ষোল বছর মুজিবকে গিলিয়েছে আ’লীগ

ডান্ডিবার্তা রিপোর্ট
আজ শুক্রবার শেখ মুজিবের মৃত্যুবার্ষিকী। কিন্তু নেই কোন আয়োজন। যা দীর্ঘ ১৬টি বছর জাতিকে প্রায় জোর করে জাতীয় শোক দিবসের নামে গিলাতে বাধ্য করেছিল স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার। সকল সরকারি বেসরকারি ও স্কুল কলেজে আওয়ামীলীগের প্রেসক্রিপশনে করতে হয়েছে নানা কর্মসূচি। শুধু আওয়ামীলীগের গুনগান গাওয়া ছাড়া কেহ সত্য কথা বলতে পারেনি। দেশে এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বাকশাল প্রতিষ্ঠা ও দেশে শেখ মুজিবের ইচ্ছায় সব কিছু করার বাধ্য করা হতো। যার কারণে সাধারণ মানুষসহ সেনাদের মধ্যে দানাবাধে চরম ক্ষোভ। যার বর্হিপ্রকাশ ঘটে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট। একটি সেনা ক্যু এর মাধ্যমে শেখ মুজিবকে স্বপরিবারের হত্যা করা হয়। এর পর আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ২১ বছর আর ক্ষমতার মুখ দেখেনি। পরবর্তিতে জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার পর বিদেশ থেকে শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করে আওয়ামীলীগের হাল ধরে। আর বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন তৎকালিন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। পরবর্তিতে আওয়ামীলীগ ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। আর শেখ হাসিনার মধ্যে প্রতিশোধের নেশা বাড়তে থাকে। শুরু হয় গভীর ষড়যন্ত্র। সেই ষড়যন্ত্রে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে রাষ্ট্রপতি জিয়ারউর রহমানকে হত্যা করা হয়। এর পর বিএনপি জনপ্রিয়তায় নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি হন আব্দুস সাত্তার। কিন্ত কয়েক মাসের মধ্যে তৎকালিন সেনা প্রধান এরশাদ সেনা ক্যু করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেন। একটানা ৯ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার পর স্বৈরাচার তকমা নিয়ে আন্দোলনের মুখে তাকে ক্ষতা ছাড়াতে হয়। এর পর নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করে। আসে ১৯৯৬ সাল তখন আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে ইমুশনাল ব্লাকমেইলিং শুরু করে। তার পিতা-মাতা হত্যা করেছে সে এতিম, দেশের দ্রব্যমূল্য অনেক কমিয়ে এনে মাত্র ১০ টাকা কেজিতে চাইল খাওয়াবে। মানুষ তার কথা বিশ^াস করে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় বসান। এর পর শেতে শুরু হয় শেখ মুজিব বন্ধনা। এভাবে দীর্ঘ ১৬টি বছর প্রায় জোর করেই শেখ মুজিবকে গিলিয়ে মানুষকে। বিলিয়ন বিলিয়ন জনগণের টাকা অপচয় করা হয়েছে শেখ মুজিবের নামে নানা ভাষকর্য, স্থাপনা, মিউজিয়াম নির্মাণের পিছনে। আর এ সকল কাজ থেকে বরাদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আর বিভিন্ন ভাবে বিরোধী মতকে গুম-হত্যাসহ মামলা-হামালা করে দমিয়ে রাখা হয়েছে। অবশেষে গত বছরের ৫ আগষ্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হয়। আর কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত শেখ মুজিবের শত শত ভাষকর্য বিক্ষুব্ধ জনতা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। গতবছর আরে সেই শেখ মুজিব তত্ত্ব আওয়ামীলীগ আর জনগণের মাঝে গিলাতে পারেনি। এ বছরও একই অবস্থা। ইতিমধ্যে অন্তবর্তি সরকার এ দিবসটি বাতিল করেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ১৪ আগষ্টেই বিকাল থেকে শেখ মুজিবের ভাষন মাইকে বাজাতে বাজাতে এলাকায় চরম শব্দ দুষনের শিকার হতে হত। এ বছরের ১৫ আগষ্ট পালনের জন্য ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী দোসররা প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা কেহ কেহ নিজ ঘরে বসে দোয়া মাহফিল ও খিচুরি বিতরণ করবে। আর এ সুযোগে তারা সংগঠিত হওয়ারও চেষ্টা করছে। তারা এ সুযোগে মিটিং করারও প্রস্তুতি নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে কোন জনগণের মাঝে তারা এ কর্মসূচি প্রচার করবে না। কর্মসূচি পালন করবে আর খিচুরি তাদের নেতাকর্মীরা খাবে। বাইরে বিতরণ করবে না। এমন প্রস্তুতির খবর পাওয়া গেছে। তারা নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে ৪ থেকে ৫ স্থানে করবে। তবে কেথায় করবে তার হদিস কাউকে বলেনি। তবে তারা শোক দিবস পালন করবে এবং ছবি তুলে শেখ হাসিনার কাছে পাঠাবে। এমনটাই জানা গেছে বিভিন্ন সুত্র থেকে। এদিকে প্রশাসন তৎপর থাকায় তারা গোপনে কর্মসূচি পালন করবে।