আজ রবিবার | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৬ আশ্বিন ১৪৩২ | ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ | দুপুর ১:৪৭

ফিরতে শুরু করেছে জাপা নেতারা

ডান্ডিবার্তা | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আস্তে আস্তে আওয়ামীলীগের চিহিৃত দোসর জাতীয়পার্টির নেতারা বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। তারা দীর্ঘ ১ বছরের অধিক সময় আত্মগোপনে থাকলেও তারা ধীরে ধীরে নিজ এলাকায় ফির আসছে। কেহ হয়ে গেছেন বিএনপির ডোনার আবার কেহ হয়ে গেছেন বিএনপি নেতা। আবার কেহ কেহ নির্বাচন করার জন্য মাঠে নেমেছেন। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের শহরে ও বন্দরে জাতীয়পার্টির বেশ কিছু নেতাকে নির্বিঘেœ ঘুরা ফেরা করতে দেখা যায়। যাদের কারো কারো নামে মামলাও রয়েছে। মূলত: তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতারে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জ জাতীয়পার্টির সহ সভাপতি মাকসুদ হোসেন তিনি সংসদ নির্বাচনের জন্য পুরো দমে মাঠে রয়েছেন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনজুর আলম অভিযোগ করে বলেন, বন্দর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে গভীর নলক‚পের কথা বলে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন। একই সাথে মার্কেটে দোকান দেয়ার কথা বলে ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন তিনি। মাকসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলায় তিনি আসামী হন এবং তিনি জেল খেটেছেন। এই মাকছুদ হোসেন গভীর নলক‚পের কথা বলে ১৪০০ থেকে ১৫০০ লোকের কাছ থেকে ১২ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। এই নলক‚পের টাকা ফেরত দেয়ার জন্য আমি উনাকে বিভিন্নভাবে অনুরোধ করছি। কিন্তু উনি টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। তিনি এতকিছু দান করেন কিন্তু গরীবের টাকাগুলো দিচ্ছেন না। এই টাকার জন্য প্রয়োজনে আমি আইনের দারস্থ হবো। লাঙ্গলবন্দ বাজারে সরকারিভাবে মার্কেট হয়েছে। কিন্তু এই মার্কেট কেন লিজ দেয়া হচ্ছে না? আমরা যতটুকু জানি এই সাবেক চেয়ারম্যান দোকান দেয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ থেকে ৬ লক্ষ করে মোট ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা তিনি নিয়েছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর মাকসুদ হোসেন ও তার চেলে শুভও মামলার আসামী হয়েছেন। বন্দরে একসময় অনেক দাপট দেখাতেন শাহআলম ওরফে মুরগী শাহআলম। বন্দর বাজারে তার একটি মালিকাধীন মার্কেট রয়েছে সেই মার্কেটের ২য় তলাটি আওয়ামলিীগ নেতারা ব্যবহার করতেন। আর সেখান থেকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতেন। আর মুরগী শাহআলম আওয়ামীলীগের ছায়তলে থেকে অনায়াসে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যার কারণে সে ২২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনও করেছে। আরেক নেতা কদম রসুল এলাকার জাহাঙ্গীর অল্পদিনে তার নামের পিছনে নেতা উপাধী জড়ানো হয়। ২৩নং ওয়ার্ডের অঘোষিত নিয়ন্ত্রখ ছিলেন তিনি। তিনি জাতীয়পার্টির নেতা হলেও তার ঘনিষ্ট সখ্যতা ছিল ওসমান পরিবারের সাথে। যার কারণ তিনি বিভিন্ন স্কুল থেকে শুরু করে ড্রেজার ব্যবসা, আকিম সিমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাকেও দেখা যায় নিজ এলাকায় ঘুরে বেড়াতে। অপরদিকে মহানগর জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন পলাতক থাকলেও তার সহযোগিরা এলাকায় দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আরেক নেতা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। যার কাছ থেকে ওসমান পরিবার াবৈধ সুবিধা আদায় করত। তিনি সুবিধা দিতে দিতে পেরেসান হওয়ার পর আর্থিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর তাকে ওসমান পরিবার দল থেকে বহিস্কার করেন। কিন্তু তিনি জাতীয়পার্টির রাজনীতি করে কোটি কোটিপতি বনেছেন। তার বিরুদ্ধে জমি আত্মসাতের অভিযোগে কিছু দিন আগে সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে। তবে তিনি এলাকা না থকলেও নিজ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতেই রেখেন। দুরে থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তবে সব মিলিয়ে জাতীয়পার্টির নেতারা ফিরতে শুরু করেছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা