হাসিনার আগুনে জ¦লছে আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নির্বাচনকে বানচাল করতে পতিত আওয়ামীলীগ নেতারা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছে। তারা নানা ধরনের গুজব রটিয়ে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে যাতে নির্বাচন বানচাল করা যায়। আর সেই আওয়ামী ষড়যন্ত্রের ফাদে কোন কোন দল পা দিচ্ছে। কিছু কিছু দল নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের প্রদ্ধতি উন্মুচন করছে। যাতে সময় মত নির্বাচন না হয়। দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হউক সেটা আওয়ামীলীগ চায় না। সেই পতিত আওয়ামীলীগের ভাষায় কোন কোন দল কথা বলছে। নির্বাচন নিয়ে গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ স্পষ্ট বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোন তালবাহানা চলবে না। যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাদের জনগণ আওয়ামী দোসর হিসাবে বিবেচিত করবে। নয়তো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। কেন নির্বাচন নিয়ে এত তালবাহানা। এদিকে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নানা গুজব ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অনেক গুজব চারদিকে। গুজবে কান দেব না। কারণ গুজব গুজবই। আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য আওয়ামী লীগ ভারতবর্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। মির্জা ফখরুল বলেন, স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নাই, ঐক্য আছে। সেই ঐক্য নিয়ে আমরা সবকিছু জয় করব ইনশাআল্লাহ। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও জাগপার সভাপতি লুৎফর রহমানের ওপর হামলা প্রমাণ করে হাসিনা ও তার দোসররা এখনো সক্রিয়। দুদু বলেন, ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের পর স্বাভাবিকভাবে মানুষ মনে করেছিল দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার দোসররা পালিয়েছে। কিন্তু এক বছরের ভেতরেই যে পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা হয়েছি তা মর্মান্তিক। অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে আগামী নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি জানান, বৈঠকে তারা প্রধান উপদেষ্টাকে দুটি বিষয় জানিয়েছেন- একটি হলো নির্বাচনী পরিবেশ এবং অন্যটি বিচার ও সংস্কার। জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠন করতে পারেনি। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এতে রাজনৈতিক মহলে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। তিনি জানান, নির্বাচনের পরিবেশ সমন্বয় করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠনের জন্য তারা প্রধান উপদেষ্টাকে পরামর্শ দিয়েছেন। অন্তবর্তি সরকার যখন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনা করলেন তখন আওয়ামীলীগের গায়ে জ¦ালা ধরে গেছে। তারা ভারতে বসে নির্বাচন ঠেকাতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ছড়াচ্ছে গুজব। আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল প্রহসনের নির্বাচন দেখিয়ে। দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। কারণ আওয়ামীলীগ হনগণকে বিশ^াস করে না। আর জনগণও আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল। যার বিস্ফোরণ ঘটে গত বছরের ৫ আগষ্ট। এখন নির্বাচন বানচাল করতে ভারতে বসে চলছে হাসিনার শয়তানি। আর যারা আওয়ামীলীগের নিরিহ কর্মী তারা হাসিনার পাপের খেসারত দিচ্ছে বলে অনেক আওয়ামীলীগ কর্মী মন্তব্য করেন। এখন হাসিনার আগুনে জ¦লছে আওয়ামীলীগ।