আজ মঙ্গলবার | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ১ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | সকাল ১১:৪৭
শিরোনাম:
ঋণের চাপে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা    ♦     না’গঞ্জ চারুকলায় মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালুর দাবি    ♦     প্রতারক চক্রের ৩জন গ্রেপ্তার    ♦     বন্দর প্রেসক্লাবের অভিষেক অনুষ্ঠানে বক্তারা হলুদ সাংবাদিকতা এখন ডেঙ্গুর মত ভয়াবহ    ♦     ফতুল্লায় ওসমান দোসররা বিএনপির ছায়াতলে    ♦     ধরা ছোঁয়ার বাইরে মতির সহযোগী জাহাঙ্গীর    ♦     না’গঞ্জে কোনো ফ্যাসিবাদী শাসন চলতে দেব না    ♦     ফতুল্লার ৫ ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটি গঠনে তৎপরতা    ♦     গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে    ♦     সদরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পইন উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন সভা    ♦    

পাল্টে যাচ্ছে রাজনীতির গতিপথ!

ডান্ডিবার্তা | ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৯:১১ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে ইসলামী দলগুলির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মূলত: জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা বিএনপিকে টপিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এক কারণ হিসাবে অনেকে বিএনপির বির্তকিত নেতাদের বিরুদ্ধে বিএনপির হাইকমান্ড এখনো কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়েছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইসলামী দলগুলি এগিয়ে যাচ্ছে। এ চিত্র এখস শুধু নারায়ণগঞ্জেই নয়। এ চিত্র দেখা যাচ্ছে সারাদেশে। আর এতে করে রাজনৈতিক পতিপথ পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। যার প্রমাণ হিসাবে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু-জাকসু) নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। অন্যদিকে জয় তো দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল ও বামপন্থী প্যানেলগুলো। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ দুই ছাত্রসংসদের ফলাফল শুধু ক্যাম্পাস রাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং তা জাতীয় রাজনীতিতেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় শিবিরের বিস্তৃত প্রভাব কেবল বিএনপি নয়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বদলে যেতে পারে সব সমীকরণ। অনেকে মনে করেন, ডাকসুতে শিবিরের জয় ঠেকাতে শিবিরবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট গড়ে মাঠে নামা উচিত ছিল। জাতীয় নির্বাচনে জোট গড়ার ক্ষেত্রে ডাকসুর এই অভিজ্ঞতা প্রভাব ফেলতে পারে। জাতীয় রাজনীতিতে তৈরি হতে পারে নতুন মেরুকরণ। আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ঘিরে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ ছিল সেটি এখন বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীকে ঘিরে হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডাকসু ও জাকসুতে শিবিরের বিজয়ের পর এখন জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে আরও বেশি চিন্তা করতে হবে বিএনপির। শিবির সমর্থিত প্যানেলের এই বিজয় জামায়াতকে বিরোধী শক্তিগুলোর কাছাকাছি নিয়ে যাবে। যেটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের সমীকরণ বদলে দিতে পারে। রাজনৈতিকভাবে যারা জামায়াত ও শিবিরের ঘোরতর বিরোধী, তথা বামপন্থীসহ ছোট ছোট দলগুলো বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে পারে। এক্ষেত্রে ছোটখাট দলগুলোর কদর বাড়বে বলেও মনে করা হচ্ছে। একইভাবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিপুল সফলতা ইসলামপন্থী, ডান ও মধ্যপন্থীদের জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠনে উৎসাহিত করবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ইসলাপন্থী এ দলটির যে জোট গঠনের প্রচেষ্টা, সেটিকে আরও সহজ করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপির মতো বড় দল এখন আর জামায়াতের শক্তিকে খাটো করে দেখবে বলে মনে হয় না। তারা এখন নিশ্চয়ই হিসাব-নিকাশ করেই জামায়াতকে মোকাবিলার কৌশল নেবে। এক্ষেত্রে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জোটের রাজনীতিতে ছোট ছোট দলগুলোর কদর বাড়বে। তবে ডাকসু এবং জাকসু নির্বাচনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের নিয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ছাত্র সংগঠনের খারাপ ফলাফল জাতীয় রাজনীতিতে তাদের দর-কষাকষির ক্ষমতা কমাতে পারে। ডাকসু ও জাকসুর এই ফলাফলে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে তরুণ ভোটারদের মানসিকতায়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিবিরের শক্ত উপস্থিতি প্রমাণিত হওয়ায় নতুন ভোটারদের একটি বড় অংশ জামায়াতের দিকে ঝুঁকতে পারে। দেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের একটা ধারণা ছিল, বিএনপি একটি বড় দল এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারাই ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে। কিন্তু ডাকসু ও জাকসুতে ছাত্রদলের পরাজয় সেই ধারনায় বড় ধরনের ধাক্কা দিল। জামায়াত ইসলামী মধ্যপন্থী এবং ইসলামপন্থীদের যে জোটগঠনের চেষ্টা করছে সেই জোট আগামীতে অকল্পনীয় সফলতা দেখাতেও পারে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের বিজয় সংস্কারসহ নানা ইস্যুতে বিএনপির ওপর চাপ তৈরি করবে। কেন্দ্রীয় রাজনীতি থেকে তৃণমূল পর্যন্ত এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক পুনর্বিন্যাস ও কর্মসূচিসহ সবকিছুতে বিএনপিকে নতুন করে ভাবতে হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত-শিবিরের উত্থান আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। ফলে কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও নতুন বাস্তবতা তৈরি হবে, আরও বেশি গুরুত্ব পাবে জামায়াতে ইসলাম। ডাকসু এবং জাকসু নির্বাচনকে কতটা গুরুত্ব দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলো। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। বিশেষ করে বিএনপি-এনসিপি-কমিউনিস্ট পার্টিসহ বামপন্থী সংগঠনগুলোর অফিসিয়ার পেজ থেকে তাদের সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইতেও দেখা গেছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগও এসেছে। এ ধরনের অভিযোগে ছাত্রদলের একটি উপজেলার সদস্য সচিবকে বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে হারজিতের ব্যাপারটা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এখন ইজ্জতের লড়াই হয়ে গেছে। যে কারণে এই নির্বাচন ও এর ফলাফল নিয়ে বিএনপি, জামায়াত কিংবা এনসিপির মতো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উচ্ছ্বাস ও আশঙ্কা দুইটাই আছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাশেদা রওনক খান গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল অনেক বেশি প্রভাব রাখবে জাতীয় রাজনীতিতে। কারণ, ধরে নেওয়া হচ্ছে এখানে যারা জয়ী হবে তাদের একটা মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি হবে সারা বাংলাদেশে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের ইতিহাস এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে দেখা গেছে সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্র আলাদা। সেখানে ভোটারদের মানসিকতা আলাদা। সেক্ষেত্রে যারা মনে করছে এই নির্বাচনের ফলাফলটা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে আগামী নির্বাচনে, সেই ক্যালকুলেশনটা সঠিক নয়।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা