আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | বিকাল ৫:৫১
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

আ’লীগের পতন একটি বড় শিক্ষা

ডান্ডিবার্তা | ২৬ আগস্ট, ২০২৪ | ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দীর্ঘ ১৬ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিসহ আওয়ামীলীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাকর্মীরা রজপথে নেমে এসেছে। দেশের বর্তমান দুর্যোগ সময়ে তারা বানবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রকৃত রাজনীতিবিদ হিসাবে নিজেদের প্রমাণ দিচ্ছে। একেই বলে মানুষের জন্য মানুষ। এদিকে বানবাসীর সাহার্য্যরে জন্য বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও পথে নেমেছে ত্রান সংগ্রহের কাজে। গতকাল রোববার ভোরে বন্দরের নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপির ব্যানারে ৩ ট্রাক ত্রান সামগ্রী নিয়ে বন্যা দুর্গত এলাকায় গেছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা দীর্ঘ দিনের জড়তা কাটিয়ে ফিরেছে রাজনীতিতে। দীর্ঘ ১৬ বছরে একেবারেই কোনঠাসা ছিল বিএনপি ও জামাত। সেই সাথে বিএনপির সমমনা দলগুলিকেও প্রায় কোনঠাসা করে রাখে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ এতই বেপরোয়া ভাবে দেশ পরিচালনা করেছে কেহ কিছু বলার সুযোগ পেত না। বললেই চালানো হত অমানবিক নির্যাতন। হতে হতো গুমের শিকার। আওয়ামীলীগ বিরোধীমতকে গুম, খুন ও অগনিত মামলা দিয়ে হয়রানি করে রাখত। মামলার কারণে বিএনপি রাজনীতি করতে সুযোগ পেত না। বিএনপি নেতাকর্মীরা বছরের পর বছর আদালতের কাঠগড়ায় সময় কাটিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আর্থিক ভাবে। বিএনপিকে যেভাবে আওয়ামীলীগ নির্যাতন করেছে তাতে কোন রাজনৈতিক দলকে এভাবে নির্যাতন ও দমনের ইতিহাস বিশে^ নেই। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করে অঘোষিত বাকশাল কায়েম করে রেখেছিল। দীর্ঘ ১৬ বছরে যারা আওয়ামীলীগের নির্যাতনে প্রাণ হারিয়েছে তাদের পরিবারের অভিশাপ আওয়ামীলীগের উপর পড়েছে। যার করণে করুণ ভাবে আওয়ামীলীগের পতন ঘটেছে। আওয়ামীলীগের নির্যাতনে যারা বেঁচে ফিরেছে তারা আজো বলতে গিয়ে শিউরে উঠেন। অনেকে স্বজন হারিয়ে এখনো কাঁদছেন। অনেকে পিতা হারিয়ে অনেকে সন্তান হারিয়ে নিস্ব হয়ে গেছেন। তাদের দোষ ছিল আওয়ামীলীগের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করা। যা ছিল দেশের স্বার্থে। কিন্তু আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিজের দেশই মনে করেনি। ভালবাসেনি দেশের মানুষকে। নয়তো ক্ষমতার জন্য এভাবে গণহত্যা চালাতে পারত না। ক্ষমতা শেখ হাসিনাকে অন্ধ করে তুলেছিল। আর তার আশপাশের চাটুকারদের চাটুকারিতায় শেখ হাসিনা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠে তিনি ভারতের গোপন সহায়তায় সরাকে ধরা জ্ঞান করে ফেলতেন। যাতে খুশি তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্ল করে যেতেন। আবার কখনো মায়া কান্না করে দেশের মানুষের সহনুভ’তি নেয়ার চেষ্টা করতেন। শেখ হাসিনার সময় এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে দুর্নীতির ছোয়া লাগেনি। তার লোকেরা সিন্ডিকেট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য একটাই বাড়িয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের নাভীশ^াস হয়ে উঠেছিল। লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের প্রতি চরম ভাবে ক্ষিপ্ত ছিল। কিন্তু ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়নি। কারণ শেখ হাসিনা দেশের যেসকল প্রতিষ্ঠানগুলি রাষ্ট্রের তথা স্বাধীন ভাবে কাজ করবে সেই গুলিকে দলীয় করণ করে রেখেছিল। পুলিশ প্রশসন, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যমসহ সকল বিভাগে তার নিজের লোক বসিয়ে দুর্নীতি আর লুটপাটের মহাজজ্ঞ সৃষ্টি করে রেখেছিল। সেই দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ ছাত্রদের আন্দোলনে জনতার অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বিস্ফোরিত হয়ে উঠে। অবশেষে গদি ছেড়ে পালাতে হয় শেখ হাসিনাকে। তছনছ হয়ে যায় তার তৈরীকরা সকল আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান। ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায় তার সিন্ডিকেট। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পারিয়ে যাওয়ার পর সাধারিণ মানুষ যেন হাফ ছেড়ে নিশ^াস নিতে পারছে এমন অভিমত অনেকের। অনেকে বলে বেড়ান দেশ থেকে নমরুদের মায়ের পতন হয়েছে। তবে এখনো কিছু শেখ হাসিনার সুবিধাভোগি ও আওয়ামীলীগের কতিপয় নেতা আত্মগোপনে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনার পতনের প্রতিশোধ হিসাবে ভারত ডুম্বুর বাধ দিয়ে পানি ছেড়ে দিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রথম প্রমাণ দিয়েছে যে, বারত আমাদের বন্ধু হতে পারে না। তারা তাদের পুতুল সরকার বসিয়ে বাংলাদেশ থেকে সুবিধা নিয়ে তারা লাভবান হবে। আর বাংলাদেশ শুধু দিয়ে যাবে। এজন্য শেখ হাসিনাকে একবার বলতে শুনা যায় আমি ভারতকে যা দিয়েছি তা সারা জীবন মনে রাখতে হবে। আর পতনের পর সেই ভারতেই আশ্রয় নিয়েছে শেখ হাসিনা। নারায়ণগঞ্জের এক বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে পরাধিনতার শৃঙ্খলে বন্ধি রাখার জন্য নব্য গসেটি বেগম শেখ হাসিনার মাধ্যমেই হয়েছে। তাই আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের কল্যানে রাজনীতি করে না। তারা ভারতকে খুশির জন্য রাজনীতি করত। আর বাংলাদেশকে জিম্মি করে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসাবে পরিচালত করতেন শেখ হাসিনা। সে তার প্রভু ভারতের আজ্ঞাবহ ছিল। ভারত বাংলাদেশকে যেভাবে চালাত শেখ হাসিনা দেশ সেভাবে চালাত। আজ আমরা মুক্ত। আমরা নমরুদের মায়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে আরেকটি নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। আমাদের এই নতুন স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। আমরা আগামী দিনে বিগত দিনের শিক্ষা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। আশা করি এখন থেকে বাংলাদের মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করবে। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন আওয়ামীলীগের এই নেক্কারজনক পতন থেকে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলি শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনের রাজনীতি করবেন।




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা