আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৩৮
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

অপকর্মের খেসারত দিচ্ছে আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা | ২২ আগস্ট, ২০২৪ | ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দীর্ঘ ১৫ বছরের কৃতকর্মের খেসারত দিচ্ছে আওয়ামীলীগ। ক্ষমতায় থেকে নিজেরা দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছেন আর বিরোধী দলের প্রতি ইষান্বিত হয়ে নিজের ক্রোধ মিটাতেন। আওয়ামীলীগ নেতাদের বড় বড় কথার কারণে আজ সারা দেশে তারা জাতীয় শত্রæতে পরিনত হয়েছে। বিশাল ঋণের বোঝা এখন জনগণের উপর। সারা দেশে যেমন নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের দাপটে কেহ কথা বলতে পারত না। বিভিন্ন সেক্টর দখল, চাঁদাবাজি এ যেন নিয়মে পরিনত হয়ে গিয়েছিল। বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে একবারে রাস্তার ফুটপাত থেকেও চাঁদা নিত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তারা দেশটাকে মগের মুল্লুক বানিয়ে রেখেছিল। মানুষকে তারা তুচ্ছতাছিল্ল করে কথা বলত। বিরোধী মতকে দমাকে যত ধরনের অপরাধ তারা করেছে তাতে নমরুদ ও হিটলারকে হার মানিয়েচে। শেষ পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যা করে জালিম সরকারের পরিচয় দিয়ে আওয়ামীলীগ। যে করেনে আওয়ামীলীগের পতন অনির্বায্য হয়ে পড়ে। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চোরের মত দেশ ছেড়ে পালাতে হয় শেখ হাসিনাকে। তারা দীর্ঘ ১৫ বছরে যেভাবে দেশে জুলুম অত্যাচার চালিয়েছে সেই খেসারত এখন তাদের দিতে হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের দুর্নীতি আড়াল করে রাখার জন্য এমপি মন্ত্রীরা ধোয়া তুলসিপাতা বনে যেন। এখন তাদের যখন পতন ঘটলো তখন একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে তাদের দুর্নীতি আর অপরিকল্পিত প্রকল্প করার চিত্র। চট্টগ্রামে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল এখন বর্তমান সরকারের ঘাড়ের ওপর বোঝা হয়ে উঠেছে। অধিকাংশ সময় টানেল থাকে ফাঁকা। নেই যানবাহনের চাপ। নির্মাণের আগে যানবাহন চলাচল নিয়ে জরিপে বলা হয়েছিল দৈনিক প্রায় ১৭ হাজার যানবাহন চলাচল করবে। কিন্তু এখন সর্বোচ্চ দৈনিক ৩ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে টানেল থেকে দৈনিক প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতো টোল আদায় হচ্ছে। অথচ ৫৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু থেকে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা টোল আদায় হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা বিরাজ করায় ও পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় স্বপ্নের টানেল এখন জাতির জন্য বোঝা হয়ে উঠেছে। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৩.৬৬ বিলিয়ন ডলার। স¤প্রতি ৫ আগস্ট ছাত্র অভ্যুত্থানের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। তার বিদায়ের সময়, দেশে ঋণের বোঝা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৬ বিলিয়ন ডলারে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ঋণ পৌঁছেছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকায়। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ ৮৮ বিলিয়ন ডলার (১০ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা) এবং বিদেশি ঋণ ৬৮.৩৩ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা)। অর্থনীতিবিদরা বিপুল ঋণের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি ও মেগা প্রকল্পে দুর্নীতিকে দায়ী করেছেন, যা রাজস্বের স্থবিরতার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের তিন মেয়াদে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫৪ লাখ কোটি টাকা, আর রাজস্ব আয় হয়েছে মাত্র ৩৭ লাখ কোটি টাকা। ব্যয় ২০০৮-০৯ অর্থবছরের ৯৪ হাজার কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৭ লাখ কোটি টাকা হয়েছে। বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত বর্তমানে প্রায় ৯ শতাংশ, যা বিশ্বের অন্যতম সর্বনি¤œ। অর্থনীতিবিদরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার উদ্যোগের অভাব, কর ফাঁকি, এবং বিভিন্ন গ্রæপকে কর ছাড় দেওয়াকে এর জন্য দায়ী করেছেন। এছাড়া, মেগা প্রকল্পে দুর্নীতি রাজস্ব-ব্যয়ের ব্যবধান বাড়াচ্ছে বলেও তাদের মত। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, মেগা প্রকল্পগুলোর অধিকাংশই দুর্নীতির কবলে। তিনি উল্লেখ করেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেছে, তবে কর্ণফুলী টানেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অর্থ বিদেশি উৎস থেকে এসেছে। তার মতে, ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পে দুর্নীতি করা হয়েছে, এবং প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় উপাদান যোগ করা হয়েছে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান ঋণ বৃদ্ধির জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ সচল করতে সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। তার মতে, গত এক দশক ধরে সরকার রাজস্ব আদায় বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বিদেশি অর্থায়নে মেগা প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে প্রকল্প ব্যয় একাধিকবার বৃদ্ধি পেয়েছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ঋণ নিতে হয়, কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের স্বল্পমেয়াদি ঋণের পাশাপাশি উচ্চ সুদে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা ছিল। এভাবে শেখ হাসিনা তার পরিবার ও আওয়ামীলীগ নেতারা দুর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে নিস্ব করে ফেলেছে। দেশবাশীকে মিথ্যা কথা বলে ও প্রবঞ্চনা দিয়ে তার ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য বড় বড় কথা বরতে শুনা গেছে। আজ তার সকল দুর্নীতি একে একে বেরিয়ে আসছে। আর সে কারণে দেশের জনগণ তাদের উপর ক্ষিপ্ত। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে তারা বিনা ভোটের সরকার। জনরায়ের প্রতি তাদের আস্থা ছিল না। তারা জনত তারা যে দুর্নীতি করেছে ক্ষমতা হারালে তা সামনে চলে আসবে তাই তারা ২০/৩০ হাজার লোক হত্যা করে হলেও ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু জালিমের পতন হবেই। অবশেষে জালিমের পতন হয়েছে।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা