সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী দোসরদের সা¤্রাজ্য কতিপয় বিএনপি নেতার দখলে

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবারও আওয়ামী লীগের দোসরদের সা¤্রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আলোচনায় এসেছেন কথিত বিএনপি নেতা কবির হোসেন। জানা যায়, কবির হোসেন নিজেকে সাবেক জেলা বিএনপির নেতা বলে দাবি করলেও বর্তমানে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে চলছে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শ^াসনামলে আওয়ামী লীগের দোসরদের সাথে ছিলো তার গভীর সখ্যতা। গত পাঁচ আগস্টের পরে তিনি ভোল্ট পাল্টে হয়ে যান বিএনপির নামধারী নেতা। যাদের কারনে তীব্র সমালোচনার মুখে পরেছেন কথিত এই বিএনপি নেতা সেই আওয়ামী লীগের দোসরদের মধ্যে অন্যতম হলেন, সাত খুন হত্যার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি ঘাতক নূর হোসেনের ভাই সাবেক নাসিক ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিয়া মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম বিটু, চিহিৃত ভূমিদস্যু হাবিবুল্লাহ হবুল, আব্দুল হাই মেম্বার, চিহিৃত চাঁদাবাজ বিতর্কিত জালাল ওরফে মামা জালাল ও আন্ত:জেলা কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ওরফে ফেন্সি দেলোয়ার। আওয়ামী এই দোসরদের সা¤্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন কথিত বিএনপি নেতা কবির হোসেন। কবির হোসেন যে আওয়ামী দোসরদের সা¤্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দায়ের করা একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকেই তারা পলাতক রয়েছেন। সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন কাঁচপুর ল্যান্ডিং স্টেশন দখলে নিয়ে জোরপূর্বকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন আওয়ামী দোসর শহিদুল ইসলাম বিটু। আত্বীয়তার সুবাধে বর্তমানে এককভাবে সেই ল্যান্ডিং নিয়ন্ত্রণ করছেন কবির হোসেন। কথিত বিএনপি নেতা কবির হোসেন নামে থাকলেও আড়ালে থেকে এখনো অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন আওয়ামী দোসর শহিদুল ইসলাম বিটু। অন্যদিকে চিহিৃত ভূমিদস্যু আওয়ামী দোসর হাবিবুল্লাহ হবুলের সকল সেক্টর এখন নিয়ন্ত্রণ করেন এই কবির হোসেন। এদিকে আরেক ভূমিদস্যু আব্দুল হাই মেম্বারও পিছিয়ে নন। তার চুনা কারখানাসহ সকল যায়গা জমি দেখা শোনার দায়িত্বে রয়েছেন বিতর্কিত এই বিএনপি নেতা। সূত্রে আরও জানা যায়, কথিত এই বিএনপি নেতার শেল্টারে আটি হাউজিং এলাকায় স্বাধীন নামের এক যুবককে দিয়ে এককভাবে ডিশ ও ইন্টারনেট ব্যবসার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এভাবে গত এক বছরে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কথিত এই বিএনপি নেতা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরও বিস্তর অভিযোগ। বেসরকারি সুগন্ধা হাসাপাতালের মালিক এই কবির হোসেন। যার ফলে হাসপাতালটির সামনের অংশের ফুটপাতে রনি নামের এক যুবককে দিয়ে ফুটপাতের অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানপাট থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে থাকেন এই কবির হোসেন। তবে তার এসব অপকর্মের পরও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা চুপ থাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে সিদ্ধিরগঞ্জ জুড়ে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয়দানকারী কবির হোসেন বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম। পাঁচ তারিখের পর কিছু নব্য বিএনপির কিছু নেতা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি কোনো চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নই। আমি সরকারিভাবে টেন্ডারের মাধ্যমে ল্যান্ডিং স্টেশন পেয়েছি। কে কি বললো তাতে আমার কিছুই যায় আসে না বলে জানান তিনি।