ক্ষমতাসীনদের রাজনীতি ড্রইংরুমে
ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের নেতারা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে থাকায় রাজনৈতিক ভাবে তেমন অগ্রসর হতে পারেনি। কেউ কেউ উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে নেতায় নেতায় কোন্দল জিয়িয়ে রাখছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেতে যারা তৎপর ছিল তাদেরও এখন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও যারা টেন্ডারবাজী, ভূমিদস্যূতাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এমন নেতারাও এখন নিশ্চুপ। জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা এখন তাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ডে তাদের দেখা যায় না। ফলে বর্তমান রাজনীতি এখন অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। নিজ দলের স্থানীয় এ সকল জনপ্রিয় নেতারা রাজনীতির মাঠে না থাকায় তাদের সমর্থক ও কর্মীরা হতাশায় ভুগছেন। এদিকে নেতাদের অনেককেই কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে দলের মূল ¯্রােতের বাহিরে। আবার কেউ কেউ দলের গ্রুপিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আওয়ামীলীগের কয়েকজন জনপ্রিয় প্রভাবশালী নেতারা অনেকটাই রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকেই মাঠে আছেন ভক্ত ও সমর্থকদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে। স্থানীয় নেতা কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় নেতারা মাঠে না থাকায় এখন দলের কর্মসূচিগুলো পালিত হয় অনেকটাই লোক দেখানো জন্য। এদের শূন্যতা তৃণমূলের নেতারা উপলব্ধি করলেও টনক নড়ছে না দলীয় হাই কমান্ডের। দলের নিবেদিত কর্মীদের দাবি সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য এ সকল নেতারা মাঠে থাকলে কর্মী সমর্থকরা আরো উজ্জীবিত হয়ে মাঠে থাকতেন। এরা না থাকায় অনেকটা প্রাণহীন জেলার রাজনীতি। স্থানীয় অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ কালে তারা তাদের ক্ষোভ ও হতাশার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, ওই সকল নেতারা তাদের নিজ গুণ আর কর্মে ঠাঁই পেয়েছেন মানুষের অন্তরে। সূত্র বলছে, অন্যান্য দলের নেতারা যখন দলীয় কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত তখন আওয়ামীলীগের নেতারা রয়েছেন নিশ্চুপ। এমনকি দলের প্রভাব খাঁটিয়ে ঠিকাদারি করছেন তারাও নিশ্চুপ। তাই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ হাই বলেন, ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা দল গুছাতে ব্যস্ত সময় পার করছি। তবে, সুবিধাভোগী নেতাদেরকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল বলেন, দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেকেই টোকাই থেকে কোটিপতি হয়েছেন। অথচ দলের দুঃসময়ে তাদের রাজপথে দেখা যায়নি। ইতিমধ্যে জেলার সুবিধাবাদী নেতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সুবিধাভোগী নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।