আজ শনিবার | ৯ আগস্ট ২০২৫ | ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ | ১৪ সফর ১৪৪৭ | সন্ধ্যা ৬:০৫
শিরোনাম:
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আ’লীগ    ♦     জলাবদ্ধতা নিরসনে জনগণের পাশে নেই বিএনপি নেতারা    ♦     কলকাতায় আ’লীগের ‌‘পার্টি অফিস’    ♦     অন্তর্বর্তি সরকারের যে ভাবে যাত্রা শুরু    ♦     রূপগঞ্জে অবৈধ ভরাটের ফলে মাসের পর মাস পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ    ♦     খেলাফত মজলিসের নির্বাচনী প্রস্তুতি সমাবেশ    ♦     ইউনূস সরকারের চ্যালেঞ্জের এক বছর    ♦     ভূইগড়ে সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল    ♦     ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে শয্যার অভাবে মেঝেতে রোগীর চিকিৎসা    ♦     আগামী নির্বাচনে বিএনপির সফলতা যেনো অন্যেরা ছিনিয়ে নিতে না পারে    ♦    

ভারত জনগণের নয় শেখ হাসিনার বন্ধু

ডান্ডিবার্তা | ২৯ আগস্ট, ২০২৪ | ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ টালমাতাল। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতনের পর যে যেভাবে পারছে লুটপাট, দখলবাজি ও প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ কারো কথা শুনছে না। পুলিশের ঢিলেঢালা কার্যক্রমের কারণে যার তার মত কাজ করে চলেছে। দীর্ঘ ১৬টি বছর মানুষ একটি শিকলে বন্ধি ছিল। কেহ মুক্ত বাতাসে কথা বলতে পারেনি। শেখ হাসিনার একগুয়েমীর কারণে আজ বাংলাদেশের প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক দল নিমিষে তলানিতে চলে গেছে। এখন কেহ আওয়ামীলীগার বলতেও সাহস পাচ্ছে না। বিএনপি দীর্ঘ ১৬ বছর অনেক অত্যাচার জুলুম সহ্য করেও নিজেদের বিএনপি নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে কথা বলতেন। কিন্তু এখন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের আর আওয়ামীলীগার বলতে সাহস পাচ্ছেনা। এর জন্য দায়ি শেখ হাসিনা নিজে। তিনি কানো কথার তোয়াক্কা করতেন না। নিজে একরকম পরাশক্তি হয়ে উঠেছেন। যার কারণে সারা দেশে আওয়ামীলীগ নেতারা শেখ হাসিনার আস্কারায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। এত গুম খুন আর গণহত্যা চালিয়েছে তার বিচার করতে করতে কয়েক যুগ চলে যাবে। আর যে ধরনের অপরাধ আওয়ামীলীগ করেছে তাতে দেশের মানুষের মধ্যে আওয়ামীলীগের প্রতি ঘুণা জন্মেছে। এতে করে আগামীতে আওয়ামীলীগ আর দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হয়না এমন মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল। এদিকে আওয়ামীলীগের মিত্ররা আওয়ামীলীগকে রক্ষার জন্য ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিলেও শেখ হাসিনা তা কর্ণপাত করেনি। এমন অভিযোগ করে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা অনেক পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি কোনো কথাই শোনেননি। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা তাকে বারবার মনে করিয়ে দিয়েছি। ছাত্র-জনতার দাবি মেনে নিতে বলেছি। উনি আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত করেননি। তিনি পুলিশ, আনসার, বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন।’ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) হেফাজতে রিমান্ডে থাকা আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা এসব কথা বলেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কারণ জানতে চাইলে তারা ডিবি কর্মকর্তাদের বলেন, ‘জয়কালে ক্ষয় নাই মরণ কালে ওষুধ নাই’-এ প্রবাদটি শেখ হাসিনার জন্য সত্য প্রমাণিত হয়েছে। কারণ গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, সবই তার পক্ষে গিয়েছে। আর এবার ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে তিনি যত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সবই তার বিপক্ষে গিয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানান। ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ১৪ দলের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম ৫ বছর আমি মন্ত্রী ছিলাম। পরের ১০-১১ বছরে আমরা সরকারে ছিলাম না। তবে ১৪ দলে জোটের শরিক ছিলাম। জোটের শরিক হিসাবে আমরা শেখ হাসিনাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছি। ছাত্রদের দাবি মেনে নিতে বলেছি। যেসব পুলিশ সদস্য ছাত্রদের ওপর গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। টাকা পাচারকারীদের ধরতে বলেছিলাম। উনি চীন সফরে যাওয়ার আগেও বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমাদের কোনো পরামর্শই কানে নেননি। ইনু ডিবিকে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সে কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। অথচ কোটার বিরোধিতা করে। তাহলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব বাতিল করে রাস্তায় নামুক।’ এভাবে তার কথা বলা ঠিক হয়নি। ইনু আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলন দমনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘তাদের দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট।’ এই মন্তব্যটি ছাত্র-জনতার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। এদিকে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে এমন অভিযোগ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির। তিনি বলেন, ভারত এখনো ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিগত দিনগুলোতে ভারত থেকে বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট অনুযায়ী কোনো সহযোগিতা আসেনি। তারা একটা সরকার ক্ষমতায় রাখার জন্য সহযোগিতা করেছে। আজ সেই সরকার গণআন্দোলনের মুখে বিতাড়িত হয়েছে এবং দেশত্যাগ করেছে। কিন্তু এখনো ভারত ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি। বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চাই। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারত দায়ী। এ বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বৃষ্টির কারণে নয়, ভারতের পানি ফেনী-ল²ীপুরে এসে মেঘনা নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে। এটি শুধু এ অঞ্চলের পানির প্রবাহ না, এগুলো ঢলের পানি। এটার সঙ্গে একটা ষড়যন্ত্রের সম্পর্ক রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের বন্ধ নয়। ভারত শুধু শেখ হাসিনার বন্ধু। যতগুলি হত্যা হয়েছে প্রতিটি লাশে আওয়ামীলীগের নির্যাতনের গন্ধ। আওয়ামীলীগের নির্যাতনের স্বাক্ষি। যে গণহত্যায় আওয়ামীলীগের পতন নিশ্চিত হয়। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় কার্যালয় এবং থানাগুলোকে দুর্নীতি, দমন-পীড়ন এবং চাঁদাবাজীর আখড়ায় পরিণত করেছিল। যাতে বছরের পর বছর অন্যায় এবং জুলুমের শিকার হওয় জনগোষ্ঠীর ভেতর এসব স্থানের ওপর আক্রোশ তৈরি হয়েছিল। আজ এ থেকে জনগণ মুক্ত হয়েছে। তবে এ বিজয় ধরে রাখতে হবে।

 




Your email address will not be published.

Comments are closed.


আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা
ফেসবুকে আমরা
পুরনো সংখ্যা
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
Copyright © Dundeebarta 2024
ডান্ডিবার্তা