আজ বৃহস্পতিবার | ২৮ আগস্ট ২০২৫ | ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ | ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ৪:৫৬

চোখ রাঙ্গাচ্ছে আওয়ামী দোসররা

ডান্ডিবার্তা | ২৭ আগস্ট, ২০২৫ | ১১:১১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নতুন করে চোখ রাঙ্গাচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। আওয়ামী দোসররা উৎ পেতে আছে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য। সুযোগ পেলেই তারা ছোবল মারবে। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী দোসররা রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ছিটিয়ে পড়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তারা একের পর এক অপরাজনীতি করে বেড়াচ্ছে। শুরু করেছে দেশে অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা। তারা নানা ছদ্মবেশে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে আওয়ামীলীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের পায়তারা করছে। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আস্তানা ছিল। দেশের চিহিৃত গডফাদার শামীম ওসমানের অসংখ্য বাহিনী রয়েছে। যারা দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর তারা শামীম ওসমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া অন্য জেলা থেকেও আওয়ামী দোসররা নারায়ণগঞ্জে এসে ছদ্মবেশ ধারণ করেছে। বর্তমানে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় অপরিচিত রিকশা চালক। যাদের বেশভুষা দেখলে মনে হবে না তারা রিকশা চালক। কিন্তু রিকশা চালাচ্ছে। অটো চালাচ্ছে। কারণ রিকশা বা অটো চালাতে কোন একাডেমিকেল প্রশিক্ষণের দরকার হয়না। এ জন্য এ পেশাকে অনায়াসে বেছে নিয়ে তারা এক জেলা থেকে অন্য জেলায় এসে আস্তানা গাড়ছে। এ বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এদিকে নজর দিলে শহবাসী বড় কোন অঘটন থেকে রক্ষা পেতে পারে। এদিকে গত রোববার নারায়ণগঞ্জ রাজধানীর মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম এলাকায় আকস্মিক এক মিছিলকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে প্রশসন জুড়ে। সাধারণ পথচারীর ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়ে হঠাৎ করে স্লোগান শুরু করে একদল লোক। প্রথমে সাধারণ স্লোগান দেওয়া হলেও কিছুক্ষণ পর তারা একযোগে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে শুরু করলে ঘটনাস্থলে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করে। এর মধ্যে দুই জনই ফতুল্লার কুতুবপুরের। তারা হলেন ফতুল্লা থানা শেখ রাসেল ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাঈদ ও বন্দরের যুবলীগ নেতা খান মাসুদের সহযোগি সন্ত্রাসী রাজু। এই ঘটনার পরই বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আটক হওয়া এবং মিছিলে যোগ দেওয়া বেশিরভাগ লোকই নাকি ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকা থেকে গিয়েছিলেন। এবং এরা ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল ও কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মীর হোসেন মিরুর অনুসারি। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ দেখে মিছিলে অংশ নেয়া বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা হলেন, ফতুল্লা থানা শেখ রাসেল পরিষদের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রকি (মীর হোসেন মিরু ও মীর সোহেলের ঘনিষ্ঠ অনুসারী), মিরুর ভাগিনা রিয়াজ, কুতুবপুর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ও আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মালেক, কুখ্যাত চাঁদাবাজ আসলাম, মিরুর বডিগার্ড মুক্তার,সাঈদসহ আরও অনেকে। এদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে নানা অভিযোগ। কখনও মাদক ব্যবসা, কখনও চাঁদাবাজি, আবার কখনও প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় রাজনীতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এত বিতর্কিত চরিত্রদের ঢাকায় নিয়ে গিয়ে হঠাৎ মিছিল করাল কার নির্দেশে। এই মিছিলে অংশ নেওয়া অধিকাংশ ব্যক্তি কুতুবপুরের বলে জানিয়েছে সূত্র। সবচেয়ে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতির নিজ ইউনিয়ন হচ্ছে কুতুবপুর। আর সেই ইউনিয়নের অসংখ্য ব্যক্তি মিছিল করতে ঢাকায় গিয়ে ধরা পড়েছেন। তাহলে কি কুতুবপুরে আওয়ামী লীগের দোসরা নিরাপদে আছেন? তীব্র সমালোচনা, উত্তপ্ত আলোচনায় এখন কুতুবপুর। ঘটনার পর থেকে কুতুবপুরসহ ফতুল্লার সর্বত্র চলছে তীব্র সমালোচনা। রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় চলছে। এ ঘটনার পর আওয়ামী দোসর অনেকে আবারো গাঢাকা দিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের দাবি প্রশাসন চাইল সব কিছু করতে পারে। আওয়ামী দোসরদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে জেলে বন্ধি রাখলে দেশ অশান্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা