ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে আ’লীগ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের কিছু দোসর শেখ হাসিনাকে প্রত্যাবর্তনের জন্য নানা কৌশল করে যাচ্ছে। তারা বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠক করে দেশে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে চলেছে। আওয়ামীলীগ গত বছরের ৫ আগষ্টের পর পালিয়ে গেলেও আওয়ামী দোসররা দেশেই অবস্থান করছে। তারা এখন বিভিন্ন দলের সাথে মিশে গিয়ে বোল পাল্টে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছেন। আর গোপনে গোপনে আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে দেশে অশান্তি করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী দোসরের অনেকে কিছু ইসলামী দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে। যার কারনে আওয়ামী দোসররা নতুন লেবাসে বহাল তবিয়তে দিনাতিপাত করতে পারছেন। অনেক আওয়ামী দোসর বোল পাল্টে বলে বেড়াচ্ছেন বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের সময় বিপদে পদে আওয়ামলিীগের পক্ষে থাকতে হয়েছে। এখন আওয়ামীলীগ নেই তাই আমরা মুক্ত। এখন আমরা স্বাধীন ভাবে রাজনীতি করতে পারব। কিন্তু গোপনে তারা মিলিত হচ্ছেন বিভিন্ন জেলার আওয়ামী নেতাদের সাথে। বিভিন্ন অযুহাতে তারা গোপনে বৈঠক করে যাচ্ছেন। আর সুযোগ বুঝে অন্য জেলা থেকে আওয়ামী দোসরদের এনে ঝটিকা মিছিল করাচ্ছেন। আর বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের গোপন তথ্য ও পরিকল্পনা পাচার করছেন আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে। এমনই অভিযোগ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাদের। মাঠ পর্যায়ের নেতারা বলেন, ৫ আগষ্টের পর যেভাবে আওয়ামী দোসররা বিভিন্ন দলে অনুপ্রবেশ করেছে তাতে আগামী নির্বাচনে এর খেসারত দিতে হবে। এদিকে আওয়ামলিীগের ষড়যন্ত্র নির্বাচন ঠেকানো এবং বিএনপিকে ঠেকানো। তারা সেই ছক নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝটিকা মিছিল করে তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়ে চলেছেন। ইতিমধ্যে তারা রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ঝটিকা মিছিল করে রাজনৈতিক পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তুলেছে। এদিকে অন্তবর্তি সরকার শত চেষ্টা করেও নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের কার্যক্রম ঠেকাতে পারছেন না। দেখা যায়, রাজধানীতে ঝটিকা মিছিল করা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের আরও নয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল রোববার ভোর পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১০নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মকছেদুর ওরফে মোকসেদুর রহমান মোল্লা কিশোর (৪৭), মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. এনামুল হুদা লালু (৬০), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী যুবলীগের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও মতিঝিল থানা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল গাফফার (৫৬), লালবাগ থানার ২৪নং ওয়ার্ডের ৫নং ইউনিটের আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহারুল ইসলাম টিটু (৪৬), মিরপুর থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী মো. সাইফুল ইসলাম লিয়ন (২৪), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নাঈম নোমান (৬০), ডেমরা থানার ৬৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির রাজন (৪২), ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মাতব্বর (৪৩) ও ভাটারা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা শাখা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ-সভাপতি শিকদার সোহেল হাজারী (৩০)। গতকাল রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সুনির্দিষ্ট মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জেও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ প্রশাসন। তবে এখনো ঘাপতি মেরে আছে অনেকে। যারা সুযোগে অপেক্ষায় রয়েছে দেশে অস্থিরতা সুষ্টির জন্য। এ বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মন্তব্য হলো আওয়ামী দোসররা যেভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে তাদের দমানে সরকার ব্যর্থ হলে নির্বাচনের আগে তারা দেশে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।