আজ বৃহস্পতিবার | ১৪ আগস্ট ২০২৫ | ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৯ সফর ১৪৪৭ | রাত ২:৫০

সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে না’গঞ্জ আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ১৩ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:২১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
অন্তর্বতী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রের সাথে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ নেতারা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামীলীগ নেতারা ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে। তারা এখন বুক ফুরিয়ে শহর ও শহরতলীতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে আবার অন্য জেলা থেকে এসে নাম পরিচয় গোপন করে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সংঘঠিত করছে। তারা শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে নাশকতা করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। আর তাদের অর্থ থেকে সকল প্রকার সহায়তা করছে বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামীলীগ নেতারা। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে একাধিক আওয়ামীলীগ নেতার নাম গোয়েন্দা সংস্থার হাতে রয়েছে। যারা নারায়ণগঞ্জে নাশকতা সৃষ্টির পায়তারা করছে। তাদের কেহ কেহ দেশ আবার কেহ কেহ বিদেশে অবস্থান করছে। যারা নাশকতা সৃষ্টি করবে তারা সকলেই আওয়ামী সন্ত্রাসী বলে পরিচিত। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আনাচে কানাচে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের আনাগোনা দেখা যায়। তবে তারা পুলিশের চোখ এড়িয়ে চলছেন বলেও জানা গেছে। অনেকে আবার রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে বলে প্রচার করেও নিজেদের রক্ষার হাতিয়ার বানাচ্ছেন। প্রকৃত পক্ষে তারাই প্রকাশ্যে অবস্থান করে পলাতক নেতাদের ষড়যন্ত্রের জন্য গোপন মিটিং করার সুযোগ করে দিচ্ছেন। কোন কোন নেতা বাড়িতে একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা এলে বলা হয় তাদের আত্বিয়রা বেড়াতে এসছেন। এমন অজুহাতে নানা ভাবে আওয়ামীলীগ নেতারা সরকার উৎখাতের পায়তারা করছেন। আর এ ষড়যন্ত্রের নির্দেশ দিয়েছেন খোদ শেখ হাসিনা। যার একাধিক প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের অনেকে বিএনপির ছায়তলে গিয়ে গোপনে আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ করছেন। তারা বিএনপিতে যোগ দেয়াটাও ষড়যন্ত্রের একটি অংশ বলে অনেকে মনে করছেন। ইতিমধ্যে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের ছক গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসায় সরকার নড়েচড়ে বসেছেন। এ জন্য সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে ডিবি পুলিশ। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এম মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, সাবেক সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট পারভেজ আলম খান। গত সোমবার সোনাডাঙ্গা থানায় ডিবির ইন্সপেক্টর বিধান চন্দ্র রায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম রাত ১০ টা ৫৫ মিনিটে বাংলানিউজকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ জানান, আটক এম এম মুজিবুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছে। তাকে ও মামলার অন্য আসামী পারভেজ আলম খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল ময়লাপোতা থেকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা এম এম মুজিবুর রহমানকে। তার কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল থেকে জানা যায় হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও জুম এপসের মাধ্যমে তেরোখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, বিজয় একাত্তর ও জয় বাংলা আমার প্রাণ গ্রুপের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের জন্য ষড়যন্ত্র করা হয়। কেএমপি থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহর মামলার অনুমতি চাওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। গত ৪ আগস্ট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি পায় কেএমপি। তবে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ এখনো কোন ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী দোসররা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে বিভিন্ন মহল দাবি করেন। নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে নাশকতা রোধে আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান সাধারণ মানুষ। কারণ সাধারণ মানুষ জঞ্জালমুক্ত পরিবেশ ও নির্বাচন চান।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা