আজ শুক্রবার | ১৫ আগস্ট ২০২৫ | ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২০ সফর ১৪৪৭ | সকাল ১১:১০

বিএনপির আন্দোলনে হতবাক আ’লীগ!

ডান্ডিবার্তা | ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ সর্বদাই রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির টানিং পয়েন্টকে গুরুত্ব দিয়েই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন বলে শ্রুতি রয়েছে। সেই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে বিএনপি দীর্ঘদিন প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকলেও ক্ষমতাসীনদলের কাছে এখনো বিএনপিই তাদের মূল প্রতিপক্ষ। তাই ভেতরে-বাইরে, সভা-সমাবেশে বিএনপির সমালোচনায় মুখর থাকেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচন সামনে রেখে সরকারবিরোধী লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। যার প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচী পালনের মাধ্যমে রাজপথের রাজনীতিতে দলের অস্তিত্বের জাগান দিয়ে যাচ্ছে নেতৃবৃন্দ। তবে এসব কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করার পাল্টা হঁশিয়ারি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সেই লক্ষ্যে সম্প্রতি জেলার বিভিন্নস্থানে আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ রাজপথে অবস্থানের মাধ্যমে বিএনপি জামায়াত শিবিরের অরাজকতার বিরুদ্ধে সভা সমাবেশসহ প্রতিবাদ মিছিল করে আসছে। এদিকে, অতীতে সরকার পতনসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করে আসলেও বর্তমানে কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। তবে সফলতা না পাওয়ায় দাবি আদায়ে লাগাতার কর্মসূচির হুমকি দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। দলটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অনেকে বলেছেন, তাদের নেতৃত্বের ওপর মাঠ পর্যায় থেকে রাজপথের আন্দোলনের ব্যাপারে চাপ রয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের কাছে বিএনপি নেতৃত্বশূন্য হলেও তাদের কর্মীদের সংখ্যা দলটির যে কোনো কর্মসূচি এখনো মাথাব্যথার কারণ। নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সম্প্রতি কয়েকটি আন্দোলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের স্ফতস্ফুত অংশগ্রহন দেখে আওয়ামী লীগের নেতারা অবাক হয়ে উঠছেন। এ প্রেক্ষাপটে আগামী এক বছর বিএনপিকে আরো চাপে রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। মাঠে-ঘাটে, রাজনীতিতে ও নির্বাচনে বিএনপিকে একবিন্দুও ছাড় দেবে না ক্ষমতাসীনরা। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপিকে মাঠে সীমিত পরিসরে নামতে দিলেও হামলা-মামলা হতে পারে বড় আকারে। জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, খুব শিগগির পাওয়া যাবে চলমান আন্দোলনের সফলতা। আগামীতে দ্রুত আন্দোলনের নতুন কৌশল প্রয়োগ করা হবে। আর নতুন কৌশলে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে আবারো ভিন্ন ধাঁচের কৌশলে যাবে দল। কিন্তু সরকারের পতন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রের বিভিন্ন দিক নির্দেশনায় গণতান্ত্রিক পন্থার এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে আন্দোলনের গতিপথই শুধু প্রয়োজন মাফিক পাল্টাবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বিএনপির সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, এখন বাংলাদেশ উদ্ধার করতে হবে। ভোট চোরদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। আওয়ামী লীগ সংবিধান স্বীকৃত জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে, দেশের আত্মা বিক্রি করে দিয়েছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। নতুন বছরে মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানো হবে। পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে নাশকতা হয়, এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া যাবে না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে শান্তিপূর্ণ যত উপায় ও পদ্ধতি রয়েছে, সবগুলো অ্যাপ্লাই করা হবে। নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।  মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, এখন পেছনে তাকানোর আর সুযোগ নেই বিএনপির। সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হয়েছে। যার শেষও দেখতে হবে। দেশের পরিস্থিতি ও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় বিএনপি এখন ‘ডু অর ডাই’ পজিশনে। জনগণই আমাদের শক্তি। সরকারকে বিদায় করতে জনগনকে সাথে নিয়ে পাড়া মহল্লায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হলেও যে কোনো সময় বড় ধরনের কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে নামার পরিকল্পনা রয়েছে দলের। এছাড়া অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তিসহ কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হাই বলেন, বিএনপি দেশবিরোধী রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা জনগণের সহানুভূতি পেতে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। দেশের মানুষের কাছে বিএনপির রাজনীতি দুর্নীতির-লুটপাটের ও মানুষ খুনের। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানুষ দেখেছে। তাই দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপির এই দেশে রাজনীতি করার বৈধতা আর নেই। মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিএনপির কাছ থেকে। আওয়ামী লীগের জন্য এটি বড় সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে ক্ষতি হবে আওয়ামী লীগেরই। ফলে বিএনপি রাজনৈতিক অবশিষ্ট শক্তিও থকুক চায় না ক্ষমতাসীনরা। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী বলেন, বিএনপির ধারাটাই হলো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য যে ইতিবাচক চিন্তাচেতনা দরকার, তারা সেখানে সম্পৃক্ত হতে পারছে না। তারা যতই উল্টা পথে চলবে, তারা ততই বিভ্রান্তির বেড়াজালে আবর্তিত হবে। এটা তাদের দলকে অস্তিত্বহীন করে দিয়েছে। অস্তিত্বহীনবিরোধী দলের প্রয়োজন বাংলাদেশে নেই। আন্দোলনের নামে জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেললে তা কঠোর ভাবে প্রতিরোধ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা