আজ বৃহস্পতিবার | ২১ আগস্ট ২০২৫ | ৬ ভাদ্র ১৪৩২ | ২৬ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৪:০৮
শিরোনাম:
ভারতে বসে চলছে আ’লীগের ষড়যন্ত্র!    ♦     রেজা-গালিব ও কামাল মোল্লাকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার    ♦     বাস ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজনৈতিক দলগুলি    ♦     সোনারগাঁয়ে সড়ক ও কালভার্টে ভাঙনে ভোগান্তিতে ৩০ গ্রামের মানুষ    ♦     মিথুন ও রাব্বির মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার সামজিক মাধ্যম    ♦     দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে থাপ্পড়    ♦     ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ভাইকে মারধর    ♦     স্বেচ্ছাসেবকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে বর্ণাঢ্য র‌্যালি    ♦     ফতুল্লার দাপা ও ষ্টেশন এলাকায় মামা-ভাগিনার মাদক ব্যবসা!    ♦     সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যে নামাতে নারায়ণগঞ্জে পেশাদার চালকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ    ♦    

ফতুল্লার দাপা ও ষ্টেশন এলাকায় মামা-ভাগিনার মাদক ব্যবসা!

ডান্ডিবার্তা | ২১ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের নিরবতা ভুমিকার ফলে পুরো থানা এলাকাগুলোতে ছড়িয়েছে মাদকের নীল বিষ। মাদক বিক্রির টাকায় দেশী-বিদেশী অস্ত্রের সমাহার গড়ে তুলেছে মাদক বিক্রেতারা যার ফলে মাদক বিক্রি-সেবন ও বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে অহরহ ঘটছে খুনাখুনি। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় যে,ফতুল্লা থানাধীন রয়েছে কয়েকশতাধিক মাদক স্পট। প্রতিটি মাদক স্পটে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা ইয়াবা, হেরোইন, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ নানা প্রকার মাদকদ্রব্য। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব ভূমিকা থাকার কারনে ফতুল্লার খোজপাড়া, পাইলট স্কুলমাঠ, রেল ষ্টেশন, জোড়পুল, দাপা শৈলকুড়া, পিলকুনী, ব্যাংক কলনী সহ আশপাশ এলাকায় শক্ত সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উল্লেখিত মাদক স্পটে চলে মাদক বেঁচাকেনা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে সাধারন মানুষের মুখে মুখে রয়েছে মাদক ব্যবসায়ী টিকা মরা লিটন ও টুটুল। সর্ম্পকে তারা ঊভয়ে মামা-ভাগিনা। আর এ মামা-ভাগিনার মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট যেন পুরো এলাকাগুলোতে মাদক এখন ওপেন সিক্রেট বিষয়। প্রকাশ্যেই হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মরন নেশা বিভিন্ন প্রকারের মাদক। অনুসন্ধানের জানাগেছে, এই সিন্ডিকেটে রয়েছে অসাধু পুলিশ সদস্য, কিছু বিশেষ ব্যক্তি, রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধিসহ এলিট শ্রেনীর মানুষ। যার ফলে ফতুল্লা এসব এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক সময় তারা বেকায়দায় পড়ছেন। সম্প্রতিকালে যেসকল মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে তাদের ৮০ শতাংশই তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর মাদক ব্যবসায়ী। বরাবরই মাদকের গডফাদাররা অধরা থেকে যাওয়ায় ফতুল্লায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়দের মতে, মাদক অপরাধীকে গ্রেফতার করতে এখানে পুলিশের উপস্থিতি নেই। তবে বিশেষ কিছু ব্যক্তির কল্যানে নিয়মিত মাসোহারার লেনদেনের কারনে থানা পুলিশ এখানে আসেননা। আবার এ মাদকের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদী হয়ে উঠলে তাদেরকে অপরাধী সাজাতে উঠ-পড়ে লেগে পড়েন মামা-ভাগিনার মাদক স্পট থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায়কারীরা। এ দিকে ফতুল্লার পাগলায় মেরি এন্ডারসন ও নারায়ণগঞ্জে ক্লাবে মদের বার রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্সধারীরা শুধুমাত্র মদ সেবন করতে পারবেন। কিন্তু নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সকলের কাছেই মদ বিক্রি করছে এই দুই প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেরি এন্ডারসন ও নারায়ণগঞ্জে ক্লাবের মদ মহল্লায় মহল্লায় চলে যাচ্ছে। বিয়ে, গায়ে হলুদসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই মদ সরবারহ করা হচ্ছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজার বড় বড় চালান ট্রেন, লঞ্চ, বাসেসহ বিভিন্ন উপায়ে মাদক ডিলারদের আস্তানায় ঢুকছে। ডিলারদের আস্তানা থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে মাদক। আর নেশার টাকা জোগাতে এলাকায় বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুনসহ বাড়ছে নানা অপরাধ। অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জে মাদক নিয়ন্ত্রনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সতেচন হতে হবে। পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাদকের শেল্টারদাতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা