চাঁদাবাজদের শান্তি চায় তৃনমূল

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সুবিধাভোগীদের জন্য দলের দুর্নাম হচ্ছে এই ক্ষোভে পুড়ছে তৃনমূল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। এদিকে হতাশায় ভোগছেন কতিপয় বিএনপির নামধারী চাঁদাবাজরা। সম্প্রতি চাঁদাবাজি মামলায় ফতুল্লা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী গ্রেফতার হওয়ার পর বিএনপির নামধারী চাঁদাবাজরা এবার বিপাকে পড়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে কোন সময় তাদের গর্দানে হাত দিতে পারেন। গত ৫ আগষ্টের পর অন্তর্বতি সরকার গঠন হয়। কিন্তু যেন বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু নেতা কর্মী চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছিলেন। এতে করে বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষ আস্থা হারাতে বসেছিল। কেন্দ্রীয় বিএনপি বার বার সর্তক করা পরও কতিপয় চাঁদাবাজরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যপাক চাঁদাবাজি শুরু করে। আর তারা মাত্র ৯ মাসে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। এছাড়া কিছু নেতা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দোসরদের পর্নবাসনের জন্য আওয়ামী দোসরদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থানের সুযোগ করে দেয়। যাতে তারা পুলিশী ঝামেলায় না পড়েন সে জন্য তাদের শেল্টার দিয়ে থাকেন। এতে করে দিন দিন সুবিধা বঞ্চিত ও বিগত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাড়ি ঘরে থাকতে পারেনি। যারা বিএনপিকে ভালবেসে অন্য দলে যাননি তারা এখন বির্তকিতদের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ দলের আদর্শ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানো। দেশকে সমৃদ্ধি করা। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করা। কিন্তু কিছু নেতা ক্ষমতায় না আসতেই সুযোগ সন্ধানী হয়ে চাঁদাবাজি ও লুটপাটে মেতে উঠেছে। আর তারা বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব করায় আমারা লজ্জিত। ইতিমধ্যে বিএনপি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যারা গোপনে মাঠে থেকে তদন্ত করবে কারা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করছে। তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর পদক্ষেপ। সম্প্রতি ফতুল্লা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ চৌধুরী চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি বিগত ১৬ বছর স্বৈারাচারী শেখ হাসিনা সরকারের সময় স্বৈারাচারদের সাথে আতাঁত করে চলেছেন তেমন বর্তমান অন্তর্বতিকালীন সরকারের সময় বিএনপির পদ পদবী ব্যবহার করে চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছেন। ঘটনার সত্যতা পেয়ে দল তাকে বহিস্কার করেন। এমনই বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণও চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছেন। ইতিমধ্যে তারও চাঁদাদাবির অডিও ফাঁস হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে তাকেও কারণ দর্শনোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। যে কোন সময় তিনিও বহিস্কার হতে পারন। অপরদিকে একটি সূত্র জানায় চাঁদাবাজ রিয়াদ চৌধুরীকে বাঁচাতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। যে প্রতিষ্ঠানকে পুড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদাদাবি করেছিল সেই প্রতিষ্ঠানের মালিককে রিয়াদের সনাঙ্গপাঙ্গরা ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা ও বন্দরে বেশ কয়েকজন নিজেদের বিএনপির বড় নেতা দাবি করে দখবাজি, চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে ইতিমধ্যে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। যার রিকশায় চড়া ছাড়া কোর গতি ছিল না সে এখন দামি গাড়ি কিনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন অভিযোগ বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন মাহ’র বিরুদ্ধে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি মাত্র কয়েক দিন আগে বিশালবহুল গাড়ি কিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে নিজে গর্ববোধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে একটি ডক ইয়ার্ডের মামলামাল লুটের অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তেন কারনে এখনো তাদের বিরুদ্ধে কেহ মামলা করতে সাহস পায়নি। এসকল লুটেরাদের কারনে বিপাকে পড়েছেন বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে যারা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বিরুদ্ধে কেন্দ্র যাতে দ্রæত ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপিকে কুলশ মুক্ত করেন।