আজ রবিবার | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৬ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | রাত ১০:১৩

ওসমান দোসরদের অত্যাচারের খেসারত দিচ্ছে আ’লীগের তৃণমূল

ডান্ডিবার্তা | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১০:২২ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
এক সময় নারায়ণগঞ্জের নিয়ন্ত্রন ছিল ওসমান পরিবারের হাতে। এমনকি, বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছিল না বললেই চলে। বিএনপি তাদের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলা মামলার শিকার হয়েছে। ওসমান পরিবারের যারাই বিরোধীতা করেছে তাদেরকেই করা হয়েছে গায়েবী মামরার আসামী। নারায়নগঞ্জের একছত্র অধিপতি ওসমান পরিবারের সদস্যরাসহ তাদের দোসররা এখন নারায়ণগঞ্জ ছাড়া। নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবার তথা আওয়ামীলীগের প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে তাদের অবস্থান নিয়ে কোন দলই টিকে থাকতে পারত না। অথচ, আওয়ামীলীগের সেই ঘাঁটির অস্তিত্ব বীলিন হতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েকঘন্টা। জুলুম অত্যচারের নগরী থেকে মুক্তি পেয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসী। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের কোনো নেতাও নেই। আত্মগোপনে চলে গেছেন জেলার সব নেতাসহ সহযোগী সংগঠন ও তৃণমূলের দায়িত্বশীল নেতারা। দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীর বিশ্বাস ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি পরিস্থিতি অনুক‚লে নিয়ে আসবেন। এত দ্রæত প্রতিক‚ল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে কেউই তা ভাবতে পারেননি। হতাশায় আচ্ছন্ন কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীরা। নিরাপত্তাহীনতাও প্রবলভাবে ঝেঁকে বসেছে তাদের। নেতাদের দিকনির্দেশনা না পাওয়ায় নেতাকর্মীরা এখন আত্মগোপনে। তবে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মনে করেন, ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জে যে ধরনের বিতর্কিত কর্মকান্ড করে সন্ত্রাসের জনপদ তৈরী করেছিল। আর তাদের পাপের খেসারত দিতে হচ্ছে তাদেরকে। ১৩ মাস আগেও জেলার নেতাদের নির্দেশে যেসব কর্মী মাঠে সক্রিয় ছিলেন, নির্দেশনার অভাবে অনেকটা অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তারা। একটি সূত্র জানিয়েছে, অন্তর্বতীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বক্তব্য-বিবৃতি দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে নেতারা গ্রেপ্তার আতঙ্কেও পালিয়ে আছেন। বিনা বাধায় ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট ও বাড়ি-গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে গত এক বছরে। ফলে বেঁচে থাকার তাগিদেই আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতারা। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যারা সংকটে আত্মগোপনে চলে যান, কর্মীদের খোঁজ-খবর রাখেন না তাদের নেতা বানানোর পরিণতিই বরণ করতে হয়েছে আজকে। অযোগ্য-অথর্ব নেতাদের পদ দিয়ে, জাতীয় নেতা ও মন্ত্রী বানিয়ে কী লাভ হলো? দল যখন সংকটে আত্মগোপনে থেকে হলেও কর্মী-সমর্থদের দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো সাহস না থাকলে কীভাবে দল চলবে সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। এদিকে নারায়ণগঞ্জের সব নেতাই মোবাইল নাম্বার বন্ধ রেখেছেন, পরিবর্তন করে নতুন নাম্বার নিয়েছেন। নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিয়ে বসে আছেন। দেশত্যাগের সুবিধা খুঁজছেন টাকাওয়ালা নেতারা। অনেকেই ইতিমধ্যে দেশ ত্যাগ করেছেন। কর্মী-সমর্থকের নিরাপত্তার কথা একবারও চিন্তায় আনেননি তারা। এদিকে এ পরিস্থিতিতে গা ঢাকা দেওয়া আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ে নেতাকর্মীরা আর্থিক সংকটে পড়ছেন। তাদের অনেকেই টাকাপয়সার জন্য নেতাদের মোবাইলে খুদে বার্তা দিলেও কোনো উত্তর পাননি। এতে তাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃনমূল পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভের সাতে বলেন, দলকে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ওসমান পরিবার ও তাদের দোসররা বিদেশে আরাম আয়েশে থাকলেও আমরা অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা