আজ মঙ্গলবার | ১২ আগস্ট ২০২৫ | ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৭ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ২:৪২

বিএনপি নেতারা মনোনয়ন লড়াইয়ে

ডান্ডিবার্তা | ১২ আগস্ট, ২০২৫ | ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে ৩টি আসন বিন্যাসের ফলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারনা কিছুট থককে আছে। খসড়া আসন নিয়ে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ ও স্মরকলিপি দেয়া হয়েছে। তাই আসন চুড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৩টি আসনের প্রার্থীরা জোড়ালো ভাবে প্রচার প্রচারনায় নামতে পারছেন না। তবে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তবে বিএনপি মাঠে তেমনটা না নামলেও ইসলামী দলগুলির সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রায় অর্ধশতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি থাকলেও ৫টি আসনে ১০জন নেতার মধ্যে হবে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার চূড়ান্ত লড়াই, যারা আলোচনার শীর্ষে আছেন। গুরুত্ব পেতে পারে গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে পাওয়া মনোনিত বিএনপি নেতারাও। রূপগঞ্জ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়ার মাঝে তুমুল লড়াই হবে। যদিও সেই লড়াইয়ের উত্তাপ বর্তমানে রাজনীতির মাঝেও ছড়িয়ে গেছে। তবে এই লড়াইয়ে কাজী মনিরকেই এগিয়ে রাখছেন নেতাকর্মীরা। কারন গত ২০০৯ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে কাজী মনিরুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যদিও ২০১৮ সালে দিপু ভুঁইয়া দলের প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। আড়াইহাজার আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহামুদুর রহমান সুমনের মধ্যেই হবে মনোনয়ন লড়াই। যদিও এ আসনে সাবেক এমপি এম আতাউর রহমান আঙ্গুর মনোনয়ন চাইবেন। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে দলের মনোনয়ন পান নজরুল ইসলাম আজাদ। যদিও সুমন ও আঙ্গুর দলের প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনোনয়নের ক্ষেত্রে আজাদকেই এগিয়ে রাখছেন। সোনারগাঁ আসনে মনোনয়ন লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। যদিও সামনের নির্বাচনে মান্নানের সামনে একমাত্র কিছুটা বাধার কারন হতে পারেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক এসএম ওয়ালিউর রহমান আপেল। যদিও এখানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাকে নিয়ে নেতাকর্মীদের কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। রেজাউল করিমকে যারা নির্বাচনের মাঠে নামিয়েছিলেন তারা এখন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ ‍গিয়াসউদ্দীনকে নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা গিয়াসকে নিয়েও আগ্রহ দেখাচ্ছেনা। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে এখানে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। তবে চূড়ান্তভাবে দলের মনোনয়ন পান মান্নান। সোনারগাঁয়ে একমাত্র মান্নানের অবস্থান সবচেয়ে শক্তিশালী। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ মনোনয়ন লড়াইয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমকে এগিয়ে রাখছেন নেতাকর্মীরা। ২০১৮ সালে এই আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পান শাহআলম ও জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক মামুন মাহামুদ। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মুল লড়াইটাও হবে এই দুই নেতার মাঝে। এ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনের জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর তিনি মনোনয়নের যোজন যোজন দুরে চলে গেছেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। যে কারনে সোনারগাঁয়ে তিনি যাতায়াত বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ওই নির্বাচনে জোটগত কারনে জমিয়েত উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। সদর-বন্দর আসনে আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন লড়াইয়ে রয়েছেন গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে খোরশেদ ও সাবেক এমপি আবুল কালাম এই আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। জোটগত কারনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা প্রয়াত নেতা এসএম আকরামকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত করা হয় চূড়ান্তভাবে। আবুল কালাম বয়সের কারনে রাজনীতিতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা