সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় মাঠে বিএনপি

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দীর্ঘ দিন নিস্পেষিত হওয়া বিএনপি। বিদেশী প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে এবার বিএনপি সক্রিয় ভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। বিএনপি এখন সক্রিয় ভাবে সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য বিএনপির পাশাপাশি জামাতও রাজপথে রয়েছে। বিএনপি নেতারা বিভিন্ন স্থানে মন্দির পাহাড়া দিচ্ছেন। সেই সাথে সংখ্যারঘুদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। নারায়ণগঞ্জে কোন সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা বা ভাংচুর এমনকি কোন মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেনি। এদিকে বিএনপি জামাত সংখ্যালঘুদের মন্দির পাহাড়া দেয় এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য তাদের বিভিন্ন সহায়তা দিলেও সংখ্যালঘুরা বিদেশী প্রোপাগান্ডার সূত্র ধরে মিছিল করে। দেখা গেছে বিএনপি জামাতকে মন্দির পাহাড়ায় রেখে তারা মিথ্যা প্রোপাগান্ডাকে বিশ্বাস করে মিছিল করে। এদিকে বিএনপি নেতারা বলেন, আমারা সংখ্যালঘু বলতে কিছু বুঝিনা, আমরা বুঝি সমাজের সবাই আমরা এক পরিবারের সদস্য। মন্দির রক্ষা এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তায় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের পাশে আছে। ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমন কিছু দূর্বৃত্ত তাদের উপর হামলা, উপাসনালয়ে হামলা চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। একটি মহল চায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও উপসনালয়ে হামলা করে এর দায় ছাত্র-জনতা ও বিএনপি জামাতের উপর চাপিয়ে দেশে একপি গৃহযুদ্ধ প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এদেশে সংখ্যালঘু বলতে কিছু নেই। সনাতন ধর্মালম্বীরা এ দেশের নাগরিক এ দেশের ভোটার। আমাদের মত তাদেরও পূর্ন অধিকার রয়েছে। আমরা একে অপরের পরিপুরক হয়ে বসবাস করি। হিন্দু নেতা বাবু নীল রতন দাস, অর্জুন চন্দ্র দাস, মৃনাল চন্দ্র দাস, তাপস সাহা, কাশি চন্দ্র দাস, সুমন চন্দ্র দাস, পরিমল চন্দ্র দাস, পলাশ চন্দ্র দাস, সম্ভুনাথ বলেন, আমরা নারায়ণগঞ্জে নিরাপদে আছি। যারা প্রোপাগান্ডা ছড়ায় তারা বাংলাদেশে শান্তি নয় অস্থিতিশীল করতে চায়। মহানগর বিএনপি সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেন, এখন পরাজিত শক্তি দেশে উশৃঙ্খলতা সৃষ্টি করে তাদের প্রভু রাস্ট্রকে বুঝাতে চায় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িত হামলা হচ্ছে। তারা বিভিন্ন স্থানের পুরনো ছবি ও একজন আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ির আগুনকে মন্দির আখ্যাদিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এ থেকে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। পরাজিত শক্তি যাতে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। সাবেক বিএনপি নেতা আতাউর রহমান মুকুল আরো বলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার হবে আইনের মাধ্যমে। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আমরা প্রতি হিংসার রাজনীতি করিনা। আমরা প্রতিশোধ নেই না, ক্ষমা করে দেই। বিশৃঙ্খলাকারীদের কোন ছাড় নেই। সেই যে কেউ হোক। এদিকে নারায়ণগঞ্জে সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য ১৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দিদার খন্দকার বেগম খালেদা জিয়ার ও তারেক রহমানের নির্দেশে দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় মুরুব্বিদের নিয়ে শহরের দেওভোগ লক্ষীনারায়ণ আখড়া মন্দির, নন্দীপাড়া, পালপাড়া, গোয়াল পাড়া, উকিলপাড়া, বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে রয়েছেন। এভাবে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তারা রাজপথে নেমে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছেন।