আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৫১
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

এক মামলায় নাজেহাল আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ২১ আগস্ট, ২০২৪ | ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জে এক মামলাতেই কাবু আওয়ামীলীগ। দীর্ঘ ১৫ বছর তারা বিএনপি ও সমমনা দলগুলিকে হামলা-মামলা করে নাজেহাল করে রেখেছিল। তাতেও বিএনপিকে দমাতে পারেনি আওয়ামীলীগ। শুধু বিএনপিকে ঘরছাড়া করে রাখতে পারলেও মনোবল কমাতে পারেনি। আর বিএনপি তাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে দিন দিন আরো শক্তিশালী হয়েছে। চাঙ্গা হয়েছে মনোবল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকতে বিএনপিকে দমাতে অগনিত গায়েবী মামলা দিয়েছে। শুধু তাই নয় আওয়ামীলীগ বাহিনী বিএনপি নেতাকর্মীকে হত্যা করে উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল। কিন্তু এখন আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যে মামলা হচ্ছে তার তথ্য প্রমাণ দিয়েই মামলাগুলি হচ্ছে। গত ৪ আগষ্টও মদনপুরে এম এ সালাম, তার ভাই আলীনূর, ভাগিনা শাহীনূর, ভগ্নিপতি টিপু প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার উপর গুলি ছুড়েছে। সে সময় অনেকে আহত হলেও কোন হতাহত হয়নি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের ছোড়া গুলিতে বন্দরের কুশিয়ারা স্বজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হয় অনেকে। শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী বাহিনী সেদিন প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে প্রমাণ করেছে তারা বর্বর ও শেখ হাসিনার লালিত বাহিনী। যাদের কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জে প্রচুর দমনপীড়ন হয়েছে। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে আবুল হাসান সজন নামে এক যুবক গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ আড়াইশত আওয়ামীলীগ জাপার নেতাকর্মীদের নামে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। নিহত আবুল হাসানের বড় ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে মামলাটি করেন। মামলায় আসামী করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ মন্ত্রীর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিতে থাকেন ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন। এসময় মিশনপাড়া এলাকায় ছাত্র জনতার অবস্থানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় অয়ন ওসমানের গুলিতে আহত হন আবুল হাসান সজনসহ অনেকে। আহত অবস্থায় সজনকে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ আগষ্ট মৃত্যুবরণ করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সদর-বন্দর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো: বাদল, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানে শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাসেল, নাসিকের প্যানেল মেয়র আব্দুল করিম বাবু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৮নং ওয়ার্ডকাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল, এডভোকেট মহসিন, সুজিত সাহা, শামীম ওসমানের পুতরা মিনহাজুল বিকি, ফয়সাল, নির্জন দাস, লিটন সাহা, কোরবান, টিপু সুলতান, রামু সাহা, খান মাসুদ, বান্টি, বাপ্পি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ রিফাত, নাছির, শ্যামল, অহিদুজ্জামান অহিদ, ফয়সাল শুভ, সহ ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। নিহত আবুল হাসান কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন। তিনি বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। গত ৫ আগস্ট বেলা দেড়টার দিকে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় নিহত আবুল হাসানকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অপরাপর আসামির নির্দেশে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন আবুল হাসান। সে সময় চাষাঢ়া এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ চলছিল। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন আবুল হাসান। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ভোরে তিনি মারা যান। উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি দেশ ছাড়েন। আওয়ামীলীগ বিরোধী দলকে দমাতে মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছিল কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সত্য ঘটনায় মামলা হলো। এভাবে সারা দেখে একের পর এক মামলা হচ্ছে। শাপলা চত্বরে হেফাজত নেতাকর্মীদের হত্যার দায়ে এবার শেঞ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীসহ তৎকালিন পুলিম কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি নতুন মামলা হয়েছে। এতে করে শুরুতেই নাজেহাল আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ দেশে এতটাই নির্যাতন করেছে তারা আর সহসা মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা