হারিয়ে যাচ্ছে না’গঞ্জ আ’লীগ!

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
দিন দিন অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে আওয়ামীলীগের। আওয়ামীলীগের করা সকল অবকাঠামোর নাম পরির্বতন, কেন্দ্রীয় অফিস দখলসহ আওয়ামীলীগ নিশ্চিহৃ হওয়ার পথে। তবে বিদেশে পলাতক আওয়ামীলীগ নেতারা হুঙ্কার দিয়ে বলেন, আওয়ামীলীগকে বিলীন করা এত সহজ নয়। আওয়ামীলীগ শক্তিশালী হয়ে দেশে ফিরবে। এদিকে আওয়ামীলীগ নতুন নেতৃত্বে নিয়ে চিন্তিত। তারা ভারতে বসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন নেতৃত্বে ও জুলাই আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে চেয়ে ব্যর্থ হয়। ভারত সরকার তাদের সংবাদ সম্মেলন করতে দেয়নি। আওয়ামীলীগ নেতারা ভারতে পালিয়ে গিয়েও স্বস্তিতে নেই। তাদের এবার ধরে দেশে পুশইন করছে ভারত। তবে দেশে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লেও নারায়ণগঞ্জে এখনো কিছু আওয়ামীলীগর রয়েছে যারা আওয়ামীলীগকে ফিরিয়ে আনার অপেক্ষায় রয়েছে। আর তারা নারায়ণগঞ্জে বসে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। সম্প্রতি তাদের কয়েকটি তৎপরতায় তা প্রমাণ করে তারা বসে নেই। তারা ষড়যন্ত্র করেই চলেছে। নারায়ণগঞ্জে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম যার নাম দিয়েছিলেন আওয়ামীলীগ। সেই স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে অন্তবর্তি সরকার জুলাই আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে শহীদ রিয়া গোপের নামে নামকরণ করেন। গতক ১ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে সেই নামের সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। আওয়ামীলীগ পালিয়ে যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের জন্মস্থান খ্যাত বাইতুল আমান ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়। মুছে ফেলা হয় নাসিম ওসমান তৃতীয় সেতুর নাম। রূপগঞ্জে গাজী সেতুর নামও মুছে ফেলা হয়। আওয়ামীলীগ শাসনামলে সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরালগুলি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। অর্ন্তবর্তি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামীলীগসহ আওয়ামীলীগের সহযোগি সকল সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। যার মাধ্যমে দেশে আওয়ামীলীগের কোন কার্যকম করা অবৈধ। বর্তমানে দেশে আওয়ামীলীগ একটি নিষিদ্ধ দল হিসাবে পরিচিত। আর আওয়ামীলীগের এ পরিস্থিতির জন্য আওয়ামীলীগই দায়ি। কারণ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, লুটপাটের মহোৎসবে পরিনত করেছিল। আওয়ামীলীগ নেতারা দেশটাকে তাদের নিজস্ব সম্পত্তি বলে দাবি করত। অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে কোনঠাসা করতে আওয়ামীলীগ সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে ছিল। তবে রাজনৈতিক দলগুলি কোনঠাসা হয়ে থাকলেও তাদের কার্যক্রম থামাতে পারেনি। রাজনৈতিক নেতাদের অকারণে হাজার হাজার মামলা দিয়ে দেশটাকে একটি কারাগারে পরিনত করে রেখেছিল। আজ সেই কারাগারে আওয়ামীলীগের স্থান হয়েছে। তবে আওয়ামীলীগ অকারণে কারাবাসী হয়নি। তাদের কৃতকর্মের ফসল এটা। আওয়ামীলীগ ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য দেশের হাজার নিরিহ মানুষ হত্রার পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনে ২ হাজারের অধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও লাখো মানুষকে পঙ্গু করেছে। যার কারণে আওয়ামীলীগ একটি সন্ত্রাসী দল হিসাবে বিশে^র কাছে পরিচিতি পেয়েছে। আর এ সন্ত্রাসী দলকে সাধারণ মানুষ আর কোন সুযোগ দিতে চায় না বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছে। আওয়ামীলীগ এখন জনতার চোখে অপরাধী। তাদের বিচার করাটাই এখন রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। আর আওয়ামীলীগ তাদের স্বার্থে যত কার্যক্রম করেছে তা বাতিল ও নিষিদ্দ করাও জরুরী বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। আওয়ামীলীগকে এখন আর রাজনৈতিক দল হিসাবে মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ। আর যাতে আওয়ামীলীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি রাখেন জনগণ। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেকদের মতে আওয়ামীলীগ যে ভাবে গোপনে সংগঠিত হচ্ছে তাতে করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির আভাস পাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সরকারের গোয়েন্দা তৎপরতার মধ্যে ঘটতি রয়েছে। নয়তো আওয়ামী দোসররা এখনো তাদের তৎপরতা চালায় তা কি করে পারে এনিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। যা আগামী দিনের জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না।