আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৭:০৯
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

একটি কথার স্ফুর্লিঙ্গে আ’লীগ ধ্বংস

ডান্ডিবার্তা | ১৫ আগস্ট, ২০২৪ | ১১:২০ পূর্বাহ্ণ

নাসির উদ্দিন
একটি কথার স্ফুর্লিঙ্গ দীর্ঘ দিনের সাজানো বাগান নিমিষে জ্বলে পুড়ে সারখাড় হয়ে গেল। প্রতিবাদের আগুন এতই দাবানলে পরিনত হয়েছে যা আর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে সবকিছু ফেলে নিরাপত আশ্রয়ে যেতে হয়েছে। তারা হয়তো ভেবে ছিল আমাদের এ বাগান আর কে তছনছ করবে? কিন্তু না সেই ভাবনায় পানি ঢেলে দিয়ে বাংলাদেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতা সেই বাগান ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। বলাচলে আওয়ামীলীগ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল তাদের অত্যাচার নমরুদ আর ফেরাউনকে হার মানিয়েছে। হাজার হাজার হত্যা, হাজার হাজার গুম আর বাক স্বাধীনতা হরণ করে দেশটাকে এক নায়কতন্ত্রে পরিনত করেছিল। একটি কথা আছে ক্ষমতা যেমন চিরস্থায়ী নয় এবং অত্যাচারের সীমা লঙ্ঘণ হয়ে গেলে মহান সৃষ্টিকর্তাও সহ্য করেন না। সেই ্আওয়ামী দু:শাসনের লোমহর্ষক বর্নণা দিচ্ছেন অনেকে। আওয়ামীলীগের কথিত আয়না ঘরে কত মানুষের প্রাণ গেছে তার হিসাব নেই। আজো অনেক নিখোঁজ হওয়াদের স্বজনরা পথ চেয়ে আছেন। হয়তো তাদের মানুষটি ফিরে আসবে। আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষমতার লোভ এতটাই বিভোর ছিল যত কিছুর বিনিময়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে। মানুষ মরে মরুক কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শেখ হাসিনার নির্দেশে অনেক ছাত্রকে ধরে এনে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়। শেখ হাহিনা পালিয়ে যাওয়ার পর রাতেই মানুষ সেই ছাত্রদের গণকবর থেকে শিক্ষার্থীদের লাশ উদ্ধার করে। কতটুকু পৈচাষিক হলে এমন কাজ করতে পারে। এই দেড় দশক একটানা ক্ষমতায় থাকার কারনে আওয়ামীলীগ নেতারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল তারা কাউকে পরোয়া করত না। ২০২২ সালে ১৫ আগষ্টের শোক দিবসের জন্য চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সময় রান্না করা খিচুরিও মাটিতে গড়াগড়ি খায়। শুধু তাই নয় আওয়ামলীগের এক ্মন্ত্রী সেদিন শেখ মুজিবকে জাহান্নামের ভাল স্থানে রাখার দেয়াও করেছিল। শেখ হাসিনা ক্ষোভের সাথে বলেছেন, ১৯৭৫ সালে যখন তার পিতা-মাতাসহ পরিবারের সকলকে হত্যা করা হয় তখন ৩২ নাম্বারে শেখ মুজিবের লাশ ২দিন পড়ে ছিল। তখন আওয়ামলীগের একজনও তাকে দেখতে যায়নি। শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনা তারা তাদের সমালোচনা পছন্দ করতেন না। যারাই তাদের সমালোচনা করেথে তাদের কঠিন পরিনতি ভোগ করতে হয়েছে। যার প্রমাণ সংবিধান, সাংবিধানিক আইন ও রাজনীতি: বাংলাদেশ প্রসঙ্গ বইয়ে পাওয়া যায়। শেখ মুজিব তার ক্ষমতা পাকাকোক্ত করার জন্য একটি আইন করেন গণপরিষদ বাতিল আদেশ। শেখ মুজিব এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭২ সালে ল²িবাহিনী আইন পাশ করে ল²ী বাহিনী গঠন করে দেশে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করে। গঠন করে বাকশাল। রুদ্ধ করে দেয়া হয় মানুষের বাক স্বাধীনতা। ১৩৭৩ সালে ভোট ডাকাতি করে দেশে ভোট ডাকাতির সুচনা করেন আওয়ামীলীগ। শেখ মুজিবের সবচেয়ে ঘনিষ্ট তৎকালিন স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল মুজিব খুন হওয়ার পর মন্তব্য করেছিলেন জাতি ্আজ ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। আওয়ামীলীগের আরেকজন নেতা আতাউর রহমান খান বলেছিলেন ১৫ আগষ্ট শোক দিবস নয় নাজাত দিবস হিসাবে পালন করা উচিত। স্ েপিতার পথ ধরেই শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখতে কোন সমালোচককে সহ্য করতে না। তাদের ধরে কথিত আয়না ঘরে নিয়ে নির্যাতন আর গুমরে মাধ্যমে অগনিত বিরোধী মতকে গত্যা করেছেন। যা এখন বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। আওয়ামীলীগের নির্যাতন আর দম্ভ এতটাই বেরে গিয়েছিল তার এমপি মন্ত্রী থেকে শুরু করে পাতি নেতারাও কাউকে পরোয়া করতে না। মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না। মানুষ অসাহয়ের মত তাদের নির্যাতন সহ্য করে গেছে আজকের এই দিনের আশায়। একসময় যাদের ডাকে লাখো লোকের জমায়েত হতো আজ তাদের পাশে কেহ নেই। চোরের মত তাদের পালাতে হলো। আওয়ামীলীগ কখনো বিরোধী মতকে দমাতে কার্পন্য করেনি। যেভাবে ইচ্ছ সেভাবে দমন করেছে। হেফাজতকে গণহত্যা চালিয়ে দমিয়েছে। বিএনপিকে গুম, হত্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে দমিয়েছে। সেই আদলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমাতে চেয়েছিল। বেপারোয়া করে তুলেছিল শেখ হাসিনার পদলেহনকৃত কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে। নির্বিচারে গুলি করে ছাত্রদের হত্যা করে। এ নির্যাতন হয়তো সৃষ্টি কর্তা আর সহ্য করতে পারেনি। তাই ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে এক সাগরের রক্তের বিনিময়ে জালিম আওয়ামীলীগ সরকারের পতন নিশ্চিত করে বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনেন। মাত্র ৪৫ মিনিটে আওযামীলীগের মসনদ ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায়। আওয়ামীলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতার লোভী। সে নেতাকর্মীদের ভালবাসেন না। যদি ভাল বাসতেন তবে তিনি গ্রেফতার হতেন তবু নেতাকর্মীদের ফেলে চোরের মত পালাতেন না। আমরা আওয়ামীলীগ করে ভুল করেছি। আওয়ামীলীগ একটি স্বার্থপর দল। আর যারা দল করে তারা ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকেন। আজ যারা আওয়ামীলীগের নাম ব্যবহার করে পতিপত্তি হয়েছেন তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে দেশের সম্পাদ রাষ্ট্রের কোষাগারে ফিরিয়ে নেয়া উচিত। আর তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। আওয়ামীলীগ মাত্র একটি কথার কারণে আজ ধ্বংস হয়ে গেল।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা