নির্বাচনী হিসাব কষছে বিএনপি!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট নতুন করে আন্দোলনের হিসাব কষতে শুরু করেছে বিএনপি জোটের দলের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে বিশ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ। বিরোধী দলীয় জোটের চলমান আন্দোলনের সফলতা ও ব্যর্থ নিয়েও হিসেবে কষতে শুরু করেছে জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া আন্দোলন শুরুর পর থেকে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা নিজ বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে তারা এখন নিজ গৃহে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ঘর ছাড়া এসব নেতাকর্মীদের মধ্যে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ও চলছে চরম অস্থিরতা। কেউ এই ব্যর্থ আন্দোলনের পক্ষে আর কাজ করতে প্রস্তুত নেই। দলের বেশীর ভাগ নেতাই চায় নিজে গৃহে ফিরে আসতে। তবে এবারের সরকার বিরোধী আন্দোলনের ফসল কী এ নিয়ে হিসেব শুরু হয়েছে। বিগত সময়ে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপি-জামাতের চেয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের পাল্লা ভারী হয়েছে। বিশ দলীয় জোটের নশকতা দমন ও প্রতিহত করতে ক্ষমতাসীনরা শতভাগ সফল হয়েছে। তবে বিএনপি-জামাত সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যে গ্যারাকলে পরেছে তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। অন্যদিকে বিরোধী জোটের সরকার বিরোধী আন্দোলন সফলতার আলো দেখলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের পরিনতি কী হতে পারে এ নিয়েও নানা আলোচনায় উঠে এসেছিলো দলের তৃনমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে। আন্দোলনের মধ্যবর্তী সময় শেষ পরিনতি দেখার আগেই সরকার সমর্থিত অনেক নেতা নিজেকে ঘুটিয়ে নিতে শুরু করেছিল। মাঠের বাইরেও অবস্থান করতে দেখা গেছে ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রভাশালী নেতাকে। ওই সময় সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা সরকার সমর্থিত নেতাদের ভূমিকা কেমন ছিলো এব্যাপারে খোঁজ নিতেও শুরু করে দেয় বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। অপরদিকে, সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বিভাগীয় শহর, জেলাগুলো অবরোধ, হরতাল চলছে। সরকার বিরোধী আন্দোলনের নামে হরতাল-অবরোধে নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে যানবাহনে আগুন দিয়ে সাধারন মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চর করে বিএনপি-জামাত জোট। তবে প্রশাসন ও ক্ষতাসীন দলের কঠোর হস্তক্ষেপে নাশকতা প্রতিরোধে সক্ষম হয়। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে নারায়ণগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি। চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলন নিয়ে নতুন করে হিসেব কষতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। তবে এ হিসেবটা বেশী কষতে শুরু করেছে বিএনপি-জামাত জোট ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এবারের সরকার বিরোধী আন্দোলন সফল হলে পরবর্তী অবস্থান কী হবে এবং আন্দোলন ব্যর্থ হলেও কী হবে এ নিয়ে ক্ষমতাসীন জোট ও বিবেরাধী জোটের নেতাকর্মীরা চুলচেড়া বিশ্লেষন শুরু করেছে। তবে আন্দোলন শুরুর পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের মুষ্টিমেয় কিছু নেতাকর্মীরা ছাড়া বাকীরা অনেকটা আড়ালে রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের যে সমস্ত নেতারা চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে রহস্য জনক ভূমিকা কিংবা নিরবতা পালন করে আসছে তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিতে মাঠে নেমেছে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ইতোমধ্যে জেলার বেশ ক’টি থানা এলাকার নেতাদের তালিকা তৈরী করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানাগেছে। তবে চলমান আন্দোলনের পরিনতি কী হবে এ নিয়ে চিন্তিত রয়েছে উভয় রাজনৈতিক জোটের নেতাকর্মীরা।