আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | দুপুর ১:০০
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

আ’লীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে

ডান্ডিবার্তা | ০১ আগস্ট, ২০২৪ | ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা এখন অনেকটাই প্রকাশ্যে। একইসঙ্গে ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে একমাত্র ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাংসদ শামীম ওামান ছাড়া কোথাও হেভিওয়েট সংসদ সদস্য ও তাদের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। একমাত্র প্রভাবশালী সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ তার সমর্থকরা আন্দোলনের নামে শান্ত নারায়ণগঞ্জকে যে সকল দুষ্কৃতিকারী অশান্ত করার চেষ্টা করেছিল তাদের প্রতিহত করতে অসুস্থ থাকা স্বত্তেও হাসপাতালের বেড ছেড়ে নারায়ণগঞ্জের রাজপথে নেমে পড়েন। আর নারায়ণগঞ্জের এ দুঃসময়ে এ জেলার বাকি সাংসদদ্ধয়ের নীরব থাকার বিষয়টি জেলাবাসীর মধ্যে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জবাসী তাদের অভিমত ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, দল টবং নারায়ণগঞ্জ বাসীর দুঃসময়ে সাংসদ শামীম ওসমান সর্বদাই রাজপথে অবস্থানের মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করে এসেছেন। অতীতেও একইভাবে সাধারন মানুষের পাশে ছিলেন প্রভাবশালী এ সাংসদ। অপরদিকে, দলের সাইনবোর্ড গায়ে লাগিয়ে এমপি হলেও দলীয় কিংবা নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে দেখা যায়নি জেলার অন্যান্য সংসদ সদস্যদের। অপরদিকে, কোটা আন্দোলন চলাকালে দুষ্কৃতিকারীদের তান্ডবে নারায়ণগঞ্জের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হলেও নীরব ছিলেন ক্ষমতাসীনদলের নেতৃবৃন্দ। সূত্র মতে, আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়ার পর নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। জেলার সাইনবোর্ড, শিবুমার্কেট, চাষাড়া, নগর ভবন, পুলিশ বক্স, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, পিবিআই ভবনসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের মোকাবিলার ঘোষণা দেয়া হলেও নেতাকর্মীদের খুব একটা মাঠে দেখা যায়নি। একমাত্র সাংসদ শামীম ওসমান ছাড়া এ আসনে প্রভাবশালী সংসদ সদস্য থাকলেও মাঠে কারো উপস্থিতি ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসে। অনেক এমপি নিজ এলাকায় না থেকে নিরাপদ স্থানে ছিলেন বলেও জানা গেছে। এদিকে সাংগঠনিক ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ হাই বলেন, অনেকে এ ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেননি। আর এটি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, সেখানে ছাত্রদের সংশ্লিষ্টতা প্রাধান্য পেয়েছে। এখানে মূল সংগঠনের সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া বা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে ভিন্নমত পোষন করেন মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। নিজেদের ব্যর্থতার কথা তিনি স্বীকার করে বলেন, দলীয় কোন্দলের কারনেই আমরা দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে পারিনি। তবে, এর পূনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে দ্রæত সময়ের মধ্যেই দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা