়ে তার স্ত্রী পান্নার সাথে যোগাযোগ বজায় রাখে। আর এ বিষয়টি একপর্যায়ে পারিবারিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। দেওভোগের বাড়িতে বসবাসের কারণে স্ত্রী পান্না রাসেলের সাথে সহজেই মেলামেশা করতে না পারার কারণে সে স্বামীকে অন্যত্র বাসা নিতে চাপ প্রয়োগ করে। স্বামী আনোয়ার হোসেন পৈতৃক ভিটা ছেড়ে মাসদাইর একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিতে বাধা হয় এবং সেখানে তার অনুপস্থিাততে তার ছেলে মেয়ের সহযোগিতায় রাসেল বিভিন্ন সময় যাওয়া আসা করতে থাকে। আনোয়ার তার ফ্ল্যাটে রাসেলের যাওয়া আসার খবর জানতে পারার পর তার স্ত্রীকে চাপ দিলে সে আনোয়ার হোসেনকে মারার জন্য ২০১৯ সাল ২জানুয়ারী আমলাপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে রাসেলের সাথে দেখা করে। আর এই খবর আনোয়ার জানতে পেরে সাথে সাথে সে তার বন্ধু বান্ধব নিয়ে আমলা পাড়া ছুটে যায় এবং অপ্রীতিকর অবস্থায় তাদের দুইজনকে হাতেনাতে ধরে। ধরার পর পান্না ও রাসেল উভয়েই হাত জোড় করে ক্ষমা চায় আর ওয়াদা করে তারা আজকের পর থেকে আর কোনো যোগাযোগ রাখবে না। কিন্তু তারপরেও তারা অবৈধ যোগাযোগ বজায় রাখে। এ বিষয় নিয়ে পারিবারিকভাবে অশান্তি দেখা দিলে স্ত্রী পান্না পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে স্বেচ্ছায় আনোয়ার হোসেন আনুকে ২০২০ সালের ৩০ জুন তালাক নোটিশ পাঠায়। এবং প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে মেয়েকে তার বাবার কাছে রেখেই ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর রাসেলের সাথে বিবাহ কাজ সম্পন্ন করে। মায়ের প্ররোচনায় ছেলে মেয়েও বাবার সাথে প্রতিনিয়ত খারাপ ব্যবহার করতে থাকে এমনকি মাঝে মাঝে ছেলে মেয়ে বাবার গায়ে হাত তুলতো, কিন্তু আমার ছোট ভাই লজ্জায় কাউকে কিছু বলতো না। ওরা প্রতিনিয়ত মানসিক যন্ত্রনা দিয়ে নাস্তানাবুদ করে রাখতো। আমরা পারিবারিকভাবে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি এই নৃশংস হত্যাকান্ড তার দুই সন্তান, তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী পান্না ও পান্নার বর্তমান স্বামী রাসেল ঘটিয়েছে। এই রহস্যজনক হত্যাকান্ডের ঘটনায় আইনি সহায়তা পেতে আমরা ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা