আজ শুক্রবার | ২২ আগস্ট ২০২৫ | ৭ ভাদ্র ১৪৩২ | ২৭ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১২:৩৭
শিরোনাম:
বাসভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ না’গঞ্জবাসী    ♦     নির্বাচনের ব্যাপারে প্রফেসর ইউনূস সিরিয়াস    ♦     বাংলাদেশে এক ধরনের উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে    ♦     নতুন বাংলাদেশে আমরা শেখ মুজিবকে কীভাবে দেখব    ♦     ব্যক্তিগত অর্থায়নে একের পর এক রাস্তা সংস্কার করেই যাচ্ছেন মাকসুদ হোসেন    ♦     আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় মাঠে বিদ্রোহী প্যানেল    ♦     আদালতপাড়ায় জামায়াতপন্থী আইনজীবী প্যানেলের গণসংযোগ    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয় যুব ফোরামের উদ্যোগে হাই স্কুলে ক্রীড়া সরঞ্জাম বিতরণ    ♦     সিদ্ধিরগঞ্জে মসজিদের নির্মাণ কাজে বিএনপি নেতার বাঁধা    ♦     ফতুল্লায় বিএনপির ৩ নেতাকে অব্যাহতি    ♦    

ক্রিকেটার বিদ্যুৎ এখন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী

ডান্ডিবার্তা | ২৬ জুন, ২০২৫ | ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের ছেলে শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের এক নম্বর ওপেনার হিসেবে খেলতে নামেন বন্ধুপ্রতিম মেহরাব হোসেন অপির সঙ্গে। ভারতীয় পেস বোলার জাভাগাল শ্রীনাথের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলটি মোকাবিলা করেন বিদ্যুৎ। মানে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হলেন বিদ্যুৎ, যিনি প্রথম বলটি মোকাবিলা করেছিলেন। ৮৩ মিনিট ক্রিজে থেকে ৫০ বলে ১২ রান করে ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার সুনিল জোসির বলে সৌরভ গাঙ্গুলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গিয়েছিলেন বিদ্যুৎ। দেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বাউন্ডারিটিও আসে বিদ্যুতের ব্যাট থেকে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ। খেলা ছেড়ে প্রাথমিকভাবে নারায়ণগঞ্জের অপর দুই ক্রিকেটার জাহাঙ্গীর আলম ও জাকারিয়া ইমতিয়াজের সাথে ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করলেও পরবর্তীতে ক্যাবল ও টেক্সটাইল শিল্পের সাথে জড়িত হন। এখন নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সফল শিল্পপতি। সরাসরি ক্রিকেটীয় কর্মকাÐের সাথে জড়িত না থাকলেও নারায়ণগঞ্জে খেলোয়াড় কল্যাণ পরিষদ কোয়াবের সেক্রেটারি, নারায়ণগঞ্জ মাষ্টার্স ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট। ব্যক্তি জীবনে ৩ সন্তানের জনক বিদ্যুৎ। তারা কে কি করে? বিদ্যুৎ জানালেন, ‘বড় মেয়ে কানডায় গ্র্যাজুয়েশন করলো। আর ছোট মেয়ে এবার এসএসসি দিলো। ছোট ছেলে ক্লাস সেভেনে পড়ে।’ টেস্ট অভিষেকের সময়ও বাংলাদেশের ক্রিকেট ছিল ক্লাবকেন্দ্রিক। এখন তবু এনসিএল ও বিসিএলের গায়ে বড় আসরের তকমা লেগেছে। ম্যাচ ফি, আবাসন, আনুমাঙ্গিক সুযোগ সুবিধা ও প্রাইজমানি- সবই বেড়েছে। তবে বিদ্যুতরা যখন টেস্ট খেলতে শুরু করেন, তখন জাতীয় লিগ ছিল দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের একমাত্র আসর। যার আকার, পরিধিও ছিল ছোট। এখনকার সুযোগ সুবিধার অনেকটাই ছিল না। বাংলাদেশ যখন টেস্ট মর্যাদা পায় তার মাত্র দুই বছর আগে জাতীয় লিগ শুরু হয়েছিল। তখন ঢাকা লিগে বিদ্যুৎ খেলতেন গোপিবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে। টেস্ট দলের এক নম্বর ওপেনার বিদ্যুতের একটি রেকর্ড তাকে বাকিদের চেয়ে আলাদা করে রেখেছে। তাহলো, বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জ শহরের বিদ্যুৎ প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার, যার আছে কোন ভিনদেশি দলের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি। এমসিসির বিপক্ষে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির কৃতিত্বের অধিকারী বিদ্যুৎ। সেটাও টেস্ট অভিষেকের আশপাশের সময়ে। ঢাকা লিগে চার চারবারের টপ স্কোরার বিদ্যুৎ এখনো ঢাকা স্টেডিয়ামের গ্যলারি ভরা দর্শকে খেলার স্মৃতি রোমন্থন করেন। ‘ইস! স্টেডিয়ামভরা দর্শক হতো তখন! কি যে উত্তেজনা, আকর্ষণ আর প্রতিদ্ব›দ্বীতা ছিল!’’ এমসিসির বিপক্ষে উভয় ইনিংসে শতরানের কৃতিত্বের কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুৎ বলে ওঠেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে মনে হয় এমসিসির সাথে মনে হয় এক ইনিংসে ১৫৩ আর ১২৯ রান করি।’

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা